কলকাতার এই প্রজন্মের নায়িকা কৌশানি মুখার্জি। কলকাতার পাশাপাশি কাজ করেছেন বাংলাদেশের সিনেমাতেও। ‘পারব না আমি ছাড়তে তোকে’ চলচ্চিত্রে বনি সেনগুপ্তের বিপরীতে অভিনয়ের মাধ্যমে চলচ্চিত্র জগতে প্রবেশ করেন। নিজের অভিনয় দক্ষতা দিয়ে দর্শকমহলে বেশ প্রশংসিত হয়েছেন।
ভারতীয় গণমাধ্যমের এক প্রতিবেদন কৌশানি মুখার্জি বলেন, ‘এ বছরের পূজা অন্য রকম। পূজার আগে শহর জুড়ে অনাকাঙ্ক্ষিত মৃত্যুর গন্ধ। তার মধ্যেই মাত্র চার দিনের জন্য দেবী আসছেন। অনেক বিষাদেও ভাল লাগার আবেশ। আর এ বছর আমার পূজায় মুক্তি ছবি, ‘বহুরূপী’। তাই এ বারের পূজায় যতটা বনি সেনগুপ্তের সঙ্গে ততটা শিবপ্রসাদ মুখোপাধ্যায়েরও।’
ছোটবেলার স্মৃতির কথা উল্লেখ করে বলেন, ‘আমার কাছে পূজা মানে ছোটবেলায় ফিরে যাওয়া। মায়ের সঙ্গে ব্যাগ ভরে কেনাকাটা। মা আর নেই। বাবা সব সময় সেই ফাঁক পূরণ করার চেষ্টা করেই চলেছে। তবু সেই ফাঁক কি ভরে? আমার কাছে দেবী তাই মাতৃস্বরূপিণী। চারটে দিন সব দুঃখ পাশে সরিয়ে একটু বেশি হাসিখুশি থাকার দিন। এ বছর নানা কারণে পূজার কেনাকাটা এখনও করে উঠতে পারিনি। তবে ব্লাউজ বানাতে দিয়েছি বেশ কয়েকটি। আমার পূজা মানেই শাড়ি। আমার বাড়িতেও দেবী পূজা হয়। ফলে, দিনের বেশির ভাগ চলে যায় সেই আয়োজনে।’
অভিনেত্রীর ভাষ্য, ‘ছোটবেলাটাকে খুব মিস করি, জানেন! শিউলির গন্ধে, ঢাকের বোলে ঘুম ভাঙা। সকাল সকাল স্নান সেরে মণ্ডপে। বন্ধুরাও হাজির অষ্টমীর অঞ্জলি। আড়নজরে সুন্দর পুরুষের সঙ্গে চোখা-চোখি। পাড়ার সৌন্দর্য প্রতিযোগিতায় প্রতি বছর সেরার সেরা’র শিরোপা। মনটা ভালো হয়ে যেত। দিনগুলোই অন্য রকম। সে সব আনন্দের পুরোটা না থাক এখনও অনেকটাই আছে। প্যান্ডেলে প্যান্ডেলে ঘোরা আছে। ফুচকা, ঠাকুরের ভোগ, বিরিয়ানি খাওয়া আছে। ভরপেট পেটপূজা করে ওজন বাড়িয়ে ফেলা আছে। ‘
শেষে কৌশানি কথায়, ‘সকালে শাড়ি বিকেলে ড্রেস পরা আছে। আর আছে অনুরাগীদের ভিড়ে নিজের জনপ্রিয়তা আরও এক বার যাচাই করে নেওয়ার তাগিদ। মজার কথা কী জানেন, আমি আর বনি যখন বেরোই তখন বেশি ভিড় কিন্তু বনিকে ঘিরেই। নিজস্বী তোলার ভিড়। আমায় অনেকেই কেন যেন একটু সমঝে চলেন! ভাবেন বোধহয়, যদি বকে দিই। যদিও আমি একেবারেই তেমন নয়। আর হ্যাঁ, এ বছর প্যান্ডেলের পাশাপাশি প্রেক্ষাগৃহে যাওয়াও আছে। ছবি দেখার পর দর্শকদের মুখোমুখি। আজও নতুন ছবি মুক্তির পর ভয়ে বুক ঢিপঢিপ করে। এ বছরের পূজার ক্যালেন্ডার আপাতত এ ভাবেই সাজানো।‘