আর্জেন্টিনাকে হারিয়ে ব্রাজিলের ‘হেক্সা’

এক সময় ফুটবল মানেই সবাই বুঝতো ব্রাজিলের নাম। কেননা ফিফা বিশ্বকাপ ফুটবলে সর্বোচ্চ পাঁচবারের চ্যাম্পিয়র তারা। কিন্তু ২০০২ সালের সর্বশেষ বিশ্বকাপ জেতা ব্রাজিল গত ২২ বছরে বিশ্বফুটবলের মঞ্চে কোনো সুবিধা করতে পারছে না। ষষ্ঠ বিশ্বকাপ জয়ের লক্ষ্যকে ‘মিশন হেক্সা’ আখ্যা দিয়ে কাতার বিশ্বকাপে বিদায় নিয়েছে কোয়ার্টার ফাইনাল থেকে।

দলের বর্তমান অবস্থা দেখে মনে হচ্ছে, ২০২৬ বিশ্বকাপেও হেক্সা মিশনে সফল হতে পারবে না ব্রাজিল। তবে ফুটবলেরই অন্য সংস্করণ ফিফা ফুটসাল বিশ্বকাপে ঠিকই ‘হেক্সাস্বপ্ন’ পূরণ করে ফেলেছে ব্রাজিল। সেটিও আবার চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী আর্জেন্টিনাকে হারিয়ে। অর্থাৎ ফিফা ফুটসালে ষষ্ঠ শিরোপা পেয়ে গেছে ব্রাজিলিয়ানরা। ফাইনালে আর্জেন্টিনাকে ২-১ গোলে হারিয়েছে ব্রাজিল।

১২ বছর পর ফুটসালে চ্যাম্পিয়ন হলো ব্রাজিল। এর আগে সর্বশেষ ২০১২ সালে স্পেনকে হারিয়ে শিরোপা জিতেছিল সেলেসাওরা। অন্যদিকে টানা দুইবার ফাইনালে উঠে ব্যর্থ হলো আর্জেন্টিনা। গত আসরে আর্জেন্টাইনদের ২-১ গোলে হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল পর্তুগাল।

ফুটসালে আর্জেন্টিনা চ্যাম্পিয়ন হয়েছে মাত্র একবার। সেটি ২০১৬ সালে কলম্বিয়াকে ৫-৪ গোলে হারিয়ে।

রোববার উজবেকিস্তানের রাজধানী তাসখন্দের হুমো অ্যারেনায় ম্যাচের ৫ মিনিট ৪৭ সেকেন্ডে লিড নেয় ব্রাজিল। আর্জেন্টিনার জাল কাঁপান ফেরাও। ১৩ মিনিটে রাফা সান্তোসের গোলে ২-০ ব্যবধানে এগিয়ে যায় ব্রাজিল।

৩৮ মিনিটে একটি গোল শোধ করে আর্জেন্টিনা। গোল করেন রোহা। এরপর বহু চেষ্টায় ব্রাজিলের জালে বল জমা করতে পারেনি আর্জেন্টিনা। আলবিসেলেস্তাদের সামনে দেওয়াল হয়ে দাঁড়ানো ব্রাজিলিয়ান গোলরক্ষক উইলিয়ান হয়েছেন ফাইনালের সেরা তারকা।

সাধারণ ফুটবলের মতোই একট টুর্নামেন্ট হলো ফুটসাল। ফুটবলের এই সংস্করণে উভয় দলে ৫ জন করে খেলোয়াড় থাকেন। খেলা চলকালীন ইচ্ছে মতো খেলোয়াড় বদল করা যায়। দৈর্ঘ্য-প্রস্থ সাধারণ ফুটবলের মাঠের চেয়ে কম বলে একে ঘরোয়া ফুটবল বলা হয়। এই সংস্করণে দুই অর্ধ মিলিয়ে মোট ৪০ মিনিট খেলা হয়। এর বল সাধারণ ফুটবল ম্যাচের চেয়ে কিছুটা ছোট আকারের হয় এবং লাফায় কম।