বাংলাদেশ পোশাক প্রস্তুতকারক ও রপ্তানিকারক সমিতির (বিজিএমইএ) সঙ্গে দীর্ঘদিনের অংশীদারত্ব আরও জোরদার করবে ওয়ার্ল্ডওয়াইড রেসপন্সিবল অ্যাক্রেডিটেড প্রোডাকশন (ডব্লিউআরএপি)।
সোমবার (৭ জুলাই) বিজিএমইএ সভাপতি মাহমুদ হাসান খানের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন ডব্লিউআরএপির হেড অব অপারেশনস ফর বাংলাদেশ অ্যান্ড পাকিস্তান কামরুন নাহার। আলোচনাকালে ডব্লিউআরএপির অডিটের বিভিন্ন দিকও উঠে আসে। সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন বিজিএমইএর পরিচালক নাফিস-উদ-দৌলা এবং ডব্লিউআরএপির ম্যানেজার অব অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ অপারেশনস তানজিনা আফরিন।
আরও পড়ুনঃ প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারীর কাছে যেসব অনুরোধ জানালো বিজিএমইএ
বৈঠকে বিজিএমইএ সভাপতি মাহমুদ হাসান খান বলেন, বিজিএমইএ ও ডব্লিউআরএপি দীর্ঘদিন ধরে বাংলাদেশের পোশাক খাতে নৈতিক ও টেকসই উৎপাদনের প্রসারে সম্মিলিতভাবে কাজ করছে এবং এই অংশীদারত্ব আরও জোরদার করা হলে তা বাংলাদেশের পোশাকশিল্পে সহায়ক ভূমিকা পালন করবে।
তিনি পোশাক ব্র্যান্ডদের সঙ্গে আলোচনা করে বাংলাদেশের পোশাক শিল্পের জন্য একটি সমন্বিত আচরণবিধি (ইউনিফায়েড কোড অব কন্ডাক্ট) প্রণয়নে উদ্যোগ গ্রহণের জন্য ডব্লিউআরএপিকে অনুরোধ জানান।
ডব্লিউআরএপির হেড অব অপারেশনস ফর বাংলাদেশ অ্যান্ড পাকিস্তান কামরুন নাহান বলেন, এ ব্যাপারে তাদের প্রচেষ্টা অব্যাহত আছে। তিনি বিজিএমইএ সদস্যদের জন্য ডব্লিউআরএপি প্রশিক্ষণ কোর্সগুলোতে আরও সক্রিয় ভূমিকা গ্রহণের বিষয়ে সভাপতিকে অনুরোধ জানান।
বৈঠকে ২০২২ সালে বিজিএমইএ ও ডব্লিউআরএপি যে সমঝোতা স্মারক (এমওইউ) সই করেছিল, তার সম্পূর্ণ বাস্তবায়নসহ সহযোগিতার সম্ভাব্য ক্ষেত্রগুলো অন্বেষণ করা হয় এবং অডিটের মানদণ্ডগুলোকে সময়োপযোগী করা নিয়েও আলোচনা হয়। বিশেষ করে অডিট প্রক্রিয়ায় কারখানা ভবনের ছাদ ৩০ শতাংশ খোলা রাখা (এতে করে কারখানাগুলো ছাদে সৌরবিদ্যুৎ স্থাপন করতে পারে না), শেয়ার্ড কারখানা ভবন বিষয়ে বাধ্যবাধকতা থেকে শিল্পকে অব্যাহতিদানের ওপর তারা গুরুত্বারোপ করেন।
বিজিএমইএ সভাপতি ডব্লিউআরএপিকে সংস্থাটির অডিট থেকে বাংলাদেশের পোশাক কারখানাগুলোর যে সামগ্রিক চিত্র উঠে আসে, তা বিজিএমইএকে শেয়ার করার অনুরোধ জানিয়েছেন।
তিনি বলেন, এটি শিল্পের জন্য নীতি প্রণয়নে সহায়তা করবে এবং বিশ্বে নৈতিক উৎপাদনের একটি পছন্দের কেন্দ্র হিসেবে আমাদের পোশাক শিল্পের অবস্থানকে আরও শক্তিশালী করবে।
এধরনের খবর পড়তে ভিজিট করুন সোনালি বাংলা নিউজ।