শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ২ প্রজাতির বিদেশি গাছ রোপণে নিষেধাজ্ঞা

পরিবেশ ও জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণের লক্ষ্যে দেশের সকল শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে আগ্রাসী প্রজাতির ইউক্যালিপটাস-আকাশমনি গাছের চারা রোপণ, উত্তোলন এবং বিক্রয় নিষিদ্ধ করা হয়েছে।

বুধবার (২২মে) কারিগরি শিক্ষা অধিদপ্তর থেকে জারি করা এক প্রজ্ঞাপনে এ বিষয়টি জানানো হয়েছে। এই দু’টি গাছের পরিবর্তে বিভিন্ন দেশীয় প্রজাতির ফলজ, বনজ ও ঔষধি চারা রোপণের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

অধিদপ্তরের নির্দেশনায় বলা হয়েছে, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোতে, বিশেষ করে রাজশাহী, রংপুর ও ময়মনসিংহ বিভাগের জেলাগুলোতে ইউক্যালিপটাস গাছের ব্যাপক উপস্থিতি লক্ষ্য করা যায়। সাধারণ মানুষ এবং শিক্ষার্থীদের মধ্যে দেশি ও বিদেশি গাছের পার্থক্য এবং তাদের উপকার-অপকার সম্পর্কে সচেতনতার অভাব থাকায় দ্রুত কাঠের আশায় এই ক্ষতিকর বিদেশি গাছগুলো লাগানো হয়।

এর আগে গত ১৫ মে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয় থেকেও এ বিষয়ে একটি প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছিল। যেখানে এসব গাছ রোপণ, বিক্রয়, বিপণনে কড়াকড়ি আরোপ করা হয়েছে।

সংশ্লিষ্টরা বলছেন ইউক্যালিপটাস গাছ প্রচুর অক্সিজেন শোষণ করে এবং নাইট্রোজেন ত্যাগ করে, যা পরিবেশের ভারসাম্য নষ্ট করে। গাছটি প্রচুর ভূগর্ভস্থ পানি শোষণ করে আশপাশের জমির পানি শুষে নেয়, ফলে কৃষিজমির গুণাগুণ ও উর্বরতা শক্তি নষ্ট হয়। তাছাড়া ইউক্যালিপটাস গাছের পাতা ও ডালপালা পচতে দীর্ঘ সময় লাগে, যা মাটির জন্য ক্ষতিকর। এই গাছ অক্সিজেন শুষে নেওয়ায় আশপাশের অন্যান্য গাছের খাদ্য তৈরির স্বাভাবিক প্রক্রিয়াও ব্যাহত হয়।

এমন অবস্থায় পরিবেশের সুরক্ষায় শিক্ষার্থীদের মধ্যে দেশীয় গাছের পরিচিতি ও গুরুত্ব তুলে ধরতে হবে এবং শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে বিদেশি বাদে দেশীয় গাছ রোপণর উৎসাহিত করতেই এমন উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে৷