আজ আখাউড়া স্থলবন্দর দিয়ে ভারতে মাছ রপ্তানি বন্ধ রয়েছে। তবে বৃহস্পতিবার (পরদিন) থেকে আবারও রপ্তানি কার্যক্রম চালু করার কথা জানানো হয়েছে।
এদিকে, আখাউড়া স্থলবন্দরে গত তিন দিন ধরে ব্যবসায়িক কার্যক্রমে এক ধরনের অচলাবস্থা বিরাজ করছে। কারণ, ভারত সরকার ছয়টি পণ্য আমদানিতে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে, যার ফলে বাংলাদেশের রপ্তানিকারকরা ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন।
একজন ব্যবসায়ী জানান, আমরা প্রতিদিন যে পরিমাণ পণ্য ভারতে পাঠাতাম, তার অন্তত এক-তৃতীয়াংশ এখন পড়ে আছে গুদামে। দীর্ঘদিন এভাবে চললে বড় ধরনের লোকসান হবে।
নিষিদ্ধ ঘোষিত পণ্যের মধ্যে রয়েছে—বাংলাদেশের তৈরি পোশাক, ফল ও ফলের স্বাদযুক্ত পানীয়, প্রক্রিয়াজাত খাদ্যপণ্য, প্লাস্টিক সামগ্রী, সুতা ও সুতার উপজাত এবং আসবাবপত্র। এর মধ্যে তৈরি পোশাক ও কাঠের আসবাব ছাড়া বাকি সব পণ্যই নিয়মিতভাবে আখাউড়া স্থলবন্দর দিয়ে ভারতে রপ্তানি হতো।
স্থানীয় ব্যবসায়ীদের মতে, ভারতের এই নিষেধাজ্ঞা রপ্তানি বাণিজ্যে বড় ধরনের ধাক্কা দেবে। মোট রপ্তানির প্রায় ৩০ শতাংশ এই পণ্যের ওপর নির্ভরশীল, যা নিষিদ্ধ হওয়ায় প্রতিদিনই বন্দর ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে।
আখাউড়া সিএন্ডএফ এজেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের সহ-সভাপতি মো. নেসার আহমেদ ভূঁইয়া বলেন, “ভারতে ডলারের দাম বেড়ে যাওয়ায় আমদানি-রপ্তানিতে সাময়িক অসুবিধা হচ্ছে। তাই বুধবার আমরা একদিনের জন্য মাছ রপ্তানি বন্ধ রেখেছি। বিষয়টি নিয়ে ভারতীয় পক্ষের সঙ্গে আলোচনা হচ্ছে।
তবে তিনি আশ্বস্ত করেন যে, এই সমস্যা দীর্ঘস্থায়ী নয় এবং বৃহস্পতিবার থেকেই মাছ রপ্তানি স্বাভাবিক নিয়মে চালু হবে।