জাতীয়তাবাদী গণতান্ত্রিক আন্দোলনের (এনডিএম) চেয়ারম্যান ববি হাজ্জাজ বলেছেন, সংস্কার এবং নির্বাচন নিয়ে আলোচনা হয়েছে। নির্বাচন নিয়ে আমরা বলেছি আমরা বিশ্বাস করি, ২০২৫ সালের জুন বা জুনের পরেই নির্বাচন দেওয়া সম্ভব। উনাদের চিন্তাভাবনা প্রয়োজন। উনারা আমাদের আশ্বাস দিয়েছেন আমাদের সঙ্গে আলোচনা অব্যাহত রাখবেন এবং আমাদের সঙ্গে বিভিন্ন বিষয়ে আলোচনা চালিয়ে যাবেন।
অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে তার সরকারি বাসভবন যমুনায় সংলাপ শেষে শনিবার (১৯ অক্টোবর) সন্ধ্যায় সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন তিনি।
ববি হাজ্জাজ বলেন, নির্বাচন সম্বন্ধে বৈঠকে আমাদের জানিয়েছেন ছয়টি কমিশনের রিপোর্ট আসার পর প্রধান উপদেষ্টা আমাদের সঙ্গে আরেকবার সংলাপে বসবেন। কমিশন যেসব সংস্কার প্রস্তাব করবে সেগুলো এই সরকার করবে নাকি নির্বাচিত সরকার করবে সে বিষয়ে আমাদের মতামত জানতে চাইবেন। আমাদের সঙ্গে আলোচনা করেই উনারা নির্বাচনের তারিখ নির্ধারণ করবেন এবং তার আগেই নির্বাচনের রোডম্যাপ জানানোর চেষ্টা করবেন।
তিনি বলেন, আমি আস্থা রাখি আজ প্রধান উপদেষ্টা আমাদের যে কথাগুলো বলেছেন সে মোতাবেক সামনে কাজগুলো হবে এবং সামনে সুন্দরভাবে একটি নির্বাচন আমরা দেখতে পাব।
গণঅভ্যুত্থানে আহত-নিহতদের প্রতি বিশেষ নজর রাখা, আওয়ামী লীগের দোসরদের সঠিক বিচারের আওতায় আনা, আওয়ামী লীগের আমলে বিরোধী রাজনৈতিক নেতাদের বিরুদ্ধে দায়ের হওয়া মামলা প্রত্যাহার, উপদেষ্টা পরিষদের আকার বাড়িয়ে সেখানে ব্যবসায়ী, চিকিৎসক এবং পুলিশের অবসরপ্রাপ্তদের মধ্য থেকে উপদেষ্টা নিয়োগ দেওয়ার দাবি জানিয়েছেন এনডিএম চেয়ারম্যান।
এদিন ধারাবাহিক সংলাপের অংশ হিসেবে ড. মুহাম্মদ ইউনূসর কয়েকটি রাজনৈতিক দল ও জোটের সঙ্গে সংলাপে বসছেন। এ দফায় গণফোরাম, লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টি (এলডিপি), ১২ দলীয় জোট, জাতীয়তাবাদী সমমনা জোট, জাতীয় মুক্তি কাউন্সিল, জাতীয় পার্টি-বিজেপি (পার্থ), লেবার পার্টিসহ আরও কয়েকটি দলকে সংলাপে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে বলে জানা গেছে।
গত ৫ অক্টোবর বিএনপি, জামায়াতে ইসলামী, গণতন্ত্র মঞ্চ, হেফাজতে ইসলাম, বাম গণতান্ত্রিক জোট, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ, এবি পার্টি, গণঅধিকার পরিষদের সঙ্গে সংলাপ করেন প্রধান উপদেষ্টা।
ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা সরকারের পতন ঘটে গত ৫ আগস্ট। ৮ আগস্ট অন্তর্বর্তী সরকারের দায়িত্ব নেন ড. মুহাম্মদ ইউনূস। তার সরকার এরই মধ্যে দুই দফা রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে সংলাপ করেছে।
তবে আগের দুই দফা ও আগামীতেও ‘ফ্যাসিবাদী শাসন’ ও ‘গণহত্যায়’ অভিযুক্ত আওয়ামী লীগকে সংলাপে আমন্ত্রণ জানানো হয়নি এবং হবে না বলে আগেই জানিয়েছে সরকার। আর আওয়ামী লীগের সময়ের ‘গৃহপালিত’ বিরোধী দল জাতীয় পার্টিকে প্রথম দফায় সংলাপে ডাকা হলেও পরে এবার বাদ পড়েছে।