যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের ইরান-ইসরায়েল যুদ্ধবিরতি ঘোষণার পর ক্রমাগত কমছে তেলের দাম। গত এক সপ্তাহের মধ্যে সর্বনিম্ন পর্যায়ে নেমে এসেছে তেলের দাম। ব্রিটিশ বার্তাসংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বিশ্বব্যাপী ব্রেন্ট অপরিশোধিত তেলের দাম আরও ৪ শতাংশ কমে ব্যারেল প্রতি ৬৮ ডলার। যা সোমবারের ট্রেডিং সেশনে ৭ শতাংশ কমারই ধারাবাহিকতা। তেলের দাম এখন ১২ জুনের থেকেও কম। যেদিন ইসরায়েল প্রথম ইরানে আক্রমণ শুরু করেছিল।
মধ্যপ্রাচ্য পরিস্থিতির সঙ্গে তাল মিলিয়ে এশিয়ার শেয়ার বাজারগুলোও ইতিবাচক সাড়া দিচ্ছে। জাপান, দক্ষিণ কোরিয়া এবং অস্ট্রেলিয়ার প্রধান সূচকগুলোও ঊর্ধ্বমুখী।
আরও পড়ুনঃ ইরাকের ৩ সামরিক ঘাঁটি ও বাগদাদ বিমানবন্দরের কাছে হামলা
এর আগে সোমবার (২৩ জুন) বিকেলে কাতারের রাজধানী দোহার উপকণ্ঠে অবস্থিত যুক্তরাষ্ট্রের আল উদেইদ বিমানঘাঁটিতে ভয়াবহ ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালায় ইরান। এর কিছুক্ষণ পরই ইসরায়েল ও ইরান যুদ্ধবিরতিতে সম্মত হয়েছে বলে ঘোষণা দেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। নিজের মালিকানাধীন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ট্রুথ সোশ্যালে এ ঘোষণা দেন তিনি।
ট্রুথ সোশ্যালে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জানান, আগামী ‘প্রায় ছয় ঘণ্টার মধ্যে’ এ যুদ্ধবিরতি কার্যকর হবে। যখন উভয় দেশ তাদের চলমান সামরিক অভিযান ধীরে ধীরে গুটিয়ে নেবে।
হোয়াইট হাউসের এক কর্মকর্তা বলেছেন, ইরানের হামলা বন্ধ করার শর্তে ইসরায়েল যুদ্ধবিরতিতে সম্মত হয়েছে।
অন্যদিকে, টাইমসের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, যুদ্ধবিরতিতে রাজি নয় ইরান। ইরান ও ইসরায়েলের মধ্যে যুদ্ধবিরতি নিয়ে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প যে ঘোষণা দিয়েছেন তা সম্পূর্ণ মিথ্যা।
ইরানের শীর্ষ কর্মকর্তা বলেছেন, ইরান এখনো যুদ্ধবিরতির কোনো প্রস্তাব পায়নি। তাদের কাছে এমন কোনো প্রস্তাবের প্রয়োজনও নেই।
কাতারের রাজধানী দোহার উপকণ্ঠে অবস্থিত যুক্তরাষ্ট্রের আল উদেইদ বিমানঘাঁটিতে হামলা বিষয়ে ইরানের ইসলামিক রেভল্যুশনারি গার্ড কোর (আইআরজিসি) জানায়, পারমাণবিক স্থাপনায় মার্কিন হামলার প্রতিশোধস্বরূপ কাতার ও ইরাকের মার্কিন ঘাঁটিতে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালানো হয়েছে। ক্ষেপণাস্ত্র হামলার পাশাপাশি আধুনিক ড্রোনও ব্যবহার করা হয়েছে।
এদিকে, এ হামলার পরপরই তীব্র নিন্দা জানিয়েছে কাতারের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। কাতারের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র মাজেদ আল-আনসারি বলেন, এ হামলা কাতারের সার্বভৌমত্ব, আকাশসীমা এবং জাতিসংঘ সনদের সুস্পষ্ট লঙ্ঘন। কাতার রাষ্ট্র হিসেবে, এ প্রকাশ্য আগ্রাসনের জবাবে আন্তর্জাতিক আইনের আওতায় সরাসরি জবাব দেওয়ার অধিকার সংরক্ষণ করে।
তবে, হামলার বিষয়ে এক বিবৃতিতে ইরান জানিয়েছে, কাতারে যুক্তরাষ্ট্রের আল উদেইদ বিমানঘাঁটিতে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালানো হয়েছে। এই হামলা ভ্রাতৃপ্রতিম কাতার বা দেশটির জনগণের বিরুদ্ধে নয়। আবাসিক এলাকা থেকে দূরের মার্কিন ঘাঁটিতে এ হামলা চালানো হয়েছে।
এধরনের খবর পড়তে ভিজিট করুন সোনালি বাংলা নিউজ