পুঁজিবাজার কেন্দ্রীক একাডেমিক শিক্ষা সচেতনতামূলক কর্মশালা

পাবলিক ও প্রাইভেট ইউনিভার্সিটির শিক্ষক ও ছাত্রছাত্রীদের জন্য পুঁজিবাজার কেন্দ্রিক একাডেমিক শিক্ষা সচেতনতামূলক ধারাবাহিক কর্মশালার অংশহিসেবে ডিএসই ট্রেনিং একাডেমি (০৩ ডিসেম্বর ২০২৪) সাভারের আর্মি ইন্সটিটিউট অব বিজনেস অ্যাডমিনিস্ট্রেশনের শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের জন্য সচেতনতামূলক কর্মশালার আয়োজন করে। যার নেতৃত্বে দেন আর্মি ইন্সটিটিউট অব বিজনের অ্যাডমিনিস্ট্রেশনের ডিরেক্টর জেনারেল মেজর জেনারেল (অব:) মোহাম্মদ কামরুজ্জামান, এমবিএ। এই কর্মশালায় ডিএসই’র কর্মকর্তাবৃন্দ অংশগ্রহণ করেন। অনুষ্ঠানে ডিএসই’র ভারপ্রাপ্ত ব্যবস্থাপনা পরিচালক সাত্বিক আহমেদ শাহ সকলকে স্বাগত জানিয়ে বলেন, আজকের প্রোগ্রামটি পুঁজিবাজার সম্পর্কে জ্ঞান বৃদ্ধি করার আপনাদের জন্য একটি সুবর্ণ সুযোগ। আপনারা এই কর্মশালা থেকে পুঁজিবাজার সম্পর্কে বাস্তবধর্মী জ্ঞান অর্জন করতে পারবেন। যা ভবিষ্যতে আপনাদের পুঁজিবাজারে বিনিয়োগ এবং কর্মক্ষেত্রে সহায়তা করবে।

সচেতনতামূলক কর্মশালায় মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন ডিএসই’র উপ-মহাব্যবস্থাপক সৈয়দ আল-আমিন রহমান। মূল প্রবন্ধে তিনি পুঁজিবাজার সম্পর্কে প্রাথমিক ধারণা ও পুঁজিবাজারের বর্তমান পরিস্থিতি, পুঁজিবাজারের প্রবৃদ্ধি ও বিনিয়োগ কৌশলসহ বিভিন্ন বিষয়ের আলোকপাত করেন। পরবর্তীতে বিভিন্ন প্রশ্নের জবাব দেন ডিএসই’র পরিচালক মিনহাজ মান্নান ইমন এবং মহাব্যবস্থাপক ও সিওও (ইনচার্জ) মোঃ ছামিউল ইসলাম।

ধন্যবাদ বক্তব্যে ডিএসই’র সতন্ত্র পরিচালক ও আর্মি ইন্সটিটিউট অব বিজনের অ্যাডমিনিস্ট্রেশনের ডিজি মেজর জেনারেল (অব:) মোহাম্মদ কামরুজ্জামান, এমবিএ বলেন, পুঁজিবাজারে যত বেশি ভালো মানের কোম্পানি থাকবে পুঁজিবাজার তত বেশি উন্নত হবে। অতীতে বেশ কিছু খারাপ কোম্পানি তালিকাভুক্ত হবার কারণে পুঁজিবাজার বর্তমান অবস্থায় পৌচেছে। আমরা আশা করি আগামীতে ভালো মৌলভিত্তি সম্পন্ন কোম্পানি তালিকাভুক্ত হবে।

সমাপনী বক্তব্যে ডিএসই’র পরিচালক মিনহাজ মান্নান ইমন বলেন, পুঁজিবাজারে বিনিয়োগের ক্ষেত্রে কখন, কোথায় এবং কেন বিনিয়োগ করবেন তা জানা প্রয়োজন। এই জন্য বিনিয়োগ শিক্ষা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। ইমোশনাল হয়ে বিনিয়োগ করা যাবে না। এছাড়াও কোম্পানির পারফরমেন্স ও উদ্যোক্তা, পরিচালক দেখে শেয়ারের দাম যখন কম থাকে তখন বিনিয়োগ করতে হবে।

তিনি আরও বলেন, গত ১৫ বছরে পুঁজিবাজারে অনেক নিম্নমানের আইপিও এসেছে। যা পুঁজিবাজারকে ক্ষতিগ্রস্ত করেছে। এজন্য নিম্নমানের আইপিও বন্ধের বিষয়ে পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে । এছাড়া বিদেশে টাকা পাচার বন্ধ করা হয়েছে। যেটি দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে।