ডিআরইউতে সন্ত্রাসী হামলা, একাধিক সাংবাদিক আহত

পিস্তল, দেশীয় অস্ত্র ও লাঠিসোটা নিয়ে রাতের আঁধারে অতর্কিতভাবে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে (ডিআরইউ) হামলা চালিয়েছে দখলবাজ আওয়ামী দোসর সন্ত্রাসী জাকির হোসেন ও তার অনুসারীরা। এই সময় ডিআরইউ সভাপতি আবু সালেহ আকন, দপ্তর সম্পাদক রফিক রাফি, সদস্য মশিউর রহমান, মাহবুব হাসান, দেলোয়ার মহিন, মফিজুল সাদিকসহ অনেক সাংবাদিক আহত হয়েছেন। পরে পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।

বুধবার (২১ মে) রাতে হঠাৎ করে এই হামলা চালানো হয়। ডিআরইউ কার্যালয়ের সামনে থেকে চেয়ারম্যান টি স্টল নামে একটি দোকানের মালামাল তারা লুট করে নিয়ে যায়। ৫০ হাজার টাকার মালামালসহ দোকানটি গায়েব করে দেয় জাকির হোসেন গং।

এ বিষয়ে ডিআরইউ-এর সিনিয়র সদস্য মশিউর রহমান বলেন, পূর্ব পরিকল্পিতভাবে তাদের ওপর হামলা চালানো হয়েছে। তিনি আরও বলেন, হামলার খবর শুনে ডিআরইউ-এর সভাপতি ঘটনাস্থলে ছুটে গেলে তাকেও মারধর করা হয়। এতে সভাপতিসহ বেশ কিছু সাংবাদিক নেতা ও সদস্য আহত হয়েছেন। জাকির ও জাকিরের স্ত্রী, কন্যা, ভাগনেসহ শতাধিক লোকজন সাংবাদিকদের ওপর হামলা চালায়।

হামলা প্রসঙ্গে ডিআরইউ সভাপতি বলেন, জাকিরের অনুসারীরা হঠাৎ করেই আমাদের ওপর হামলা করেছে। এর আগে একটা দোকান লুট করে নেয়া হয়েছে। গরিব মানুষের একটা দোকান যেটা লুট করা কাম্য হয়নি। বিষয়টি জানতে চাইলে আমাদের সদস্যদের ওপর হামলা চালানো হয়। সদস্যদের ওপরে হামলা চালিয়ে তারা ক্ষান্ত হয়নি। পরে ডিআরইউ-এর সদস্যদের ওপরে রাতের আধারে দেশীয় অস্ত্র নিয়ে হামলা চালানো হয়। রাতের আধারে কাপুরোষিত এই হামলার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই। একই সঙ্গে সুষ্ঠু তদন্ত করে এর সঠিক বিচারের দাবি জানাই।

ডিআরইউ সাধারণ সম্পাদক মাইনুল হাসান সোহেল জানান, সাংবাদিকদের ওপর হামলার ঘটনায় বৃহস্পতিবার আমরা মামলা করব। জাকির গংরা গত ১৬ বছর সাংবাদিক ও এলাকার নিরীহ মানুষের উপরে নির্যাতন ও রামরাজত্ব কায়েম করেছে।

ভুক্তভোগী আজিমের স্ত্রী জানান, জাকিরের লোকজন আমাদের দোকানের ৫০ হাজার টাকার মালামাল লুট করেছে এবং দোকান ভাংচুর করে তুলে নিয়ে গেছে। পিস্তল ও দেশীয় অস্ত্র দিয়ে হামলা চালিয়ে অনেককে আহত করেছে। জাকির আমাদের জায়গা জোর করে দখল করে রেখেছে। সেখানে তারা মাদক ব্যবসা করে। আমি এর বিচার চাই।