ইন্টারনেট বন্ধ থাকায় ক্ষতির মুখে পড়া ফ্রিল্যান্সারদের প্রণোদনা দেয়ার উদ্যোগ নেওয়ার কথা জানিয়েছেন ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্য প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক।
মঙ্গলবার (৩০ জুলাই) দুপুরে আগারগাঁওয়ে বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিল সভাকক্ষে চলমান সময়ের সাইবার নিরাপত্তা বিষয়ক জরুরি সভা পরবর্তী সংবাদ সম্মেলনে তিনি একথা জানান।
সংবাদ সম্মেলনে কোটা সংস্কার আন্দোলনে সহিংসতার সময় ইন্টারনেট বন্ধে ক্ষতিগ্রস্ত ফ্রিল্যান্সারদের সরকারি সহায়তা দেওয়া হবে কিনা, প্রশ্ন করা হয় পলককে। উত্তরে তিনি বলেন, আমি ব্যক্তিগতভাবে সাত লাখ ফ্রিল্যান্সার ভাই-বোনদের কাছে আনুষ্ঠানিকভাবে দুঃখ প্রকাশ করছি। এই অনাকাঙ্খিত পরিস্থির জন্য আমরা খুবই দুঃখিত। তবে এই ক্ষতিটা কাটিয়ে ওঠার জন্য সরকার চেষ্টা করবে যাতে ইন্টারনেট সুন্দরভাবে চলমান থাকে এবং পাশাপাশি ফ্রিল্যান্সার ভাই-বোনরা তাদের সার্ভিস এক্সপোর্টের ওপর যাতে ইনটেনসিভ পায়। সেজন্য আমি বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সাথে কথা বলবো।
তাদেরকে সরাসরি কোনো ফাইন্যান্সিয়াল সাপোর্ট দিতে না পারলেও ফ্রির্যান্সার ভাই-বোনরা যারা সার্ভিস এক্সপোর্ট করে সেটার ওপর যাতে একটা পার্সেন্টটেজ- অর্থাৎ ২, ৩, ৪ শতাংশ যাতে ক্যাশ ইনটেনসিভ পায়। এতে তারা আর্থিকভাবে অনেকটা লাভবান হবে। এর পাশাপাশি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ফ্রিল্যান্সাদেরকে অন্যান্য সাপোর্ট যেমন- প্রশিক্ষণ কিংবা তাদের যে আইডেন্টিটি সার্ভিস এগুলো দিতে আমরা চেষ্টা করব।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, আমরা সবাই ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছি। পোশাক শিল্প বলুন, ফ্রিল্যান্সার বলুন, ই-কমার্স বলুন সবার ক্ষতি। ক্ষতিটা যারা করলো তাদের ব্যাপারেও জনমত গঠন করা দরকার। এই যে জনগণের সম্পদ ধংস করল।
ফাইবার অপটিক্যাল ক্যাবল পুড়ল, দেশের সম্পদ ক্ষতিগ্রস্ত হলো। ডেটা সেন্টারে হামলা করল, সার্ভার পুড়িয়ে দিল, গাড়ি বা মেট্রো পুড়িয়ে দিল তাতে দেশের সম্পদেরই ক্ষতি হল। আন্দোলন যারা সহিংসতায় নিয়ে গেল তাদের বিরুদ্ধে যেন আমরা সবাই ঐক্যবদ্ধ হয়ে এ ধরনের ঘটনা না ঘটায় এবং এ ধরনের উস্কানিতে বিভ্রান্তি না হই।