অমর একুশে বইমেলায় প্রকাশিত হয়েছে পরিচালক ওয়ালিদ আহমেদের দুটি বই। সাদামাটা থেকে প্রকাশিত বই দুটি হলো- “দূরে গোধূলি” ও “কথার জাদু”। বই দুটি পাওয়া যাচ্ছে বইমেলার ধ্রুপদী পাবলিকেশন্সের ৫১৯ নং স্টলে।
একুশে বইমেলাতে এবারই প্রথম বই প্রকাশ করলেন ওয়ালিদ আহমেদ। এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, আমি মূলত গান লেখা দিয়ে শুরু করি। ২০১০ সাল থেকে আমার লেখা গান মুক্তি পায়। তারপর নিয়মিত গান লিখে গেছি। পরবর্তীতে নিজের পরিচালিত নাটক ও চলচ্চিত্রের গল্প, সংলাপ এবং চিত্রনাট্য লিখতে হয়েছে। তবে বই মেলায় এবারই প্রথম আমার বই বের হলো। যদিও ইংরেজিতে “ইনফিনিট সাকসেস” এবং “ম্যাজিক অফ প্রেজেন্টেশন” নামে আরও দুটি বই আছে যেটা বিশ্বের সকল পাঠকের জন্য এমাজনের ওয়েবসাইটে পাওয়া যায়।
ওয়ালিদ আহমেদ আরো বলেন, “দূরে গোধূলি” বইটি মূলত আমার গান ও কবিতা সমগ্র হলেও “কথার জাদু” বইটি সম্পূর্ণ ভিন্নধর্মী। দীর্ঘ ৮ বছর আমি একাধিক রেডিওতে কাজ করেছি। শুরুতে রেডিও জকি ও পরবর্তীতে অনুষ্ঠান প্রধান হিসেবে দায়িত্ব পালন করি। এছাড়াও কিছু টিভি চ্যানেলে উপস্থাপনা করি এবং অনুষ্ঠান পরিচালনা করি। এই বইটি লেখার পেছনে আমার লক্ষ্য ছিল, যেন সকলেই সুন্দর করে কথা বলার কৌশল, আত্মবিশ্বাস, এবং শৈল্পিকভাবে নিজেদের ভাবনা ও অনুভূতি প্রকাশ করার উপায়গুলো বুঝতে পারে। এই বইটি বিভিন্ন পেশাজীবী, যেমন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী, নতুন চাকুরিজীবী, রেডিও ও টিভি উপস্থাপক, ব্যাংকার, কর্পোরেট কর্মী, মার্কেটিং ও বিক্রয়কর্মী, শিক্ষক, এবং সোশ্যাল ইনফ্লুএন্সার ও ডিজিটাল মার্কেটারদের জন্য বিশেষভাবে সহায়ক হবে। উপস্থাপনায় আত্মবিশ্বাস তৈরি, কথার দক্ষতা শাণিত করা এবং শ্রোতার সাথে গভীর সংযোগ গড়ে তুলতে এটি সহায়ক হবে।
প্রসঙ্গত, ওয়ালিদ আহমেদ একজন লেখক, উপস্থাপক ও আন্তর্জাতিক পুরষ্কার প্রাপ্ত চলচ্চিত্র নির্মাতা। ২০২৩ সালে তার প্রথম চলচ্চিত্র “মেঘের কপাট” মুক্তি পায়। চলচ্চিত্রটি বিদেশের মাটিতে বেশ কিছু উৎসবে অ্যাওয়ার্ড পেয়েছে। বর্তমানে একাধিক চলচ্চিত্র নির্মাণের কাজে তিনি ব্যস্ত রয়েছেন। এছাড়া দেশ ও দেশের বাইরের নানা প্রকাশনা প্রতিষ্ঠানে অ্যালবাম ও চলচ্চিত্র মিলিয়ে এ পর্যন্ত তার শতাধিক গান প্রকাশ পেয়েছে। তার লেখা গানে কন্ঠ দিয়েছেন বাংলাদেশের ফাহমিদা নবী, ইমরান, ন্যান্সী, কণা, ভারতের উদিত নারায়ণ, জাভেদ আলী, অনিন্দ্য চ্যাটার্জী, রূপঙ্কর বাগচীর মত শিল্পীরা।