ডাক অধিদপ্তর দায়িত্ব নেওয়ার পর মোবাইল আর্থিক সেবাদাতা প্রতিষ্ঠান নগদের প্রতিদিন লেনদেন প্রায় ১০০ কোটি টাকা বেড়েছে। ডাক অধিদপ্তর সূত্র জানিয়েছে, নগদের সার্বিক সেবার দায়িত্ব ডাক অধিদপ্তরে নেওয়ার পর গ্রাহকদের মধ্যে থেকে ইতিবাচক সাড়া পাওয়া যাচ্ছে। ফলে প্রতিদিন গড়ে ১০০ কোটি টাকার ওপর লেনদেন বেড়েছে নগদের।
ডাক অধিদপ্তর জানিয়েছে, ডাক বিভাগের সঙ্গে রাজস্ব ভাগাভাগির চুক্তির আওতায় থাকা নগদের দায়িত্বে নেওয়ার পর গ্রাহকদের মধ্যে অনেকটা ইতিবাচক সাড়া পাওয়া যাচ্ছে। দেশের ঐতিহ্যবাহী রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠান হিসেবে ডাক অধিদপ্তর নগদের মাধ্যমে সবাইকে এমএফএস সেবা দিচ্ছে। ফলে গ্রাহকেরা কম খরচে ভালো সেবা নেওয়ার জন্য নগদের ওপর সবসময় আস্থা রেখেছেন। যার অংশ হিসেবে দৈনিক গড় লেনদেন ১০০ কোটি টাকা বৃদ্ধি পেয়েছে।
গত বৃহস্পতিবার ডাক অধিদপ্তরের অফিস আদেশে বলা হয়েছে, নগদ পরিচালনায় বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রশাসক নিযুক্তির আদেশের ওপর সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ কর্তৃক স্থগিতাদেশের পরিপ্রেক্ষিতে ডাক অধিদপ্তরকে নগদ পরিচালনায় সার্বিক দায়িত্বভার গ্রহণ করার জন্য নির্দেশনা প্রদান করেন প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব। এর প্রেক্ষিতে প্রয়োজনীয় কার্যক্রম গ্রহণ করে নগদের প্রধান কার্যালয় এবং সংশ্লিষ্ট সব স্থানে সরেজমিন উপস্থিত হয়ে সময়ে সময়ে প্রতিবেদন দাখিল করার জন্য একটি কমিটি গঠন করা হয়।
কমিটির সদস্যরা হলেন ডাক অধিদপ্তরের পরিচালক মো. আবু তালেব ও মো. আমিনুর রহমান। অন্যরা হলেন পোস্টাল অ্যাটাচি এস এম ওয়াদুদুল ইসলাম, প্রোগ্রামার মো. মনিরুজ্জামান, ডিপিএমজি সঞ্জিত চন্দ্র পণ্ডিত, মো. সাহেদুজ্জামান সরকার, খন্দকার শাহনুর সাব্বির ও এ কে এম মনিরুজ্জামান।
সম্প্রতি নগদের দৈনিক গড় লেনদেন বৃদ্ধির বিষয়ে নগদের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) মো. সাফায়েত আলম বলেন, ‘মানুষের জীবন সহজ করতে শুরু থেকেই কাজ করছে নগদ। যে কারণে ৮ কোটির বেশি গ্রাহককে নিয়ে আরও বড় পরিসরে কাজ করার স্বপ্ন দেখছি আমরা। মানুষের আস্থা থাকার কারণে অনেক ধরনের গুজব, অপতথ্য ও বিভ্রান্তিকে পাশকাটিয়ে আমরা বাজারে নিজেদের অবস্থান ধরে রেখেছি এবং গ্রাহকদের নিয়ে সামনের দিনে আরও ভালো কিছু উপহার দিতে পারব বলে আমরা বিশ্বাস করি।’
তিনি বলেন, ‘ডাক বিভাগের সঙ্গে রাজস্ব ভাগাভাগির চুক্তির আওতায় থাকা নগদে গ্রাহকের আস্থা সবসময় ছিল, আছে ও থাকবে।’
গত বছরের আগস্টে বাংলাদেশ ব্যাংক নগদে প্রশাসক নিয়োগ করলে নিয়োগ প্রক্রিয়া চ্যালেঞ্জ করে তখন উচ্চ আদালতের দ্বারস্থ হন প্রতিষ্ঠানটির বর্তমান প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) মো. সাফায়েত আলম। গত সপ্তাহে আপিল বিভাগের চেম্বার আদালত নগদে প্রশাসক নিয়োগে হাইকোর্টের দেওয়া রায়ের ওপর স্থগিতাদেশ প্রদান করেন। ফলে নগদের আগের বোর্ডের নগদ পরিচালনায় কোনো বাধা থাকছে না।