এক ঘরে থাকছেন। এক ঘরে খাচ্ছেন। এক বিছানায় ঘুমোচ্ছেন। তবে তা সত্ত্বেও বারবার মনে হচ্ছে সঙ্গী অনেকটা বদলে গিয়েছে? মন বলছে সে আর আগের মতো আপনার প্রতি আগ্রহী নন? বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ব্যস্ত জীবন। তার ওপর আবার সোশ্যাল মিডিয়ার প্রভাব। সব মিলিয়ে দুটি মানুষের মধ্যে দূরত্ব তৈরি হচ্ছে খুব কম সময়েই। মানসিক টানাপোড়েন নিয়ে তো আর সম্পর্ক চলে না! বরং এই লক্ষণগুলো দেখে নিশ্চিত হতে পারেন, আপনার সম্পর্কে সত্যিই দূরত্ব বাড়ছে কি না।
ধরুন আগে অফিস থেকে ফেরার পর সঙ্গী আপনার সঙ্গে সময় কাটাতেন। কিংবা অফিস থেকে বারবার ফোন করতেন। কিন্তু বর্তমানে সেই সঙ্গীরই আচরণ যদি বদলে যায়, তবে অবশ্যই ভাবার সময় এসেছে। যদি দেখেন আপনাকে সময় দিচ্ছেন না। কথা বলাতেও তার অনীহা। কিংবা দিনরাত মোবাইল ফোন কিংবা সোশ্যাল মিডিয়ায় বুঁদ। তবে অবশ্যই সঙ্গীর সঙ্গে খোলামেলা আলোচনা করুন। কী কারণে তার আচরণ বদলে গেছে, তা নিয়ে কথা বলুন।
সঙ্গীর সঙ্গে সত্যি দূরত্ব হয়েছে কি না, তা খতিয়ে দেখার জন্য আপনি হয়তো তার সঙ্গে অভিনয় করছেন। অল্পতেই চিৎকার চেঁচামেচি করছেন, কান্নাকাটি করছেন, তা সত্ত্বেও সঙ্গীর থেকে বিশেষ গুরুত্ব পাচ্ছেন না? সঙ্গী আপনাকে এড়িয়ে চলছেন? তবে বুঝতে হবে, এই সম্পর্ক উষ্ণতা হারিয়েছে। শীতল এই সম্পর্ক কতদিন আর এগিয়ে নিয়ে যেতে পারবেন দুজনে, তা নিয়ে অবশ্যই ভাবনাচিন্তার সময় এসেছে।
এক বিছানায় রোজ ঘুমোচ্ছেন। কিন্তু কাছে আসা হচ্ছে না? যৌনতাতেও অনীহা সঙ্গীর? তবে এখনই কথা বলুন। সঙ্গী কী নতুন কারও সঙ্গে সম্পর্ক তৈরি করেছেন নাকি আপনার কোনও কিছুতে তার অভিমান হয়েছে, সে খোঁজ নিন।
মনে রাখববেন, সম্পর্ক গড়তে অনেক সময় লাগলেও, ভাঙা অনেক সহজ। তাই তা সহজে হতে দেবেন না। দূরত্ব বাড়তে দেবেন না। বরং যত তাড়াতাড়ি সম্ভব, দুজনে কথা বলুন। দূরত্ব কমান। আবারও আপনাদের ভালোবাসায় সুখের হয়ে উঠুক গৃহকোণ।