#সৌখিন কৃষি ও দরিদ্র জনগোষ্ঠীর মানবিক সেবা কাজে কুসুমপুর গ্রামবাসীর ভালোবাসায় শিক্ত
ফোজিত শেখ বাবু: মুন্সিগঞ্জের সিরাজদিখানে এসটিএস ফাউন্ডেশন ও টিএসআই-এর প্রেসিডেন্ট, ভেষজ বিজ্ঞানী ও বীর মুক্তিযোদ্ধা সৈয়দ টিপু সুলতান পিএইচডির বিরামহীন পরিশ্রমে এসটিএস ফাউন্ডেশন এবং টিএসআই সাধারণ জনগণের অকৃত্রিম ভালোবাসা ও সম্মান-শ্রদ্ধা পাচ্ছে।
স্বাধীনতা পরবর্তী সময়ে মুন্সিগঞ্জের সিরাজদিখানের কুসুমপুর গ্রামের সাথে রাজধানী ঢাকার যোগাযোগ ব্যবস্থা তেমন উন্নত ছিল না। তাই কুসুমপুর গ্রামবাসী শিক্ষার সাথে উন্নত ও মানসম্পন্ন স্বাস্থ্যসেবা থেকে বঞ্চিত ছিল। এই অঞ্চলের মানুষের কল্যাণে ১৯৮০ সালের প্রারম্ভে যাত্রা শুরু করে এসটিএস ফাউন্ডেশন।
এসটিএস ফাউন্ডেশন ও এসটিএস মাল্ট্রি অ্যাগ্রোর চেয়ারম্যান ভেষজ বিজ্ঞানী, বীর মুক্তিযোদ্ধা সৈয়দ টিপু সুলতান পিএইচডি নিজ উদ্যোগে গড়ে তোলেন মানবকল্যাণের জন্য ২৮টি প্রকল্প।
এই প্রকল্পগুলোর মধ্যে অন্যতম প্রকল্পগুলো হচ্ছে:
আর্সেনিক মিটিগেশন প্রোগ্রাম, আই ক্যাম্প/ ব্লাইন্ডনেস প্রিভেনশন/ ফ্রি আই মেডিকেশন, ফ্রি ক্লেফট লিপ ট্রিটমেন্ট প্রজেক্ট,
আর্টিফিশিয়াল লিম্ব ফর দ্য ডেসটিটিউটস, টিএসআই প্যালিয়েটিভ কেয়ার সেন্টার অ্যান্ড হসপিটাল, বিক্রমপুর; কুসুমপুর এসটিএস মেডিসিনাল প্ল্যান্ট রিসার্চ সেন্টার, বিক্রমপুর; কুসুমপুর প্ল্যান্ট ডিস্ট্রিবিউশন অ্যান্ড প্ল্যানটেশন, এসটিএস লাইব্রেরি, স্কলারশিপ অ্যান্ড এক্সাম ফি ফর দ্য পোর অ্যান্ড মেরিটোরিয়াস স্টুডেন্টস, স্কুল ফাউন্ডিং, ইভিনিং স্কুল “অক্ষর” ফর দ্য ইলিটারেট অ্যাডাল্ট,
ফেলোশিপ অন এনভায়রনমেন্ট জার্নালিজম, মান্থলি অনারারিয়াম ফর দ্য পুওরেস্ট, ফাইন্যান্সিয়াল অ্যাসিস্ট্যান্স ফর দ্য টার্মিনাল পেশেন্টস, প্রজেক্ট ফর দ্য ইমার্জেন্সি সিচুয়েশন, সেলফ রিলায়েন্ট প্রজেক্ট, করোনা অ্যাওয়ারনেস অ্যান্ড কেয়ার প্রজেক্ট এবং স্পন্সরড ডিফারেন্ট প্রজেক্টস অব বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল ইউনিভার্সিটি হসপিটাল প্যালিয়েটিভ কেয়ার সেন্টার।
আর্সেনিক মিটিগেশন প্রোগ্রামের কার্যক্রম বিষয়ে টিএসআই এবং এসটিএস ফাউন্ডেশন, বাংলাদেশের প্রধান সমন্বয়কারী সৈয়দ মাহমুদ হাসান মুকুট জানান,
আমরা টাচিং সোর্স ইন্টারন্যাশনালের মাধ্যমে সৈয়দ টিপু সুলতান পিএইচডি
সাহেবের নির্দেশনা অনুযায়ী সারাদেশের প্রায় ৪৪টি জেলায় ৮০% শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, হাটবাজারে আর্সেনিক দূষণ প্রতিরোধ, প্রতিকার ও এর রোগ সচেতনতা বিষয়ক কাজ করেছি।
এ কার্যক্রমে, আর্সেনিক বিষয়ে জনসচেতনতা তৈরিতে দেশের ৪৪টি জেলার ৮০% শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, হাটবাজার ও স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের নিকট সচেতনামূলক লিফলেট বিতরণ করা হয়েছে।
এছাড়া কোন টিউবওয়েলের পানি আর্সেনিকযুক্ত এবং কোনটিতে আর্সেনিক নেই, তা বিশেষজ্ঞদের মাধ্যমে পানি পরীক্ষার পর যেসব টিউবওয়েলের পানিতে আর্সেনিক আছে তাতে লাল রঙ এবং যেগুলোর পানিতে আর্সেনিক নেই, সেগুলোতে সবুজ রঙ করে দেওয়া হয়।
আই ক্যাম্প নির্দিষ্ট একটি সময়ে দেশের প্রতিটি উপজেলায় মানসম্মত স্বাস্থ্যসেবা বঞ্চিত অসহায় ও গরিব বয়স্ক জনগোষ্ঠীর মাঝে পরিচালিত হয়ে আসছে। এছাড়া চিকিৎসাসেবা ছাড়াও বিনামূল্যে চশমা প্রদানসহ অন্যান্য সকল সেবা বিনামূল্যে প্রদান করা হচ্ছে।
টিএসআই প্যালিয়েটিভ কেয়ার সেন্টার অ্যান্ড হসপিটাল বাংলাদেশের প্রথম স্যাটেলাইট প্যালিয়েটিভ কেয়ার সেন্টার হসপিটাল। তানিয়া বাগান (টিএসআই প্যালিয়েটিভ কেয়ার সেন্টার) এ হাসপাতালটি রেজিস্টার্ড চিকিৎসক, নার্স ও প্রশিক্ষিত ফার্মাসিস্ট দ্বারা পরিচালিত।
এ হাসপাতালের নিবন্ধিত দুরারোগ্য রোগে আক্রান্ত বয়স্ক রোগীরা সপ্তাহে ৪ দিন চিকিৎসাসেবা ও ওষুধ বিনামূল্যে প্রদান করা হয়। এছাড়া বয়স্ক রোগীদের চিকিৎসাসেবা দিতে চিকিৎসক ও নার্সরা তাদের বাড়িতে গিয়েও সেবা দিয়ে থাকেন।
মেধাবী ছাত্র-ছাত্রীদের মাঝে বৃত্তি প্রদান প্রকল্প বাস্তবায়নে এসটিএস ফাউন্ডেশনের আওতায় মা সুফিয়া খাতুনের নামে স্থানীয় শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীদের বিনামূল্যে বই-পুস্তক প্রদান, বৃত্তি প্রদান ও পরীক্ষা সহ বিভিন্ন ফি প্রদানের মাধ্যমে শিক্ষা গ্রহণকে উৎসাহিত করা হচ্ছে।
এ কার্যক্রমের বিষয়ে বিক্রমপুর সরকারি কেবি কলেজের অধ্যক্ষ জানান, যারা বই কিনতে পারে না, স্কুল-কলেজের সেইসব শিক্ষার্থীদের বই কেনার জন্য অর্থ সহায়তা প্রদান করছেন এসটিএস ফাউন্ডেশনের প্রেসিডেন্ট বীর মুক্তিযোদ্ধা সৈয়দ টিপু সুলতান পিএইচডি।
এছাড়া কুসুমপুর উচ্চ বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা সহ কুসুমপুরের মানুষদের শিক্ষা গ্রহণকে আরও সহজতর করতে সৈয়দ টিপু সুলতান পিএইচডি পরিবারের অবদান কুসুমপুরবাসীর কাছে স্মরণীয় এবং গর্বের বিষয় হয়ে আছে।
নদী পানি ও পরিবেশ বিষয়ক কার্যক্রম:
ভারতের ফারাক্কা বাঁধের কারণে বাংলাদেশে শুষ্ক মৌসুমে কৃষকদের ফসল চাষাবাদ ক্ষতিগ্রস্ত হয়। এছাড়া আগাম বার্তা না দিয়ে সঠিক সময়ে পানি দেওয়া বন্ধ রেখে অসময়ে বিপুল পরিমাণ পানি ছেড়ে দেয়ায় জীবন-জীবিকা ও জীববৈচিত্র্য হুমকির মুখে পড়েছে।
বাংলাদেশের পানির ন্যায্য হিস্যা আদায়ের লক্ষ্যে মজলুম জননেতা মাওলানা আবদুল হামিদ খান ভাসানিকে অনুসরণ করে আইএফসি ৪ মার্চ, ২০০৫ কুড়িগ্রামের চিলমারী বন্দরে ব্রহ্মপূত্র নদীর পাড়ে ঐতিহাসিক লংমার্চে ১০ লাখ লোকের মহাসমাবেশের আয়োজনে আইএফসি-এর মহাসচিব হিসেবে অন্যতম ভূমিকা রাখেন আন্তর্জাতিক ফারাক্কা কমিটির প্রতিষ্ঠাতা মহাসচিব বীর মুক্তিযোদ্ধা সৈয়দ টিপু সুলতান পিএইচডি এরই মধ্য দিয়ে প্রমাণ হয় দেশের প্রতি বীরত্বের সাথে গভীর ভালোবাসার এছাড়াও পরিবেশ নিয়ে এটি একটি পৃথিবীর বুকে নজির বিহীন মহাসমাবেশ।
এই কাজকে সম্প্রসারিত করতে চীন, নেপাল, ভারত, ফ্রান্সসহ অর্ধশতাধিক দেশ ভ্রমণ করেন। ২০১২ সালের ৫ মার্চ টিপাইমুখ বাঁধ ও ভারত কর্তৃক আন্তঃনদী প্রকল্প বাঁধ নির্মাণের প্রতিবাদে বিশ্বব্যাংক ও ভারতীয় দূতাবাসের সামনে বিক্ষোভ সমাবেশ শেষে বিশ্বব্যাংক, ভারতীয় দূতাবাস, আইএফএম ও স্টেট ডিপার্টমেন্টের কাছে স্মারকলিপি প্রদান করেন।
একই ইস্যুতে প্রবাসীদের তরফ থেকে তিনি বাংলাদেশ কনসাল জেনারেল সামসুল হকের কাছে স্মারকলিপি প্রদান করেন। এছাড়া তিনি এ বিষয়টি জাতিসংঘ, বিশ্বব্যাংক, হোয়াইট হাউজকে অনেক পূর্বেই অবহিত করেন।
কুসুপমুরে সুদবিহীন ক্ষুদ্রঋণ প্রকল্প:
২২টি বিভিন্ন ক্ষুদ্র ঋণ প্রকল্পের মাধ্যমে কুসুমপুর গ্রামের অসচ্ছল দরিদ্র মানুষদের মাঝে সুদমুক্ত ক্ষুদ্র ঋণ প্রদান করছে এসটিএস ফাউন্ডেশন ও টিএসআই। ক্ষুদ্র ঋণ প্রদানের মাধ্যমে গরুর খামার, মুদি দোকান, সেলাই মেশিন, রিকসা নিয়ে দরিদ্র পরিবারগুলোতে স্বচ্ছলতা ফিরে এসেছে। অন্যান্য প্রকল্পগুলো সফলভাবে বাস্তবায়নে বর্তমানে যৌথভাবে কাজ করে যাচ্ছে এসটিএস ফাউন্ডেশন ও টিএসআই।
সান্ধ্যকালীন বয়স্ক শিক্ষা কার্যক্রম অক্ষর:
এসটিএস পরিচালিত বয়স্ক শিক্ষাকালীন অক্ষরের মাধ্যমে গ্রামের অক্ষরজ্ঞানহীন বয়স্ক মানুষদের অক্ষরজ্ঞান সহ শিক্ষাদানের জন্য উচ্চ শিক্ষিত মেধাবী শিক্ষার্থীরা নিরলস পরিশ্রম করছেন।
বার্ধক্যজনিত আক্রান্ত রোগীদের জন্য ফিনান্সিয়াল এসিস্ট্যান্স:
শারীরিকভাবে কর্মঅক্ষম হতদরিদ্র বয়স্ক ব্যক্তি, যেসব বয়স্ক ব্যক্তিদের সার্বক্ষণিক দায়িত্ব নেয়ার তেমন কেউ নেই, তাদের জন্য এ প্রকল্পের মাধ্যমে মাসিক আর্থিক সহায়তা প্রদানসহ সার্বক্ষণিক সেবাদানের কাজ করছে টিএসআই।
গৃহায়ণ প্রকল্প:
প্রাকৃতিক দুর্যোগে ক্ষতিগ্রস্ত গরীব অসচ্ছল মানুষদের টিএসআই প্রতি বছর ১০টি পরিবারকে নতুন ঘর তৈরী করতে সহায়তা কাজ করছে।
এছাড়া পদ্মঘাট ও পাটখরির দোতলা ঘরে বিশ্বের ৭টি দেশের ঘরের প্রতিকৃতি রয়েছে।
করোনা চিকিৎসা ও সহায়তা প্রকল্প:
বৈশ্বিক মহামারী করোনা ভাইরাস মহামারিতে জনসচেতনা তৈরী ও জনসাধারণের মাঝে স্বাস্থ্য উপকরণ বিতরণ করেছে এসটিএস। এছাড়া নিম্ন আয়ের খেটে খাওয়া মানুষদের মাঝে জরুরী সহায়তা হিসেবে নিত্য প্রয়োজনীয় খাদ্যপণ্য বিতরণ করা হয়।
সৌখিন কৃষি খামার:
এসটিএস ও টিএসআই মাধ্যমে সৈয়দ টিপু সুলতান পিএইচডি বাংলাদেশে ৩টি ও উত্তর আমেরিকায় ৫টি বাগান নিজের পরিচর্যায় গড়ে তুলেছেন। যা দেশে ও বিদেশে ব্যাপক সম্মান ও প্রচার পেয়েছে। সৈয়দ টিপু সুলতান
পিএইচডির অক্লান্ত পরিশ্রম আর গাছের প্রতি ভালোবাসায় ২৫০ ধরনের ফলজ ও ঔষধী গাছের পাশাপাশি রয়েছে হরেক জাতের শাক-সবজির চাষাবাদ যা দেশি-বিদেশি সকলেরই নজর কেড়ে নিয়েছে।
কৃষিতে বিশেষ অবদানের কারণে চ্যানেল আইয়ের মাটি ও মানুষ অনুষ্ঠানে শাইখ সিরাজের মাধ্যমে নিউইয়র্ক সিটির প্রাণকেন্দ্র ওয়াশিংটন সিটিতে সৈয়দ টিপু সুলতান পিএইচডির কৃষি বাগানের বিশেষ প্রতিবেদন প্রচার হয়। এছাড়া তাঁর এই বিশাল বাগান ও সৌখিন কৃষি খামার দেখতে আসা বিপুল সংখ্যক দর্শনার্থীরা স্বচক্ষে দেখে মুগ্ধ হয়ে যান।
কুসুমপুরের মানুষের পুষ্টি চাহিদা কথা চিন্তা করে, এসটিএস ফাউন্ডেশন ও এসটিএস মাল্ট্রি এগ্রো চেয়ারম্যান ভেষজ বিজ্ঞানী বীর মুক্তিযোদ্ধা সৈয়দ টিপু সুলতান পিএইচডির নিজ উদ্যোগে গড়ে তোলেন ১৬০ প্রজাতির আম গাছের সমন্বয়ে বৃহৎ মাল্টি এগ্রো। এই মাল্টি এগ্রোর আম, মাছ ও নার্সারির চারা বিক্রির মূলধনসহ লাভের অংশ পুরোটাই টিএসআই হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে আসা গরীব-অসহায়দের কল্যাণে ব্যয় করা হয়।
মাল্টি এগ্রোর উল্লেখযোগ্য আমগুলো দেশে বাণিজ্যিক চাষাবাদ করলে লাভবান হবে প্রান্তিক কৃষক। মাল্টি এগ্রোর উল্লেখযোগ্য আম হলো, পৃথিবীর বিখ্যাত জাপানি মিয়াজাকি আম, যার বৈশিষ্ট্য হলো পৃথিবীর ২৪০ প্রজাতির আমের মধ্যে অন্যতম আম মিয়াজাকি। এরপর আছে, ব্যানানা আম, যা থাইল্যান্ডের অত্যন্ত সুস্বাদু রসালো, এই আম আমাদের দেশের বাজারে বিক্রি আমের চেয়েও বেশি দামে বিক্রি হয়।
কিং অব চাকাপাত আম, এ আমটি আমাদের দেশের এমন একটি সুস্বাদু আম, আপেলের স্বাদের, রঙ অনেক সুন্দর, যে কেউ দেখলে হাত দিয়ে ধরতে চাইবে, বারি ফর আম, এ আমটি বৈজ্ঞানিকভাবে উদ্ভাবিত একটি আমের জাত, বাজারে আসা সব আম শেষ হলে, আশবিহীন মিষ্টি সুস্বাদু আমটি পাওয়া যায়। পৃথিবীর বিখ্যাত কাঁচামিঠা কিংজাই আম, বৈশিষ্ট্য হলো, এর ওজন প্রায় ১ কেজি, খাওয়ার দিকে অত্যন্ত মিষ্টি, কাঁচা খেলে পাকা খেতে চাইবে না।
আলফাংশ আম, বৈশিষ্ট্য অত্যন্ত সুস্বাদু রসালো, আশবিহীন এই আম যদি কেউ খেলে তাহলে সে এতোটাই মুগ্ধ হবে, বলা বাহুল্য এটি ভারতে চাষাবাদ হলেও, দুবাইসহ মুসলিম দেশগুলোতে রপ্তানি হয়। দেওড়ি আমের বৈশিষ্ট্য, দেওড়ি আম অত্যন্ত মিষ্টি সুস্বাদু রসালো সুগন্ধি।
বারোমাসি আম, বারি-১১, কাকিমন, রুপালী, হাড়িভাঙ্গা, দেওড়ি, ব্ল্যাকস্টোন, আরটিইপি, ডকমাই ৫টি জাতের রয়েছে, চাকাপাত, ক্যান্ট, গৌড়মতি, লিমা, আফ্রিকান জাম্বুও তোতাপুরি সহ বহু জাতের উল্লেখযোগ্য আম আছে মাল্টি এগ্রোতে।
এছাড়া মসজিদ-মাদ্রাসায় এসটিএস ফাউন্ডেশনের মাধ্যমে এককালীন অনুদান প্রদান এবং গরীব-অসহায় ছেলে-মেয়েদের বিবাহতে অনুদান প্রদান। খেলাধুলাসহ স্থানীয় মানুষদের বিভিন্ন ধরণের বিনোদনের ব্যবস্থা করা, কুসুমপুর জাগরণী সংসদ ও কুসুমপুর ডায়াবেটিস সেন্টারে অনুদান প্রদান। কুসুমপুর লাইব্রেরিতে উল্লেখযোগ্য অবদান, উপজেলা শিক্ষা ট্রাস্টে এককালীন সর্বোচ্চ অনুদান প্রদান করেন এছাড়াও টি.এস.আই পরিচালিত কিশোরগঞ্জের তাড়াইল উপজেলায় বানাইল গ্রামের বানাইল উচ্চ বিদ্যালয়ে নামে একটি স্কুল রয়েছে এই স্কুলে ছাত্র সংখ্যা ১০০০ প্রায়।
উত্তর আমেরিকায় সৈয়দ টিপু সুলতানের বিশাল লাইব্রেরি রয়েছে। সেখানে ১২০ বছরের সাহিত্যে নোবেল বিজয়ীদের বইয়ের সম্ভার রয়েছে। উত্তর আমেরিকায় প্রথম বাংলাদেশি মালিকানাধীন আর্ট গ্যালারি, ২০০৯ সালের ২৭ সেপ্টেম্বর এটি প্রতিষ্ঠা করেন সৈয়দ টিপু সুলতান। এই আর্ট গ্যালারির শুভ উদ্বোধন করেন সিটি মেয়র যোশেফ ক্যারি।
সৈয়দ টিপু সুলতান প্রকাশিত বইয়ের মধ্যে অন্যতম হচ্ছে-
১. স্মৃতি, রহস্য, অন্বেষণা দেশে-প্রবাসে,
২. স্মৃতি, রহস্য, অন্বেষণা দেশে-প্রবাসে-২,
৩. আমাজান অরণ্য ও নদী রহস্যঘেরা এক সবুজ পৃথিবী,
৪. কুয়াশার উষ্ণতা (কাব্য),
৫. চাঁদে বাসর (কাব্য),
৬. লংমার্চ কনসার্ট থেকে চিলমারী বন্দর,
- A movement in pursuit of resolving water & environmental problem in South Asia, এবং 8. The First Bangladeshi American Art Gallery abroad।
সৈয়দ টিপু সুলতান পিএইচডি
১৯৫২ সালে ঐতিহ্যবাহী বিক্রমপুরের কুসুমপুর গ্রামে এক সমভ্রান্ত পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। তার পিতা সৈয়দ মোজাম্মেল হোসেন তৎকালীন ভারতে মুসলিমলীগের সভাপতি ছিলেন।
তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ফার্মেসীতে মাস্টার্স করে যুক্তরাষ্ট্রে R.PH ডিগ্রী লাভ করেন। ১৯৭৭ সাল থেকে চাকরির পাশাপাশি সামাজিক, সাংস্কৃতিক সেবামূলক কর্মকাণ্ডের সাথে লেখালেখি চর্চা অব্যাহত রাখেন।
আমেরিকায় বেড়ে ওঠা নতুন প্রজন্মের মাঝে বাংলাদেশের কৃষ্টি, সংস্কৃতি ও ঐতিহ্যকে ধরে রাখার জন্য ১৯৯০ সালে নিউইয়র্কে বাংলাদেশ কালচারাল সেন্টার (Bangladesh Cultural Center) প্রতিষ্ঠা করেন। এছাড়াও FOBANA (Fedaration Of Bangladeshi Association in North Amerika)র দ্বিতীয় সম্মেলনের সদস্য সচিব, বাংলাদেশ সোসাইটি নিউইয়র্কের নির্বাচন কমিশনের চেয়ারম্যান হিসেবে তিন বার দায়িত্ব পালন করেছেন।
Dhaka University Alumnae Association এরও নির্বাচন কমিশনের চেয়ারম্যান ছিলেন। দেশের বাইরে প্রথম আর্ট গ্যালারী Bangladeshi America Art Galleryর প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান।
প্রতি বছর তিনি পরিবেশ সাংবাদিকতায় বিশেষ অবদানের জন্য ফেলোশিপ প্রদান করেন। বাংলাদেশের নদ-নদী ও পরিবেশের বেহাল অবস্থা তুলে ধরার জন্য তিনিই সর্বপ্রথম প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ার সাংবাদিকদের নিয়ে একটি সেল গঠন করেন।
এসকল প্রকল্প ও সার্বিক কার্যক্রম যার মাধ্যমে সফলতার সঙ্গে চলমান, তিনি মাওলানা ভাসানি ফাউন্ডেশনের প্রেসিডেন্ট ও এসটিএস, টিএসআই এর প্রেসিডেন্ট, ফার্মাসিস্ট ভেষজ বিজ্ঞানী বীর মুক্তিযোদ্ধা সৈয়দ টিপু সুলতান পিএইচডি।
এধরনের খবর পড়তে ভিজিট করুন সোনালি বাংলা নিউজ।