মোঃ ফয়জার রহমান, দিনাজপুর : প্রায় দেড় থেকে দুই লক্ষ টাকার ধান কেটে ফেলে নষ্ট করে ও কীটনাশক প্রয়োগ করে পাকা বোড় ইরি ধান নষ্ট করে দেওয়ার অভিযোগে ফুলবাড়ী থানায় অভিযোগ দায়ের করেন মোঃ সুজন হোসেন ।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায় দিনাজপুরের ফুলবাড়ী উপজেলার ৩ নং কাজিহাল ইউনিয়নের মিরপুর গ্রামের মৃত আব্দুল হালিমের স্ত্রী নার্গিস আক্তার ১ নম্বর। তার আত্মীয় আমড়া গ্রামের আব্দুল জব্বারের পুত্র মোঃ হাসানুর গ্রামের এমদাদুল হক ২ নাম্বার। বিবাদী উল্লেখ করে মোট ৫ জনের নাম দিয়ে ও অজ্ঞাতনামা ২৫-৩০ জনের নামে একটি অভিযোগ দায়ের করেন ফুলবাড়ী থানায়।
অভিযোগকারী ও এলাকাবাসীরা তাদের বক্তব্যে বলেন যে নার্গিস আক্তার একজন আওয়ামী লীগের নেত্রী তার ভাগিনা হাসানুর সহ বেশ কিছু লোক নিয়ে কিছুদিন আমাদের কে হুমকি দেয় যে এই জমি আমাদের আমরা জবর দখল নিব।
বর্তমানে আমি এবং আমার ভাইয়েরা এই জমিতে বোড় ইরি ধান আবাদ করেছি। কারণ এই জমি আমার পৈতৃক সূত্রে পাওয়া ও ক্রয় কৃত জমি। অভিযুক্তরা সব সময় হুমকি দিত এই যে কোন সময় ধান কেটে নিয়ে যাব। অথবা কীটনাশক দিয়ে নষ্ট করিয়া ফেলিবো।
অভিযোগকারী বলেন গত ২৫ এপ্রিল ২০২৫ আনুমানিক রাত ১ অথবা ২ টার দিকে আমার জমি মনে করিয়া পার্শ্বে মোহাম্মদ আফজাল ও সোলাইমান বাবুর প্রায় এক থেকে দেড় বিঘা জমিতে কীটনাশক প্রয়োগ করিয়া ধান নষ্ট করে ফেলে।
এই নিয়ে এলাকায় সালিশে বসে সে ক্ষতিপূরণ দেওয়ার কথা স্বীকার করে বিবাদীগণ । বিবাদি গণ হাট বাজারে এই বলিয়া বেড়াতো আমাকে ও আমার ভাই জোবায়ের ও আতিয়ার কে প্রাণে মারিয়া ফেলিবে। এরই ধারাবাহিকতায় গত ২৯ এপ্রিল ২০২৫ ইং তারিখ দিবাগত রাত ৩ ঘটিকায় অভিযুক্তরা দেশীয় অস্ত্র লাঠি সোটা সহ আমার জমিতে অনুপ্রবেশ করে আমি দেখিতে পাইয়া আমার ভাই সহ এলাকাবাসীকে ডেকে নিয়ে ঘটনাস্থলে এসে দেখি প্রায় তিন বিঘা জমির ধান কেটে নষ্ট করে পালিয়ে যায়।
এবং পালিয়ে যাওয়ার সময় হুমকি দিতে দিতে যায় যে সুযোগ পাইলে আমাদের কে প্রাণে মারিয়া ফেলবে, আমরা অনেক আতঙ্কিত।
এব্যাপারে ফুলবাড়ী থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ মহিববুল ইসলাম কে অভিযোগের ব্যাপারে জিজ্ঞাসা করলে বলেন অভিযোগ পেয়েছি তদন্ত করে পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়া হবে । ক্ষতিগ্রস্ত কৃষক ও তার ভাইয়েরা বলেন যে আমরা গরীব ও অসহায়, আমরা ন্যায় বিচারের পাশাপাশি সরকারের কাছে ক্ষতিপূরণ কামনা করছি।