হাঁটা নিজেই থেরাপিউটিক। যখন অন্য সবাই ফিট থাকার জন্য জটিল ওয়ার্কআউটের কথা বলে, তখন ৩০ মিনিটের দ্রুত হাঁটা খুব একটা কার্যকরী মনে নাও হতে পারে। তবে এটি আপনার শারীরিক এবং মানসিক সুস্থতার জন্য বিস্ময়করভাবে কাজ করতে পারে। চলুন জেনে নেওয়া যাক, প্রতিদিন ৩০ মিনিট হাঁটার ৭টি উপকারিতা সম্পর্কে-
১. হৃদরোগের ঝুঁকি কমায়
যদি আপনি নিয়মিত হাঁটেন, তাহলে এটি রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে এবং কোলেস্টেরলের মাত্রা কমাতে সাহায্য করবে। যা হৃদরোগের স্বাস্থ্যের উন্নতিতে সাহায্য করে। হাঁটার অভ্যাস আপনার হার্ট অ্যাটাক এবং স্ট্রোকের ঝুঁকি কমাতে পারে।
২. স্বাস্থ্যকর ওজন বজায় রাখতে সাহায্য করে
আজকাল মানুষের জন্য ওজন বৃদ্ধি এবং স্থূলতা একটি উদ্বেগের বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে। হাঁটা ক্যালোরি পোড়ায় এবং বিপাক বৃদ্ধি করে, যা আপনাকে দ্রুত ওজন কমাতে সহায়তা করতে পারে। এটি হজমেও সহায়তা করে, যা ওজন বজায় রাখার একটি সহজ এবং টেকসই উপায়।
৩. স্ট্রেস লেভেল কমায়
স্ট্রেস বাস্টার? হাঁটতে যান! প্রতিদিন হাঁটার অভ্যাস আপনার মনকে বিশ্রাম দেবে। এটি কর্টিসল (স্ট্রেস হরমোন) নিয়ন্ত্রণ করতে সাহায্য করে এবং এন্ডোরফিনের নিঃসরণকে ট্রিগার করতে পারে, যা মন ফুরফুরে রাখতে সাহায্য করে।
৪. শক্তির মাত্রা বৃদ্ধি করে
আপনি কি প্রায়ই ক্লান্ত বোধ করেন? প্রতিদিন ৩০ মিনিট হাঁটার চেষ্টা করুন। এমনকি যখন ক্লান্ত থাকেন, তখনও হাঁটা আপনার রক্ত সঞ্চালন এবং পেশীগুলোকে সচল রাখে। যা আপনাকে আরও উজ্জীবিত এবং সজাগ বোধ করাবে।
৫. মনকে চাঙা করে
হাঁটা মস্তিষ্কে অক্সিজেন প্রবাহ বৃদ্ধি করে, স্মৃতিশক্তির কার্যকারিতা তীক্ষ্ণ করে এবং মনোযোগ বৃদ্ধি করে। এটি মানসিক স্বচ্ছতা এবং এমনকি স্মৃতিশক্তি ধরে রাখার ব্যবস্থাও করে। এটি একটি প্রাকৃতিক মস্তিষ্কের বুস্টার!
৬. রক্ত পাম্পিং বৃদ্ধি করে
শরীরের স্নায়ু এবং কোষগুলোতে নিয়মিত রক্ত প্রবাহের প্রয়োজন। হাঁটা রক্ত সঞ্চালনকে উদ্দীপিত করে, যা আপনার অঙ্গ এবং পেশীগুলোকে তাজা অক্সিজেন এবং পুষ্টি দিয়ে পুষ্ট করে, এর ফলে সমগ্র সিস্টেম সুস্থ থাকে।
৭. স্থূলতা প্রতিরোধ করে
অতিরিক্ত চর্বি মানে বিভিন্ন রোগের আমন্ত্রণ। হাঁটার অভ্যাস বসে থাকা জীবনযাত্রার বিরুদ্ধে লড়াই করে, ক্ষুধা নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে এবং চর্বি বিপাক উন্নত করে, যা সবই স্থূলতা প্রতিরোধে গুরুত্বপূর্ণ।