ন্যাশনাল ব্যাংকের চেয়ারম্যান আব্দুল আউয়াল মিন্টু বলেছেন, চলতি বছরের অক্টোবর পর্যন্ত প্রায় ৯০০ কোটি টাকা খেলাপি ঋণ আদায় করেছে ন্যাশনাল ব্যাংক।
তিনি বলেন, চলতি বছরের বাকি সময়ের মধ্যে আরও ৪০০ কোটি টাকা আদায়ের প্রক্রিয়া চলমান। আশা করি, আগামী তিন মাসের মধ্যে একটা স্বাভাবিক অবস্থা ফিরে আসবে।
বৃহস্পতিবার (২৮ নভেম্বর) ব্যাংকটির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন। এসময় ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) তৌহিদুল আলম খান, পরিচালকসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
আব্দুল আউয়াল মিন্টু বলেন, দেশীয় উদ্যোক্তার মাধ্যমে পরিচালিত প্রথম ব্যাংক বেসরকারি ন্যাশনাল ব্যাংক। অ্যাসেট রিকভারি, বৈদেশিক বাণিজ্য এবং রেমিট্যান্স বাড়ানোর চেষ্টা করছি। এ লক্ষ্যে আমরা কাজ করছি, টিম কাজ করছে।
তিনি বলেন, এই কঠিন সময়েও আমাদের ব্যাংক দেশের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ খাত গার্মেন্টস শিল্প ও কারখানাগুলোর সঙ্গে সক্রিয়ভাবে কাজ করছে। বিশেষত এলসি সুবিধা প্রদানসহ গার্মেন্টস কর্মীদের বেতন-ভাতা সময়মতো পরিশােধ নিশ্চিত করায় ন্যাশনাল ব্যাংক সদা সচেষ্ট। পাশাপাশি দেশর অর্থনীতিকে সচল রাখতে বৈদেশিক লেনদেনের ক্ষত্রেও ন্যাশনাল ব্যাংক যথেষ্ট সচেষ্ট। ফলে সাম্প্রতিক সময়েও রেমিট্যান্সে ন্যাশনাল ব্যাংকের অবস্থান দৃঢ় রয়েছে।
আব্দুল আউয়াল মিন্টু বলেন, ন্যাশনাল ব্যাংকের অনিয়ম ছিল বহুমাত্রিক ও বহুপাক্ষিক। নিয়ম বা অনিয়ম যেভাবেই ঋণ দেওয়া হোক, অনাদায়ী ঋণ আদায় আমাদের লক্ষ্য। তবে আমরা দায়িত্ব নেওয়ার তিন মাসের মধ্যে কোনো অনিয়ম হয়নি, আগামীতেও হবে না। অনিয়মের টাকা উদ্ধারে কাজ করে যাচ্ছি। ৫টি টিম কাজ করছে, দেশের বাইরে থেকেও অডিট কাজ করছে।
তিনি আরও বলেন, অনেক ব্যাংকের ওপর আস্থা না থাকায় গ্রাহক অন্য ব্যাংক চলে যাচ্ছে, এটা আমাদের ক্ষেত্রেও দেখেছি। আস্থা রাখুন, তিন মাস পর ভালো কিছু দেখা যাবে। গ্রাহকদের কোনো কোনো ব্যাংকের প্রতি আস্থা নেই। কারণ মানুষের বেতন যা বেড়েছে তার চেয়ে মূল্যস্ফীতি বেড়েছে। এতে অনেক গ্রাহক সঞ্চয় ভাঙছেন। বাংলাদেশ ব্যাংকের সহযোগিতায় আমরা সেই আস্থা ফেরানোর কাজ করছি।