প্রাথমিক গণপ্রস্তাব (আইপিও)-এর দীর্ঘসূত্রতা কমিয়ে ছয় মাসের কম সময়ের মধ্যে আইপিও প্রক্রিয়া শেষ করা হবে বলে জানিয়েছেন ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) চেয়ারম্যান মমিনুল ইসলাম।
মঙ্গলবার (৮ জুলাই) বাংলাদেশ মার্চেন্ট ব্যাংকার্স অ্যাসোসিয়েশন (বিএমবিএ) আয়োজিত ‘ক্যাপিটাল মার্কেটের সম্প্রসারণ: টেকসই অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির জন্য একটি কাঠামো’ শীর্ষক আলোচনা সভায় তিনি এ কথা বলেন। এতে সভাপতিত্ব করেন বিএমবিএ সভাপতি মাজেদা খাতুন।
আরও পড়ুনঃ শেয়ারবাজারের নিয়ন্ত্রক সংস্থা শাস্তি না দিয়ে সহযোগী হয়েছে : ডিএসই চেয়ারম্যান
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী (প্রতিমন্ত্রী, অর্থ) ড. আনিসুজ্জামান চৌধুরী ও বিশেষ অতিথি হিসেবে আইসিবির এমডি নিরঞ্জন চন্দ্র দেবনাথ, ডিএসই চেয়ারম্যান মমিনুল ইসলাম, সিএসই চেয়ারম্যান হাবিবুর রহমান ও এপেক্স ফুটওয়্যারের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সৈয়দ নাসিম মঞ্জুর উপস্থিত ছিলেন।
ডিএসই চেয়ারম্যান বলেন, বিএসইসি লিস্টিংয়ের কাজ স্টক এক্সচেঞ্জের কাছে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এর মাধ্যমে আইপিও প্রক্রিয়া দীর্ঘায়িত করার সমস্যার সমাধান করা হবে।
তিনি বলেন, গত ১ বছরে কোনো আইপিও আসেনি। এই আইপিও আনা বিএসইসির কাজ না। এ দায়িত্ব মার্চেন্ট ব্যাংকারদের। ৬৬টি মার্চেন্ট ব্যাংক গত ১৫ বছরে ১৩৮ কোম্পানি শেয়ারবাজারে এনেছে। এক্ষেত্রে তাদের পারফরমেন্স কোথায়?
এসময় তিনি আরও বলেন, গত কয়েক বছরে আইপিওতে আসা কিছ কোম্পানির গুণগতমান নিয়ে প্রশ্ন আছে। তবে সব কোম্পানির দর বাড়বে, এটা ভাবাও ঠিক না।
পুঁজিবাদের শ্রেষ্ঠ আবিষ্কার শেয়ারবাজার। এমন মন্তব্য করে মমিনুল ইসলাম বলেন, গত ১৫ বছরে আমাদের শেয়ারবাজারে অনেক অনিয়ম হয়েছে। এখন সেগুলো সমাধানে কাজ করা হচ্ছে। তবে সময় লাগছে। কারণ অনিয়মের পরিমান ছিল ভয়াবহ।
এপেক্স ফুটওয়্যারের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সৈয়দ নাসিম মঞ্জুর এ সময় বলেন, বাংলাদেশে আইপিও অনুমোদন পেতে ২-৩ বছর সময় লাগে। কিন্তু ভারতে লাগে ৬ মাস। তাই আমাদেরকে আইপিও প্রক্রিয়া সহজ করে সময় কমিয়ে আনতে হবে।
এধরনের খবর পড়তে ভিজিট করুন সোনালি বাংলা নিউজ।