নিউজের সারমর্ম:
- জাপানের প্রধানমন্ত্রী ফুমিও কিশিদা রাজনৈতিক কেলেঙ্কারির অভিযোগে সেপ্টেম্বরে পদত্যাগের ঘোষণা দিয়েছেন।
- কিশিদা জানিয়েছেন যে জনগণের আস্থা ছাড়া রাজনীতি চলতে পারে না এবং তিনি আর নির্বাচনে দাঁড়াবেন না।
- তার জনপ্রিয়তা কমার মূল কারণ হলো এলডিপির সঙ্গে ইউনিফিকেশন চার্চের বিতর্কিত সম্পর্ক এবং মুদ্রাস্ফীতি।
- এলডিপির নবনির্বাচিত প্রধানকে দলকে ঐক্যবদ্ধ করার পাশাপাশি ভূ-রাজনীতিগত চ্যালেঞ্জ এবং ক্রমবর্ধমান ব্যয়ের সমস্যা মোকাবেলা করতে হবে।
- রাষ্ট্রবিজ্ঞানের অধ্যাপক কোইচি নাকানো কিশিদার পদত্যাগের বিষয়টিকে মর্যাদার সঙ্গে পরাজিত হওয়া হিসেবে বর্ণনা করেছেন।
পদত্যাগ করতে যাচ্ছেন জাপানের প্রধানমন্ত্রী ফুমিও কিশিদা। আগামী সেপ্টেম্বরে নিজের দল ক্ষমতাসীন লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টির প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতাও করবেন না বলে জানিয়েছেন তিনি। Bangla news
বুধবার (১৪ আগস্ট) সকালে টোকিওতে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি নিজেই পদত্যাগের এ ঘোষণা দেন। খবর বিবিসির।
Bangla news প্রতিবেদনে বলা হয়, সেপ্টেম্বর মাসে লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টির প্রেসিডেন্ট হিসেবে কিশিদার মেয়াদ শেষ হবে। এরপর নতুন মেয়াদে দলের দায়িত্ব নিতে আর নির্বাচন করবেন না তিনি।
আরও পড়ুনঃ অ্যাটর্নি জেনারেল কার্যালয়ের ৭০ আইন কর্মকর্তার পদত্যাগ
২০২১ সালের অক্টোবরে জাপানের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব নেন কিশিদা। তিন বছরের শাসনকালে তিনি দেশের প্রতিরক্ষা ব্যয় বৃদ্ধি করেছেন, নিরাপত্তার বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করেছেন, দক্ষিণ কোরিয়ার সঙ্গে সম্পর্ক উন্নত করেছেন এবং করোনা মহামারি সামাল দিয়েছেন। তবে মূল্যবৃদ্ধি ও রাজনৈতিক কেলেঙ্কারির কারণে সমালোচিতও হয়েছেন।
তার শাসনামলে জাপানে জিনিসপত্রের দাম বেড়েই চলেছে। গত মাসে অপ্রত্যাশিতভাবে সুদহার বাড়িয়েছে জাপানি কেন্দ্রীয় ব্যাংক। এর জেরে শেয়ার বাজারে অস্থিতিশীলতা ছাড়াও জাপানি মুদ্রা ইয়েনের দরপতন হয়েছে। এসব কারণে বড় ধরনের ধস নেমেছে কিশিদার জনসমর্থনে।
গত মাসে জাপানি সংবাদমাধ্যম জিজি প্রেসের এক জনমত জরিপে দেখা যায়, কিশিদার জনসমর্থন এখন ১৫ দশমিক ৫ শতাংশে নেমে গেছে। স্থানীয় কিছু গণমাধ্যমের বিশ্লেষণে বলা হচ্ছে, ব্যাপকভাবে জনসমর্থন হারানোর কারণেই মূলত আর নির্বাচন না করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন কিশিদা।
২০২৩ সালের এপ্রিলে একটি অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেওয়ার সময় কিশিদাকে লক্ষ্য করে স্মোক বোমা ছোড়া হয়েছিল। এর আগে, ২০২২ সালের জুলাইয়ে একটি সভায় বক্তব্য দেওয়া সময় জাপানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী শিনজো আবেকে গুলি করে হত্যা করা হয়েছিল।
আরও পড়ুনঃ Sonali Bangla News