বাফুফের সাবেক সভাপতি কাজী সালাউদ্দিন আজ (বুধবার) দুপুরে বাফুফে ভবনে এসেছিলেন। সাফের কাজে সেখানে প্রায় ঘণ্টা তিনেক সময় ছিলেন তিনি। গত ২৬ অক্টোবর বাফুফে নির্বাচনের পর দেশের কিংবদন্তি ফুটবলার আজই প্রথম ফেডারেশনে আসলেন।
বাংলাদেশের ক্রীড়া সংস্কৃতিতে দুই শীর্ষ ফেডারেশন ফুটবল ও ক্রিকেটের সভাপতি দায়িত্ব ছাড়ার পর সাধারণত ফেডারেশন বা বোর্ডমুখী হন না। সালাউদ্দিনের আকস্মিক আগমনে ফুটবলাঙ্গনে কৌতূহল– হঠাৎ তিনি কেন ফেডারেশনে? বাফুফে ভবন থেকে বেরিয়ে যাওয়ার পথে কাজী সালাউদ্দিন উপস্থিত সাংবাদিকদের বলেন, ‘এটা (ভবন) বাংলাদেশ ফুটবলের হোম, এমনিই আসলাম। বাংলাদেশ সাফের কিছু টুর্নামেন্ট হোস্টিং (স্বাগতিক) করতে চায়। এটা নিয়ে কিছু কাজ ছিল।’
গত ১৬ বছর কাজী সালাউদ্দিনের মূল পরিচয় ছিল বাফুফে সভাপতি। তিনি বাংলাদেশের ফুটবলের অন্যতম সেরা ফুটবলারও। বাফুফের নতুন কমিটি এসেছে ৩ মাস। তিন মাসের এই কমিটির কার্যক্রম নিয়ে তার পর্যবেক্ষণ, ‘আসলে আমি সেভাবে ফলো করি না, গণমাধ্যমও দেখা হয় না। আশা করি ভালোই হওয়ার কথা। যারা আছে, তারা ফুটবল ও খেলার সঙ্গেই ছিল।’
বাংলাদেশের হয়ে খেলবেন ইংল্যান্ড প্রবাসী ফুটবলার হামজা চৌধুরী। ইংলিশ প্রিমিয়ার ফুটবল লিগে খেলা এই ফুটবলারের প্রক্রিয়া সালাউদ্দিনের সময়ে শুরু হয়েছিল। তার সম্পর্কে সালাউদ্দিন বলেন, ‘হামজা বাংলাদেশের হয়ে খেলাটা দারুণ বিষয়। এখন এশিয়ার কিছু দেশ, শ্রীলঙ্কাতেও অনেক প্রবাসী ফুটবলার খেলছে।’
বাংলাদেশের ফুটবল কিংবদন্তি বাফুফে সভাপতি না থাকলেও ফুটবলের সঙ্গেই আছেন। সাফের সভাপতি পদে আছেন এখনও। সাফ এবার প্রথমবারের মতো হোম অর অ্যাওয়ে ভিত্তিতে টুর্নামেন্ট করতে চায়। এটা বাস্তবিক অর্থে কঠিন, কিন্তু আয়োজিত হলে বাংলাদেশ ও ভারতই বেশি লাভবান হবে বলে মনে করেন সালাউদ্দিন, ‘এরকম করার চেষ্টা অনেকদিনের। এই ভিত্তিতে খেলা হলে বাংলাদেশ ও ভারত কর্মাশিয়ালি বেশি বেনিফিটেড হবে। এটা বাস্তবায়ন করাও কঠিন। ভারত-পাকিস্তানের ভিসা ইস্যু আবার এখন বাংলাদেশের সঙ্গেও (ভারত)।’
বাফুফের সাবেক সভাপতির আগমনের দিন ছিলেন না বর্তমান সভাপতি তাবিথ আউয়াল। বাফুফের সূত্রমতে, সালাউদ্দিনের সময়ের কিছু বিষয়ে আনুষ্ঠানিকতা বাকি ছিল সেটা সম্পন্ন করতেই নাকি এসেছিলেন। বর্তমান সভাপতি তাবিথ আউয়ালও বিষয়টি অবগত আছেন বলে জানা গেছে। বাফুফের সাবেক সভাপতির আগমন উপলক্ষে সহ-সভাপতি ফাহাদ করিম, নির্বাহী সদস্য ইকবাল, জাকির, গাউস, শাহীন, হিল্টন ও কিরণ উপস্থিত ছিলেন।