বাংলাদেশে রাজনৈতিক দল ও সংগঠন এবং এর কার্যক্রম নিষিদ্ধের সুযোগ রেখে আইনে সংশোধন আনার বিষয়ে উদ্বেগ জানিয়েছেন জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক হাইকমিশনার ভলকার তুর্ক। সোমবার এক বিবৃতিতে তিনি বলেন, সম্প্রতি বাংলাদেশে রাজনৈতিক দল ও সংগঠন এবং এর কার্যক্রম নিষিদ্ধের সুযোগ রেখে আইনে সংশোধন আনার বিষয়টি নিয়ে আমি উদ্বিগ্ন।
জাতিসংঘের মানবাধিকার প্রধান আরও বলেন, এ ধরনের পদক্ষেপ অযৌক্তিকভাবে মানুষের অধিকার, মতপ্রকাশের স্বাধীনতা এবং সমাবেশের স্বাধীনতাকে বাধাগ্রস্ত করছে।
আরও পড়ুনঃ জুলাই নৃশংসতা নিয়ে জাতিসংঘের প্রতিবেদন ফেব্রুয়ারির মধ্যে
সোমবার (১৬ জুন) জেনেভায় অনুষ্ঠিত মানবাধিকার পরিষদের ৫৯তম অধিবেশনে তিনি বলেন, বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকার ও রাজনৈতিক দলগুলো সংলাপের মাধ্যমে অগ্রগতি করছে, এটি উৎসাহব্যঞ্জক। আমি সংস্কারের ক্ষেত্রে অর্থবহ পরিবর্তনের আহ্বান জানাই। এতে অবাধ ও অন্তর্ভুক্তিমূলক নির্বাচনের পরিবেশ তৈরি হবে।
তিনি বলেন, সাম্প্রতিক যে আইনি পরিবর্তনের মাধ্যমে রাজনৈতিক দল ও সংগঠনের সব কার্যক্রম নিষিদ্ধ করার সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে, তা নিয়ে আমি উদ্বিগ্ন।
গত ১১ মে সন্ত্রাসী কার্যক্রমে জড়িত এমন ব্যক্তি বা সত্তা এবং তাদের কর্মকাণ্ড নিষিদ্ধ করার বিধান যুক্ত করে সন্ত্রাসবিরোধী (সংশোধন) অধ্যাদেশ, ২০২৫-এর খসড়া নীতিগত ও চূড়ান্ত অনুমোদন করে উপদেষ্টা পরিষদ।
এই অধ্যাদেশের আলোকে আওয়ামী লীগ এবং এর সব অঙ্গসংগঠন, সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীর বিচার আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে শেষ না হওয়া পর্যন্ত তাদের কার্যক্রম নিষিদ্ধ করা হয়। এ ছাড়া আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল আইনও সংশোধন করা হয়েছে।
এ বিষয়ে জারি করা গেজেট বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, আওয়ামী লীগ ও এর সহযোগী সংগঠনগুলোর নেতাদের বিচার শেষ না হওয়া পর্যন্ত এই নিষেধাজ্ঞা কার্যকর থাকবে।
এধরনের খবর পড়তে ভিজিট করুন সোনালি বাংলা নিউজ।