স্থানীয় অর্থনীতিতে দীর্ঘদিনের উচ্চমূল্যস্ফীতি বিরাজ করছে। এছাড়া সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্র কর্তৃক পারষ্পরিক শুল্কারোপ, রপ্তানির উপর ভারতের নিষেধাজ্ঞা, জ্বালানী সংকট, রিজার্ভ স্বল্পতা ও আর্থিকখাতের অব্যবস্থাপনা এবং আইন-শৃঙ্খলার অস্থিতরতার কারণে শিল্পখাতে স্বাভাবিক কার্যক্রম পরিচালনা ব্যাহত হচ্ছে। বিশেষকরে রপ্তানি কার্যক্রমে স্থবিরতা পরিলক্ষিত হচ্ছে। বিদ্যমান বাস্তবতা বিবেচনা, বৈশ্বিক প্রেক্ষাপট এবং ২০২৬ সালে বাংলাদেশের এলডিসি পরবর্তী সময়ের চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় আমাদের আমদানি-রপ্তানি নীতিমালার পুনঃমূল্যায়নের কোন বিকল্প নেই বলে মনে করেন ডিসিসিআই সভাপতি তাসকীন আহমেদ।
আজ শনিবার ঢাকা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (ডিসিসিআই) আয়োজিত “বাংলাদেশের আমদানি-রপ্তানি নীতিমালা : এলডিসি পরবর্তী সময়ে প্রয়োজনীয়তা এবং চ্যালেঞ্জ” শীর্ষক সেমিনারে তিনি এ অভিমত জ্ঞাপন করেন। ডিসিসিআই অডিটোরিয়ামে অনুষ্ঠিত উক্ত সেমিনারে প্রধান উপদেষ্টা’র আন্তর্জাতিক বিষয় সংক্রান্ত বিশেষ দূত লুৎফে সিদ্দিকী প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন। এছাড়াও প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী (অর্থ মন্ত্রণালয়) ড. আনিসুজ্জামান চৌধুরী, জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)-এর সদস্য (কাস্টমস) কাজী মোস্তাফিজুর রহমান এবং রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরো (ইপিবি)-এর ভাইস চেয়ারম্যান মোঃ আনোয়ার হোসেন এ অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে যোগদান করেন।
অনুষ্ঠানের স্বাগত বক্তব্যে ঢাকা চেম্বার সভাপতি তাসকীন আহমেদ বলেন, চামড়া, ঔষধ, পাটপণ্য এবং কৃষি প্রক্রিয়াজাতকরণ প্রভৃতি পণ্যসমূহের রপ্তানির সম্ভাবনার লক্ষ্যমাত্রা পূরণ করতে পারেনি, অপরদিকে মোট রপ্তানি ৮৪% তৈরি পোষাক ও সুনিদিষ্ট কিছু বাজারের উপর নির্ভরশীল। শিল্পখাতের মূলধনী যন্ত্রপাতি ও কাঁচামাল আমদানি নির্ভর আমাদের অর্থনীতিতে দীর্ঘদিনের উচ্চমূল্যস্ফীতি, যুক্তরাষ্ট্র কর্তৃক পারষ্পরিক শুল্কারোপ, রপ্তানির উপর ভারতের নিষেধাজ্ঞা, রিজার্ভ স্বল্পতা ও আইন-শৃঙ্খলার অস্থিতরতার কারণে শিল্পের উৎপাদন কার্যক্রম ব্যাহত হচ্ছে। বিদ্যমান বাস্তবাতায়, বৈশ্বিক প্রেক্ষাপট এবং ২০২৬ সালে বাংলাদেশের এলডিসি পরবর্তী সময়ের চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় আমাদের আমদানি-রপ্তানি নীতিমালার পুনঃমূল্যায়নের কোন বিকল্প নেই বলে মনে করেন তাসকীন আহমেদ। তিনি আরো বলেন, আমদানি পর্যায়ের চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় আর্থিক খাতের স্থিতিশীলতার পাশাপাশি শুল্ক ও ট্যারিফ কাঠামোর দক্ষ ব্যবস্থাপনা খুবই জরুরী। সেই সাথে আমদানি-রপ্তানি নীতিমালার বৈসাদৃশ্য দূর করে একটি সমন্বিত বাণিজ্য নীতিমালা প্রণয়ন, বন্দর অবকাঠামো ও ব্যবস্থাপনার উন্নয়নে বিনিয়োগ বৃদ্ধি, ডিজিটাল রাজস্ব ব্যবস্থাপনা, সম্ভবনাময় খাতে বন্ডেড ওয়ারহাউস সুবিধা প্রদান, দেশীয় শিল্পের সুরক্ষা ও কাঁচামাল আমদানিতে সহায়ক নীতি সহায়তা প্রদানের পাশাপাশি বাজার সম্প্রসারণে সম্ভাবনাময় দেশ ও অঞ্চলসমূহের সাথে মুক্ত-বাণিজ্য চুক্তি স্বাক্ষরে দ্রুত উদ্যোগ গ্রহণের উপর জোরারোপ করেন ডিসিসিআই সভাপতি। এছাড়াও শিল্পখাতে নিরচ্ছিন্ন ও অনুমেয়মূল্যে দীর্ঘমেয়াদে নিরবিচ্ছিন্ন জ্বালানী সরবরাহের তাগিদ দেন তাসকীন আহমেদ।
প্রধান অতিথি’র বক্তব্যে লুৎফে সিদ্দিকী বলেন, সরকারি সংস্থাগুলোর মধ্যকার কাঠামোগত সংষ্কার জরুরী, তবে যে গতিতে বর্তমানে সংষ্কার কার্যক্রম সম্পন্ন হচ্ছে তা প্রয়োজনের তুলনায় বেশ কম। সত্যিকারে শিল্পখাত সহ অন্যান্য সেক্টরে আমাদের কোন দীর্ঘমেয়াদে রোডম্যাপ নেই, যা হাতাশার বিষয়। তিনি প্রাতিষ্ঠানিক সংষ্কারের পাশাপাশি সরকারের সংস্থার গুলোর মধ্যকার সমন্বয় বাড়ানো প্রয়োজন বলে মত প্রকাশ করেন। তিনি আরোও বলেন, সকল বন্দর সমূহ অর্থনীতির হৃদপিন্ড, তাই এগুলোর ব্যবস্থাপনা সচল রেখে নির্বিঘ্নে কার্যক্রম পরিচালনা করা একান্ত অপরিহার্য। ব্যবসায়ী সমাজের দাবী সমূহ যৌক্তিক আকারে সরকারের নিকট উপস্থাপনের আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, বেসরকারিখাতই আমাদের দেশের অর্থনীতির মূল চালিকা শক্তি।
প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী ড. আনিসুজ্জামান চৌধুরী বলেন, বাংলাদেশকে এলডিসি উত্তরণ করতেই হবে, এখান থেকে ফিরে আসার কোন সম্ভাবনা নেই, তবে এলডিসি পরবর্তী চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় আমাদের উচ্চ মানের তৈরি পোষাক পণ্য, ঔষধ এবং লাইট ইঞ্জিনিয়ারিং খাতের উপর বেশি হারে মনোযোগী হতে হবে। তিনি জানান, এলডিসি পরবর্তী করণীয় নির্ধারনে সকলের অংশগ্রহণে অতিদ্রুত একটি জাতীয় ডায়লাগ আয়োজন করবে। তিনি বলেন, আমাদের মানবম্পদ, শিল্প-কারখানা এবং আর্থিক ব্যবস্থাপনা রয়েছে, এগুলোর মধ্যকার সমন্বয় বৃদ্ধিকল্পে পারষ্পরিক আস্থা-বিশ্বাস বৃদ্ধির কোন বিকল্প নেই।
এনবিআরের সদস্য (কাস্টমস) কাজী মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, ১৯৯৩ সাল হতে এনবিআর এসআইকোডা সহ রাজস্ব ব্যবস্থাপনায় অন্যান্য অটোমেটেড ব্যবস্থা বাস্তবায়ন করে যাচ্ছে। এলডিসি পরবর্তী নেগোশিয়েশনে সরকারের পাশাপাশি বেসরকারিখাতের প্রতিনিধি থাকা প্রয়োজন বলে তিনি মত প্রকাশ করেন। তিনি জানান, আমাদের রপ্তানি শুধুমাত্র একটি পণ্যে তৈরি পোষাকরে উপর নির্ভরশীল হওয়ায় অনেকক্ষেত্রে বৈশ্বিক দরকাষাকষিতে আমরা পিছিয়ে পড়ি। তিনি উল্লেখ করেন, সেন্ট্রাল বন্ডেড ওয়ারহাউস চালুর উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে, আগামী জুলাইয়ের মধ্যে সবাইকে এ সুবিধা প্রদান করা যেতে পারে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন। তিনি আরো বলেন, এনবিআর ইলেকট্রনিক ডাটা এক্সচেঞ্জ ব্যবস্থা চালুর উদ্যোগ নিয়েছে, যেটি চালুর হলে ব্যবসায়ীরা আরো স্বল্প সময়ে আমদানিকৃত পণ্য ছাড় করতে পারবেন।
ইপিবি’র ভাইস চেয়ারম্যান মোঃ আনোয়ার হোসেন বলেন, এলডিসি পরবর্তী সময়ের চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় নগদ প্রণোদনার চাইতে কার্যকর নীতি সহায়তাই মূল হিসেবে কাজ করবে। তিনি পণ্য বহুমুখীকরণের জন্য নন-ট্রেডিশনাল খাতের উপর জোর দিতে হবে। তিনি জানান, বাণিজ্য নীতিমালার সংষ্কার, কমপ্লায়েন্স ও স্ট্যান্ডার্ড এবং বেসরকারিখাতের প্রস্তুতি- ৩টি বিষয় নিয়ে সরকার কাজ করছে। তৈরি পোষাক খাতে ম্যান মেইড ফাইবার ব্যবহারের জন্য বেসরকারিখাতে এগিয়ে আসার জন্য তিনি উদ্যোক্তাদের প্রতি আহ্বান জানান। তিনি আরো বলেন, যথাযথ অবকাঠামো, জ্বালানি নিরাপত্তা, আর্থিক ও নীতি সহায়তা এবং লজিস্টিক সেবা নিশ্চিত করতে পারলে আগামী ২-৩ বছরে তৈরি পোষাক খাত হতে ১০০ বিলিয়ন ডলার আয় করা সম্ভব।
মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের অধ্যাপক এবং সানেমের নির্বাহী পরিচালক ড. সেলিম রায়হান। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের অধ্যাপক এবং সানেমের নির্বাহী পরিচালক ড. সেলিম রায়হান বলেন, প্রতিবেশী দেশগুলোর তুলনায় বাংলাদেশে শুল্ক ও শুল্কের হার বেশি, এছাড়াও আমরা এখনও আমদানি করের উপর অনেক বেশি নির্ভরশীল। রাজস্ব খাতে সংস্কারের অভাব এবং প্রত্যক্ষ করের মাধ্যমে কর বৃদ্ধিতে সরকারের ব্যর্থতার ফলে পরোক্ষ কর ও আমদানি করের উপর ব্যাপক নির্ভরতা দেখা দিচ্ছে বলে তিনি মত প্রকাশ করেন। তিনি বলেন, বাংলাদেশের রপ্তানি নীতি অনুসারে, আমাদেও রপ্তানি পণ্যের স্বল্প বৈচিত্র্য, সীমিত প্রত্যক্ষ বিদেশি বিনিয়োগ (এফডিআই) এবং বাণিজ্যের সুবিধার ক্ষেত্রে চ্যালেঞ্জ সহ শুধুমাত্র তৈরিপোষাক খাতের দ্বারা প্রভাবিত একটি রপ্তানি ভিত্তিকে সমর্থন করার জন্য মূলত নগদ এবং কর রিটার্নের প্রণোদনার উপর নির্ভর করতে হচ্ছে। অপরদিকে, আমদানি নীতির পরিপ্রেক্ষিতে, বাংলাদেশ তার প্রতিযোগী দেশগুলোর চেয়ে উচ্চতর শুল্ক সহ কোথাও জটিল প্যারা-ট্যারিফ ব্যবস্থা অনুসরণ করছে। সার্বিক অবস্থা বিবেচনায়, এটি বাণিজ্যিক নীতি, গতিশীল শুল্ক সমন্বয়, নীতিগুলির মধ্যকার কার্যকর সমন্বয় এবং আগ্রহী পক্ষগুলির অংশগ্রহণের একটি সমন্বিত কাঠামো প্রতিষ্ঠার পরামর্শ দিয়েছেন তিনি। ইইউ এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে ব্যবহার করার জন্য সম্ভাবনাময় তালিকার বাইরে পণ্য এবং বাজারের বৈচিত্র্যের উপর আরও জোর দেওয়া উচিত বলে তিনি মত প্রকাশ করেন। এছাড়াও তিনি ক্রমান্বয়ে শুল্ক হ্রাস, আমদানি নীতির আধুনিকীকরণ, শুল্ক পদ্ধতির সরলীকরণ, বাণিজ্যের সুবিধার উন্নতি, অটোমেশনের উপর গুরুত্বারোপ করেন। অধ্যাপক সেলিম রায়হান আরো বলেন, বাণিজ্যিক, শিল্প ও আর্থিক খাতের সংশ্লিষ্ট নীতিগুলোর সমন্বয়ের মাধ্যমে বিদ্যমান পরিস্থিতির উন্নয়ন সম্ভব। দীর্ঘমেয়াদে প্রতিযোগী সক্ষমতা বাড়াতে রপ্তানি ও আমদানি নীতির সংস্কারের কোন বিকল্প নেই বলে তিনি অভিমত জ্ঞাপন করেন।
অনুষ্ঠানের নির্ধারিত আলোচনায় বিকেএমইএ’র সাবেক সভাপতি মোঃ ফজলুল হক, বাংলাদেশ ট্রেড অ্যান্ড ট্যারিফ কমিশনের জয়েন্ট চীফ (ইন্টারন্যাশাল কোঅপারেশন ডিভিশন) মোঃ মসিউল ইসলাম, বেসিস’র প্রাক্তন সভাপতি সৈয়দ আলমাস কবীর, ডেল্টা ফার্মা লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও বাপী’র সেক্রেটারি জেনারেল ডা. মোঃ জাকির হোসেন এবং ফকির ফ্যাশন লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ফকির কামরুজ্জামান নাহিদ অংশগ্রহণ করেন।
বিকেএমইএ’র সাবেক সভাপতি মোঃ ফজলুল হক বলেন, এলডিসি গ্রাজুয়েশনের পর বাংলাদেশের তৈরি পোষাক খাত ধ্বংস হয়ে যাবে, এ সম্ভাবনা নেই, তবে আমাদেরকে এখাতে উচ্চমানের পণ্যের উৎপাদনের দিকে মনোনিবেশ করতে হবে। তিনি আরো বলেন, সরকার একদিকে প্রণোদনা সহায়তা হ্রাস করছে, অপরদিকে জ্বালানি সহ অন্যান্য সেবার মূল্য বৃদ্ধি করছে, ফলে বেসরকারিখাত ক্রমাগত প্রতিকূল অবস্থায় পড়ছে, যা মোটেই কাম্য নয়।
মোঃ মসিউল ইসলাম বলেন, এলডিসি পরবর্তী সময়ে আমর ৪৩টি পণ্যের উপর শুল্কমুক্ত সুবিধা প্রাপ্তি হতে বঞ্চিত হবো, তাই এলডিসি পরবর্তী সময়ে শিল্পখাতে নগদ সহায়তা কিভাবে বিকল্প পন্থায় প্রদান করা যায়, সে বিষয়ে নীতি কৌশল প্রণয়ন করতে হবে। তৈরি পোষাক উৎপাদনের ক্ষেত্রে আমাদের এখন কমপক্ষে ৭০% ম্যান-মেইড ফাইবার ব্যবহারের দিকে এগুতে হবে, কেননা বিশ্ববাজারে এর চাহিদা দিন দিন বাড়ছে, তাই এখানে পিছিয়ে যাওয়া কোনভাবেই চলবে না।
সৈয়দ আলমাস কবীর বলেন, আমাদের রপ্তানি পণ্যের বিদ্যমান বাজারে নতুন নতুন পণ্য রপ্তানি সম্প্রসারণ, মানবসম্পদের দক্ষতা উন্নয়ন এবং বিশেষকরে তথ্য-প্রযুক্তি ভিত্তিক পণ্যের বাজার সম্প্রসারণে সম্ভাবনাময় ৫টি দেশে বিপণন অফিস স্থাপনের প্রস্তাব করেন। তিনি বলে পণ্যের বহুমুখীকরণের পাশাপাশি এখন পণ্যের এক্সটেনশন বা বর্ধিতকরণও করার সময় এসেছে পাশাপাশি বেসরকারিখাতের আওতায় এ ধরণের গবেষণা কার্যক্রমকে এগিয়ে নিতে প্রণোদনা প্রদানে তিনি আহ্বান জানান।
ডেল্টা ফার্মা লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ডা. মোঃ জাকির হোসেন বলেন, এলডিসি উত্তোরণের পরও যেন বাংলাদেশ ট্রিপস-এর সুবিধাটি কমপক্ষে আরও ছয় বছর পেতে পারে তার জন্য কার্যকর নেগোসিয়েশন প্রয়োজন। এছাড়াও বেশকিছু পণ্য এ সময়ের মধ্যেই রেজিষ্ট্রেশন করিয়ে নিতে পারলে তা পরবর্তীতে আর পেটেন্টের আওতায় আনতে হবেনা এবং দেশীয় বাজারে ঔষধের দামও নাগালের মধ্যে থাকবে। তিনি সরকারকে এখাতে নতুন নতুন উদ্ভাবন নিয়ে আসতে বিদেশি প্রতিষ্ঠানসমূহের সাথে যৌথ উদ্যোগে গবেষণা কেন্দ্র স্থাপনের প্রস্তাব করেন, যা প্রযুক্তি আদান-প্রদানে সহায়তা করবে।
ফকির ফ্যাশনের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ফকির কামরুজ্জামান নাহিদ বলেন, এলডিসি পরবর্তী সময়ে জিএসপি সুবিদা চলে গেলে আমাদের তৈরি পোষাক পণ্যের মূল্য ৯.৫% বৃদ্ধি পাবে, ফলে বাংলাদেশ বৈশ্বিক প্রতিযোগিতায় পিছিয়ে পড়বে। এছাড়াও বন্দর ব্যবস্থাপনার অটোমেশনের মাধ্যমে পণ্য রপ্তানিতে লীড টাইম হ্রাসের উপর তিনি জোরারোপ করেন।
মুক্ত আলোচনায় ডিসিসিআই প্রাক্তন পরিচালক এ কে ডি খায়ের মোহাম্মদ খান, বশির উল্ল্যাহ্ ভূইয়্যা, যুগ্ম-আহ্বায়ক সালাহউদ্দিন ইউসুফ প্রমুখ অংশগ্রহণ করেন।
ডিসিসিআই ঊর্ধ্বতন সহ-সভাপতি রাজিব এইচ চৌধুরী, সহ-সভাপতি মোঃ সালিম সোলায়মান, পরিচালনা পর্ষদের সদস্যবৃন্দ সহ সরকারি-বেসরকারিখাতের স্টেকহোল্ডাররা এ সময় উপস্থিত ছিলেন।