কারিগরি ত্রুটির কারণে যাত্রা বাতিলের ৩৬ ঘণ্টা পর যাত্রীদের নিয়ে মদিনা থেকে ঢাকার পথে উড়াল দিয়েছে বাংলাদেশ বিমানের ফ্লাইট বিজি১৩৮। আজ রোববার স্থানীয় সময় বেলা ১১টায় প্রিন্স মোহাম্মদ বিন আবদুল আজিজ ইন্টারন্যাশনাল এয়ারপোর্ট থেকে ঢাকার উদ্দেশে ছেড়ে যায়।
এর আগে শুক্রবার স্থানীয় সময় রাত ১১টা ৩০ মিনিটে মদিনা থেকে ঢাকার উদ্দেশে ছেড়ে আসার কথা ছিল বিমান বাংলাদেশের এই ফ্লাইটের। কারিগরি ত্রুটির কারণে নির্ধারিত সময়ের ছয় ঘণ্টা পর ভোরে যাত্রা বাতিল করে বিমান কর্তৃপক্ষ।
বিমানের যাত্রীরা জানান, বোর্ডিং পাস নিয়ে ফ্লাইটে ওঠার আগমুহূর্তে রাত ১১টার সময় ‘টেকনিক্যাল ত্রুটির’ কারণে আধা ঘণ্টা দেরির কথা জানায় বিমান। কিন্তু ত্রুটি সারাতে না পেরে এক ঘণ্টা করে আরও পাঁচবার সময় নেয় বাংলাদেশ বিমান। পরে স্থানীয় সময় সকাল ৬টা ৩০ মিনিটে যাত্রা বাতিলের ঘোষণা দেয় কর্তৃপক্ষ। সারা রাত বসিয়ে রাখার পর সকালে ফ্লাইট বাতিল করায় ভোগান্তিতে পড়েন যাত্রীরা।
ঢাকার উদ্দেশে যাত্রা শুরু হলেও দেড় দিনের বিলম্বের কারণে যাত্রীদের চোখে–মুখে বিরক্তির ছাপ লক্ষ করা গেছে। যাত্রীদের অভিযোগ, টেকনিক্যাল ত্রুটির কারণে সমস্যা হতে পারে। কিন্তু বিকল্পব্যবস্থা না করে বিমান ২৪১ জন যাত্রীর ৩৬ ঘণ্টা সময় নষ্ট করেছে।
শুক্কুর আলী নামে ফ্লাইটের এক যাত্রী বলেন, ‘আমি সৌদি আরবের কোম্পানি থেকে এক মাসের ছুটি নিয়ে দেশে রওয়ানা দিয়েছিলাম। কিন্তু যাত্রীদের জন্য বিকল্পব্যবস্থা না রেখে আমার দুই দিন নষ্ট করেছে বিমান বাংলাদেশ। এভাবে করলে ভবিষ্যতে যাত্রী হারাবে বিমান।’
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক আরেক যাত্রী বলেন, ‘৪০ দিনের ছুটিতে বাড়িতে যাওয়ার জন্য শুক্রবার মদিনা থেকে রওয়ানা দিয়েছি। শনিবার গিয়ে ঢাকায় পৌঁছে সেখান থেকে রোববার বাড়িতে পৌঁছে সোমবার আমার গায়েহলুদ ও বিবাহ অনুষ্ঠান। কিন্তু রোববার আমি এখনো সৌদি আরবে রয়েছি।’
বাংলাদেশ বিমানের স্টেশন ম্যানেজার মোহাম্মদ এনামুল হক বলেন, ‘বাংলাদেশ থেকে শুক্রবার দুপুরে ছেড়ে আসা বিমানটি মদিনা থেকে যাত্রা শুরুর আগমুহূর্তে টেকনিক্যাল ত্রুটি ধরা পড়ে। স্থানীয় ইঞ্জিনিয়ারদের নিয়ে দীর্ঘক্ষণ চেষ্টা করে সমাধান করতে না পারায় যাত্রা বাতিল করা হয়।
‘যাত্রা বাতিল হওয়া যাত্রীদের আমরা বিমানের ব্যবস্থাপনায় নিরাপদে রাখার ব্যবস্থা করেছি। পরে শনিবার রাতে বাংলাদেশ থেকে ইঞ্জিনিয়ার এনে দীর্ঘক্ষণ চেষ্টা করে রোববার সকালে সমাধান করা হয়েছে।’