ইরানের সর্বোচ্চ ধর্মীয় নেতা আয়াতুল্লাহ আলী খামেনির ওপর হামলা চালাতে পারে দখলদার ইসরায়েল। গতকাল শনিবার ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহুর বাড়িতে ড্রোন হামলা চালায় লেবাননের সশস্ত্র গোষ্ঠী হিজবুল্লাহ। এরপর থেকে এই হামলার জন্য ইরানকে দায়ী করে আসছে দখলদাররা। এর জেরে ইরানের সর্বোচ্চ নেতাকে লক্ষবস্তুতে পরিণত করতে পারে তারা।
জেনেভা সেন্টার ফর সিকিউরিটি পলিসির নিরাপত্তা বিশ্লেষক এবং বৈশ্বিক ঝুঁকি প্রধান জিন-মার্ক রিকলি সংবাদমাধ্যম আলজাজিরাকে জানিয়েছেন, নেতানিয়াহুর বাড়িতে হামলার জন্য ইরানের দিকে আঙুল তোলার ব্যাপারটি চলমান দ্বন্দ্ব ছড়িয়ে দিতে পারে।
তিনি বলেছেন, “যদি আমরা নেতানিয়াহুর বাড়িতে ড্রোন হামলাকে হত্যাচেষ্টা হিসেবে বিবেচনা করি। এবং ইরানের সঙ্গে এটির সমান কিছু ভাবি তাহলে দেখা যাবে, ইসরায়েলি হামলার লক্ষ্যবস্তুতে পরিণত হতে পারেন প্রধান ধর্মীয় নেতা আয়াতুল্লাহ আলী খামেনি।”
এই নিরাপত্তা বিশ্লেষক জানিয়েছেন, হামাস ও হিজবুল্লাহর বিরুদ্ধে ইসরায়েল যা করেছে মধ্যপ্রাচ্যে থাকা অন্যান্য সশস্ত্র গোষ্ঠীগুলোর সঙ্গেও একই কাজ করার চেষ্টা করবে ইসরায়েল। তিনি বলেছেন, “ইসরায়েল ইরানের প্রক্সি এবং অন্যান্যদের বিরুদ্ধে এই অঞ্চলে প্রতিরোধ গড়ার চেষ্টা করছে। তাদের টার্গেট শুধুমাত্র হিজবুল্লাহ নয়… হুথিসহ অন্যান্য দলগুলোও। তারা ইঙ্গিত দিচ্ছে হামাসের সঙ্গে যা করেছে এবং হিজবুল্লাহর সঙ্গে যা করছে সেগুলো অন্যান্য সশস্ত্র গোষ্ঠীগুলোর সঙ্গেও করবে। ফলে প্রথমে তারা এসব গোষ্ঠীর প্রধানদের হত্যা করবে। এরপর তাদের পুরোপুরি দমনের চেষ্টা করা।”
গত ১ অক্টোবর দখলদার ইসরায়েলকে লক্ষ্য করে ১৮১টি মিসাইল ছোড়ে ইরান। এরপর থেকেই ওই হামলার জবাব দেওয়ার হুমকি দিয়ে আসছে ইসরায়েল। বলা হচ্ছে, ইরানি সামরিক অবকাঠামো লক্ষ্য করে হামলা চালাতে পারে ইসরায়েলি বাহিনী। এখন আশঙ্কা করা হচ্ছে, এতে যোগ করা হতে পারে খামেনির ওপর হামলার বিষয়টিও।
তবে ইসরায়েল যদি হামলা চালায় তাহলে তাদের লক্ষ্য করে আবারও পাল্টা হামলা চালানো হবে বলে নতুন করে সতর্কতা দিয়েছে ইরান। দেশটি জানিয়েছে, তারা কোনো আঞ্চলিক যুদ্ধ চায় না। কিন্তু ইসরায়েল হামলা চালালে বসে থাকবে না।
ইরানের পক্ষ থেকে জানানো হয় হামাসের সাবেক প্রধান ইসমাইল হানিয়া, হিজবুল্লাহ প্রধান হাসান নাসরুল্লাহ এবং তাদের কমান্ডারদের হত্যার প্রতিশোধ নিতে ইসরায়েলে ব্যালিস্টিক মিসাইল হামলা চালানো হয়।
সূত্র: আলজাজিরা