ঘুষ চাইলে হাত ভেঙে দেওয়া হবে এমন বাংলাদেশ চাই : শফিকুর রহমান

জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান বলেছেন, আমাদের শীর্ষ ১১ জন নেতৃবৃন্দসহ শত শত সহকর্মীকে খুন করা হয়েছে। বিচারের নামে জনগণকে ধোঁকা দিয়ে তাদেরকে খুন করা হয়েছে। সেগুলো বিচারিক খুন। এভাবে আমরা আমাদের শত শত নেতাকর্মীকে হারিয়েছি। আমি আল্লাহর কাছে ফরিয়াদ করছি তাদের সকলকে শাহাদাতের মর্যাদা দান করুন।

শনিবার (১৯ অক্টোবর) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে চাঁপাইনবাবগঞ্জের শরকরবাটী হেফজুল উলুম ফায়েজা খানম আলিম মাদরাসায় জামায়াতে ইসলামী চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা শাখার রোকন সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তবে তিনি এসব কথা বলেন।

ডা. শফিকুর রহমান বলেন, আল্লাহ জালিমকে ছাড় দেন কিন্তু ছেড়ে দেন না। আওয়ামী লীগ সরকার জামায়াতে ইসলামীকে শেষ করে দিতে চেয়েছিল। দুনিয়াদারি কোনো সংগঠন হলে শেষ হয়ে যাওয়ার কথা। কিন্তু আমাদের শুরু হচ্ছে লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ দিয়ে। আমদের সাথে আল্লাহ ছিলেন। এখনো আছেন।

তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ দেশের মানুষকে মানুষ মনে করতো না। দেশের মানুষের সেবা করার বদলে তারা হয়েছিল দেশের মালিক। সেবক হতে পারেনি। বিগত দিনে কোরআনের মাহফিলে ১৪৪ ধারা জারি করা হয়েছে। তাফসির মাহফিল থেকে বক্তাদের পুলিশ এসে তুলে নিয়ে গেছে। এগুলো আমরা ঘৃণা করি।

জামায়াতের আমির বলেন, সারাদিন সারাদেশে ছিনতাই, গুম, খুনসহ বিভিন্ন অপকর্মের খবর আমরা পত্রপত্রিকায় দেখি। কিন্তু জামায়াতে ইসলামীর ২ কোটি ৪২ লাখ রেজিস্টার সদস্য এসব কাজে কারও নাম আসেনি। আমরা একটা মানবিক বাংলাদেশ গড়তে চাই। যে বাংলাদেশে কোনো বৈষম্য থাকবে না। মালিক আর শ্রমিক ভাই ভাই হয়ে কাজ করবে। আমরা এমন বাংলাদেশ চাই। দেশের সরকারি-বেরসরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীরা ঘুষ চাইতে পারবে না। ঘুষ চাইলে তাদের হাত ভেঙে দেওয়া হবে। আমরা এমন বাংলাদেশ চাই। দেশের প্রত্যেকটি নাগরিক দেশের জন্য কল্যাণকামী।

এ সময় কেন্দ্রীয় নির্বাহী সদস্য ও ঢাকা মহানগর দক্ষিণের আমির এবং চাঁপাইনবাবগঞ্জ-৩ আসনের সংসদ সদস্য পদে জামায়াতে ইসলামী মনোনীত প্রার্থী নুরুল ইসলাম বুলবুল, কেন্দ্রীয় নির্বাহী সদস্য অধ্যক্ষ শাহাবুদ্দিন, কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য ও কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক মো. রফিকুল ইসলাম, কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য সাবেক পৌর মেয়র মো. নজরুল ইসলাম, কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য ও রাজশাহী মহানগর আমির ড. মাওলানা কেরামত আলী, কেন্দ্রীয় মজলিসে শুরা সদস্য ও জেলা নায়েবে আমির অধ্যাপক লতিফুর রহমান, জেলা সহকারী সেক্রেটারি অধ্যাপক মুখলেসুর রহমান, চাঁপাইনবাবগঞ্জ পৌর আমির হাফেজ মাওলানা গোলাম রাব্বানী, সদর উপজেলা আমির হাফেজ আব্দুল আলীমসহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।