১৮৯৯ সালের পর জাপানে সবচেয়ে কম শিশু জন্মের রেকর্ড

জাপানে নতুন শিশু জন্মের হার প্রত্যাশার চেয়েও বেশি কমছে। এরমধ্যে কম শিশু জন্মের নতুন রেকর্ড হলো আরেকবার। গতকাল বুধবার (৪ জুন) দেশটির স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় এমন তথ্য জানায়।

তারা বলেছে, ২০২৪ সালে জাপানে ৬ লাখ ৮৬ হাজার ৬১ শিশুর জন্ম হয়েছে। যা গত বছরের তুলনায় ৫ দশমিক ৭ শতাংশ কম। অপরদিকে ১৮৯৯ সালের পর প্রথমবারের মতো এক বছরে নতুন শিশু জন্মের সংখ্যা ৭ লাখের নিচে নেমে এসেছে। জাপানে গত ১৬ বছর ধরে জন্মহার ক্রমাগত নিচে নামছে।

আরও পড়ুন:জাপানে চালের দাম বেড়ে প্রায় দ্বিগুন, কারণ কী?

১৮৯৯ সালে দেশটিতে নতুন শিশু জন্মের রেকর্ড রাখা শুরু হয়।

জাপানে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর সবার মধ্যে সন্তান নেওয়ার প্রবণতা তৈরি হয়। ১৯৪৯ সালে দেশটিতে প্রায় ২৭ লাখ নতুন শিশুর জন্ম হয়েছিল। অর্থাৎ সে বছরের তুলনায় গত বছর চারভাগের এক ভাগ শিশুর জন্ম হয়েছে।

জাপানের প্রধানমন্ত্রী শিগেরু ইশিবা এই পরিস্থিতিকে ‘নীরব জরুরি অবস্থা’ হিসেবে অভিহিত করেছেন। দম্পতিরা যেন কাজের পাশাপাশি শিশু জন্মদান ও তাদের লালনপালন করতে পারেন সেজন্য ভালো পরিবেশ তৈরির আশ্বাসও দিয়েছেন তিনি।

পূর্ব এশিয়ার দেশগুলোতে আশঙ্কাজনকহারে শিশু জন্মহার কমছে। যারমধ্যে অন্যতম জাপান। নতুন শিশুর জন্ম কমে যাওয়ায় দেশটিতে এখন বৃদ্ধের সংখ্যাই বেশি। যা ইতিমধ্যে তাদের অর্থনীতিতে প্রভাব ফেলা শুরু করেছে। জনসংখ্যা বাড়াতে গতকাল ভিয়েতনাম দুই শিশু নীতি বাতিলের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। যা সেখানে কয়েক দশক প্রচলিত ছিল।

শিশু জন্মের হার কমলেও জাপানে গত বছর বেড়েছিল বিয়ের সংখ্যা। গত বছর ৪ লাখ ৮৫ হাজার ৬৩ জন বিয়ে বন্ধনে আবদ্ধ হয়েছিলেন।

জাপানের তরুণ প্রজন্মের বেশিরভাগই বিয়ে ও সন্তান নেওয়ার ক্ষেত্রে অনীহা প্রকাশ করে। ভালো চাকরি না থাকা, জীবনযাত্রার ব্যয় বেশি হওয়ায় এবং লিঙ্গভিত্তিক কর্পোরেট সংস্কৃতির কারণে তাদের বিয়ে ও সন্তানের প্রতি আগ্রহ নেই।

সূত্র: সিএনএন

এধরনের খবর পড়তে ভিজিট করুন সোনালি বাংলা নিউজ