ঢাকায় দুই ডজন বাড়ি ও অর্ধশতাধিক ফ্ল্যাট ডিবি হারুনের

সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আমলে দখল, ঋণ কেলেঙ্কারি আর লুটপাটে ভয়ঙ্কর রূপ নিয়েছে ব্যাংক খাত। এ সময়ে ব্যাংক লুটপাটের মূল নায়ক এস আলম গ্রুপ ইসলামী ব্যাংকসহ প্রায় আটটি ব্যাংক দখলে নেয়। এস আলম গ্রুপের নামে-বেনামে ২৪টি ব্যক্তি ও কোম্পানি ইসলামী ব্যাংকের ৮২ শতাংশ শেয়ার দখল করে রেখেছে। এস আলমের দখলে থাকা ইসলামী ব্যাংকের এসব শেয়ার বিক্রি বা হস্তান্তরের ওপর নিষেধাজ্ঞার দাবি তুলেছেন ব্যাংকটির শেয়ারধারীরা।

রবিবার (১৮ আগস্ট) পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) চেয়ারম্যান বরাবর লিখিতভাবে এ দাবি জানানো হয়।

এ বিষয়ে বিএসইসির কমিশনার ও ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান মু. মোহসিন চৌধুরী গণমাধ্যমকে বলেন, চেয়ারম্যান দপ্তর সেটা গ্রহণ করেছে। আমরা দেখব, সেটা। তবে এটা প্রক্রিয়াধীন থাকার মধ্যেই নতুন চেয়ারম্যান চলে আসবেন।

চিঠির অনুলিপি পাঠানো হয়েছে ঢাকা ও চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জ এবং শেয়ারের জিম্মাদার প্রতিষ্ঠান সেন্ট্রাল ডিপজিটরি বাংলাদেশ লিমিটেডের (সিডিবিএল) ব্যবস্থাপনা পরিচালকের কাছে পাঠানো হয়েছে।

চিঠিতে বলা হয়, এস আলম গ্রুপ আইন কানুনকে পাশ কাটিয়ে বিভিন্ন অবৈধ পন্থা ও প্রভাবের মাধ্যমে ব্যাংক থেকে বিনিয়োগ (ঋণ) সৃষ্টি করে সেই অর্থ দিয়ে দেশ এবং বিদেশের একাধিক কোম্পানির মাধ্যমে ব্যাংকের শেয়ার কেনে। একই প্রক্রিয়ায় ব্যাংকের দীর্ঘদিনের শেয়ারহোল্ডারদের ধারণকৃত শেয়ার বিক্রি করতে বাধ্য করে। এভাবে ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ পিএলসির মতো একটি অতি গুরুত্বপূর্ণ স্ট্র্যাটেজিক ব্যাংকের মোট শেয়ারের প্রায় ৮২ শতাংশ কুক্ষিগত করে নেয়।

নির্ভরযোগ্য সূত্রের কথা উল্লেখ করে ইসলামী ব্যাংকের শেয়ারধারীরা জানিয়েছেন, তাদের কাছে তথ্য রয়েছে যে, ২৪টি কোম্পানির নামে ইসলামী ব্যাংকের শেয়ার ধারণ করছে এস আলম ও তার পরিবার।

বিএসইসির হস্তক্ষেপ কামনা করে চিঠিতে বলা হয়, ইসলামী ব্যাংকের আমানতকারী এবং সাধারণ শেয়ারহোল্ডারদের স্বার্থে শেয়ার হস্তান্তর বা বিক্রিতে জরুরি ভিত্তিতে সাময়িক নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হোক। এ লক্ষ্যে সিডিবিএলসহ অন্যান্য নিয়ন্ত্রক সংস্থাকে দ্রুত প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশনা প্রদানের আহ্বান জানানো হয়।