কাগজ প্রতিবেদক: ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পের জন্য এসএমই ফাউন্ডেশন দীর্ঘদিন ধরে কাজ করছে। সংস্থাটি এ পর্যন্ত যত উদ্যোক্তা তৈরি করেছে তা প্রশংসার দাবি রাখে। বিশেষ করে প্রতি বছর তারা যে উদ্যোক্তাদের নিয়ে মেলা করে সেখানে হাজারো ধরনের পণ্য দেখা যায়। যা দেখে অনেকের কেনার আগ্রহ শুধু বাড়ে না। নিজেদের মধ্যে এ ধরনের উদ্যোক্তা হওয়ার আগ্রহের জন্ম হয়।
বাংলাদেশ অর্থনৈতিক সমীক্ষা-২০২৪ প্রতিবেদন অনুযায়ী দেখা যায়, এসএমই ফাউন্ডেশন চিহ্নিত ১৭৭টি এসএমই ক্লাস্টারের মধ্যে ৯৫টি ক্লাস্টারের উন্নয়ন চাহিদা নিরূপণ করা হয়েছে। আর ক্লাস্টারের চাহিদার ভিত্তিতে উদ্যোক্তাদের প্রশিক্ষণ দেয়া, স্বল্প সুদে অর্থায়ন ও নতুন উদ্যোক্তাদের তৈরি কার্যক্রম পরিচালনা করা হচ্ছে। নতুন উদ্যোক্তাদের প্রতিযোগিতা সক্ষমতা বৃদ্ধির জন্য মোট ১ হাজার ৪৫৩টি প্রশিক্ষণ কর্মসূচির আয়োজন করা হয়েছে। প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত মোট ৪৪ হাজার ৩৫৮ জনকে বিভিন্ন ধরনের প্রশিক্ষণ দেয়া হয়েছে।
জানা গেছে, এসএমই উদ্যোক্তাদের মধ্যে মোট ১২২ কোটি টাকা ঋণ বিতরণ করা হয়েছে। ২ হাজার ৯৭৮ কোটি টাকা প্রান্তিক উদ্যোক্তাদের মাঝে এবং ফাউন্ডেশনের ঘূর্ণায়মান তহবিল থেকে ২৯৮ কোটি টাকা বিতরণ করা হয়েছে। যেখানে নারী উদ্যোক্তা হচ্ছে ২৪ শতাংশ। ২০১১-১২ থেকে এ পর্যন্ত এসএমই ফাউন্ডেশন থেকে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের কাছে ৫২৩টি প্রস্তাবনা পাঠানো হয়েছে। এর মধ্যে ৭৯টি প্রস্তাবনা কোনোটি আংশিক আবার কোনোটি সম্পূর্ণ জাতীয় বাজেটে প্রতিফলিত হয়েছে।
নতুন উদ্যোক্তা ও স্টার্ট আপ উদ্যোক্তাদের সহায়তা দেয়ার জন্য একটি ইনকিউবেশন সেন্টার প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে। প্রতিষ্ঠার পর থেকেই দেশের মাইক্রো, ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পোদ্যোক্তাদের সার্বিক উন্নয়নের জন্য বেশ কয়েকটি বিষয়ে কারিগরি সহায়তা প্রদান করেছে এসএমই ফাউন্ডেশন। আধুনিক প্রযুক্তি হস্তান্তর ও এসএমই উদ্যোক্তাদের কারিগরি দক্ষতা বৃদ্ধির জন্য মোট ৪০৪টি বিশেষ প্রশিক্ষণ কর্মসূচির আওতায় আনা হয়েছে। যার সংখ্যা হচ্ছে ১২ হাজার ৪৩৯ জন নারী। আবার সচেতন বৃদ্ধিমূলক সভা-সেমিনারসহ বিভিন্ন কর্মসূচির মাধ্যমে ৮ হাজার ৫৬৩ জন নারী উদ্যোক্তা উপকার পেয়েছে। ৬৪টি জেলায় মোট ৩ হাজার নারী আইসিটি উদ্যোক্তা তৈরি করা হয়েছে বলে জানা গেছে।
এ পর্যন্ত দেশীয় পণ্য নিয়ে ঢাকায় জাতীয় এসএমই মেলা, জেলা পর্যায়ে ৯১টি আঞ্চলিক এসএমই পণ্য মেলা আয়োজন করেছে। এ র্পর্যন্ত আয়োজিত এসএমই মেলায় মোট ৭ হাজার ২৭৬ জন উদ্যোক্তা তাদের পণ্য প্রদর্শন করেছেন। আর এই প্রদর্শনী বিক্রির মাধ্যমে মোট ৮৮ কোটি ৫০ লাখ টাকার পণ্য বিক্রি হয়েছে। একই সঙ্গে ১০৭ কোটি ৫০ লাখ টাকার বিভিন্ন পণ্যের অর্ডার গ্রহণে সক্ষম হয়েছে।