চাকরি জাতীয়করণের দাবিতে সাত ঘণ্টা ধরে রাজধানীর শাহবাগ মোড় অবরোধ করেছেন বাংলাদেশ আউটসোর্সিং কর্মচারী কল্যাণ পরিষদের কর্মচারীরা। আজ শনিবার (১৯ অক্টোবর) সকাল ১০টা থেকে এ অবরোধ শুরু করেন তারা। বিকেল ৫টার সময় এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত অবরোধে অবরোধে শাহবাগ ও তার আশপাশে দেখা দিয়েছে তীব্র যানজট। এর প্রভাব পড়েছে রাজধানীজুড়ে। এতে ভোগান্তিতে পড়েছেন চলাচলকারী মানুষ।
শনিবার বিকেলে শাহবাগ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ খালিদ মনসুর এ তথ্য জানান।
অবরোধকারীরা সরকারি, স্বায়ত্তশাসিত দপ্তর, অধিদপ্তরের সব প্রতিষ্ঠানে আউটসোর্সিং প্রকল্পে কর্মরতদের চাকরি স্থায়ী করার এক দফা দাবি জানিয়েছেন।
শাহবাগ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ খালিদ মনসুর বলেন, আউটসোর্সিং কর্মীরা চাকরি জাতীয়করণের দাবিতে শাহবাগ এলাকায় রাস্তা অবরোধ কর্মসূচি পালন করছেন। তাদের এই রাস্তা অবরোধের কারণে শাহবাগ ও এর আশপাশ এলাকায় তীব্র যানজটের সৃষ্ট হয়েছে। সাত ঘণ্টা ধরে এ অবরোধ চলছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা চলছে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, সকাল ১০টার দিকে কয়েকশ কর্মচারী শাহবাগে জড়ো হয়ে আশেপাশের এলাকায় যান চলাচল বন্ধ করে দেন। সৃষ্টি হয় যানজটের। ভোগান্তিতে পড়ে সড়কে চলাচলকারী যাত্রীরা। এ সময় অনেক যাত্রীকে বাস থেকে নেমে হেঁটে গন্তব্যের উদ্দেশে যেতে দেখা যায়।
বিকেল ৪টার আগে বাংলাদেশ আউটসোর্সিং কর্মচারী কল্যাণ পরিষদের কর্মচারীদের ছয়জনের একটি প্রতিনিধিদল অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টার বাসভবন যমুনার উদ্দেশে গেছে। কর্মচারী পরিষদের সভাপতি মাহবুবুর রহমান বলেন, আলোচনার জন্য যমুনা থেকে তাদের ডাকা হয়েছে। দাবি মেনে নেওয়া হলে তারা সরে যাবেন। আর দাবি না মানা হলে শাহবাগেই অবস্থান করবেন বলে জানান তিনি।
দুপুরে গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি শাহবাগ মোড়ে আসেন। তিনি অবরোধকারীদের প্রতি সংহতি জানান। তাদের দাবি মেনে নিতে সরকারের প্রতি আহ্বান জানান।
অবরোধ চলাকালে আউটসোর্সিং খাতে নিয়োজিত কর্মচারীরা বেশ কিছু অভিযোগ তুলে ধরেছেন। তাদের অভিযোগ, টেন্ডার জটিলতায় কর্মরত অনেকের চাকরি চলে যায়, বছর শেষে জুন মাসে নবায়ন করার নামে বিপুল অঙ্কের ঘুষ দাবি করা হয়, ঘুষ না দিলে চাকরি চলে যায়। এ ছাড়া প্রতি মাসে বেতন না পাওয়া, কখনো কখনো পাচ থেকে ছয় মাস আবার এক থেকে দুই বছরও বেতন বকেয়া থাকে বলে অভিযোগ করেছেন অবরোধকারীরা।