পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রী সাবের হোসেন চৌধুরী বলেছেন, জলবায়ু পরিবর্তন, পরিবেশ দূষণ নিয়ন্ত্রণ এবং বনজ সম্পদ উন্নয়নে বাংলাদেশ ও নরওয়ের মধ্যে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক গবেষণা এবং সক্ষমতা বৃদ্ধির ওপর বিশেষ গুরুত্ব দিয়ে শক্তিশালী হবে। উভয় দেশ পারস্পরিক স্বার্থসংশ্লিষ্ট মূল বিষয়গুলোতে আগামী দিনগুলোতে ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করবে।
বৃহস্পতিবার বাংলাদেশ সচিবালয়ের পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রীর কার্যালয়ে নরওয়ের বাংলাদেশে রাষ্ট্রদূত এসপেন রিক্টার-সভেন্ডসেন বিদায়ী সাক্ষাৎকালে পরিবেশমন্ত্রী এই কথা বলেন। মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. ফারহিনা আহমেদ এসময়এ উপস্থিত ছিলেন।
মন্ত্রী সাবের চৌধুরী বিদায়ী রাষ্ট্রদূতকে বিদায়ী সাক্ষাতের জন্য ধন্যবাদ জানান এবং দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক জোরদার করতে বিদায়ী রাষ্ট্রদূতের অবদানের প্রশংসা করেন। তিনি বলেন, তার মেয়াদকালে, বাংলাদেশ-নরওয়ে সম্পর্ক আরও গভীর ও শক্তিশালী হয়েছে এবং এটি আমাদের পারস্পরিক সহযোগিতার ক্ষেত্রগুলি আরও প্রসারিত করার জন্য একটি দৃঢ় ভিত্তি প্রদান করেছে। মন্ত্রী এছাড়াও নবায়নযোগ্য শক্তি, বন সংরক্ষণ এবং জলবায়ু অভিযোজনের ক্ষেত্রে বাংলাদেশের সাম্প্রতিক উদ্যোগ এবং ভবিষ্যৎ পরিকল্পনার ওপর আলোকপাত করেন।
রাষ্ট্রদূত রিক্টার-সভেন্ডসেন বাংলাদেশের জলবায়ু পরিবর্তনের বিরুদ্ধে লড়াই এবং এর সমৃদ্ধ জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণের প্রচেষ্টার জন্য নরওয়ের অব্যাহত সমর্থনের প্রতিশ্রুতি ব্যক্ত করেন। তিনি বৈশ্বিক পরিবেশগত চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় আন্তর্জাতিক সহযোগিতার গুরুত্বের ওপর জোর দেন এবং বাংলাদেশের পরিবেশগত উদ্যোগগুলিকে সহায়তা করার জন্য প্রযুক্তিগত এবং আর্থিক সহায়তা প্রদানের জন্য নরওয়ের প্রতিশ্রুতির কথা তুলে ধরেন।
উভয় পক্ষ তাদের পারস্পরিক পরিবেশগত লক্ষ্যগুলিকে আরও এগিয়ে নেওয়ার জন্য সহযোগিতা বাড়ানোর এবং অংশীদারিত্বের নতুন ক্ষেত্র অন্বেষণ করার প্রয়োজনীয়তার বিষয়ে একমত হয়। উভয় দেশ পরিবেশ এবং জলবায়ু চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় ঘনিষ্ঠভাবে কাজ চালিয়ে যাওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়ে বৈঠকটি শেষ হয়, যা উভয় দেশের টেকসই উন্নয়ন নিশ্চিত করবে।