ঢাকাই সিনেমার শীর্ষ নায়ক শাকিব খান এবং অপু বিশ্বাসের বিয়ে, বিচ্ছেদ ও বর্তমান সম্পর্কের সমীকরণ নিয়ে বিতর্কের শেষ নেই।
২০০৮ সালে গোপনে বিয়ে করেছিলেন ঢালিউডের জনপ্রিয় এই জুটি। দীর্ঘদিন বিষয়টি গোপন রাখলেও ২০১৭ সালে সন্তান আব্রাম খান জয়ের জন্মের পর বিষয়টি প্রকাশ্যে আসে।
আরও পড়ুনঃ আজ থেকে যুক্তরাষ্ট্রের ১৫ প্রেক্ষাগৃহে শাকিবের ‘বরবাদ’
এর এক বছর পরই বিচ্ছেদের পথে হাঁটে এই জুটি। যদিও মাঝে অনেকগুলো বছর কেটে গেলেও এখনও শাকিবের সঙ্গে সুসম্পর্ক নায়িকার। যে কারণে প্রায়ই সন্তানের বাবাকে নিয়ে বিভিন্ন প্রশ্নের মুখে পড়তে হয় অপু বিশ্বাসকে।
এই যেমন সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে অপু বিশ্বাসের কাছে জানতে চাওয়া হয়, শাকিবের সঙ্গে বিয়ের সময় কত ভরি গহনা পরেছিলেন?
প্রশ্ন শুনে প্রথমে কিছুটা স্তম্ভিত হয়ে যান অপু। এরপর মুচকি হেসে বলেন, “কত ভরি, সেটা বলা কি খুব দরকার? গোপনে বিয়ে করেছিলাম তো। সুতরাং যতটা পরার কথা ছিল ততটা পরিনি। খুবই ছিমছামভাবে বিয়ে হয়েছিল আমাদের।”
বিয়ের পর অপু বিশ্বাসের ধর্ম পরিবর্তন নিয়ে নানা গুঞ্জন তৈরি হয়েছিল। এ বিষয়ে অপু এক সাক্ষাৎকারে জানান, “সত্যি বলতে, বিয়ের পরও আমি নিজের ধর্মেই ছিলাম। ক্যামেরার সামনে অনেক মিথ্যা বলেছি, ক্যারিয়ারের জন্য। শাকিব তখন আমার স্বামী ছিল, তাকে সাপোর্ট করাই দায়িত্ব ছিল। সবাই ভাবত যেহেতু আমি মুসলিম ছেলেকে বিয়ে করেছি, আমিও মুসলিম হয়েছি। কিন্তু আসলে আমি হিন্দুই ছিলাম এবং আছি। বিয়ের পর ধর্ম পরিবর্তনের যে আনুষ্ঠানিকতা থাকে, সেগুলো হয়নি।”
সাক্ষাৎকারে অপু আরও জানান, সন্তানকে নিয়ে ফেসবুক লাইভে আসার পরেই সবাই জানতে পারেন তিনি বিবাহিত এবং শাকিবের সঙ্গে তার সন্তান রয়েছে।
আইনি বিচ্ছেদের পরও ছেলের জন্য তারা একসঙ্গে দায়িত্ব পালন করছেন বলে জানিয়েছেন অভিনেত্রী। তবে তাদের বিয়ের গোপনীয়তা এবং গহনা পরা নিয়ে দর্শকের কৌতূহল রয়ে গেলেও, অপু স্পষ্ট করে জানিয়ে দিয়েছেন, “গোপনে বিয়ে হয়েছিল, গহনার চাকচিক্য দিয়ে নয়, ভালোবাসা দিয়েই সে বিয়ের গুরুত্ব ছিল।”
ধরনের খবর পড়তে ভিজিট করুন সোনালি বাংলা নিউজ।