সিঅ্যান্ডএ সোর্সিং এর হেড অফ সোর্সিং, আলেকজান্দ্রে সস-সালাস ১৮ নভেম্বর ২০২৪ ঢাকার উত্তরায় বিজিএমইএর কার্যালয়ে বাংলাদেশ পোশাক প্রস্তুতকারক ও রপ্তানিকারক সমিতি (বিজিএমইএ) এর প্রশাসক আনোয়ার হোসেনের সাথে দেখা করেন।
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য যে, সিঅ্যান্ডএ সোর্সিং হলো একটি শীর্ষস্থানীয় বৈশ্বিক ফ্যাশন রিটেইলার, যা ইউরোপে প্রায় ১,৩০০টি স্টোর পরিচালনা করে। এটি বাংলাদেশের প্রধান পোশাক ক্রেতাগুলোর মধ্যে অন্যতম, যা বহু বছর ধরে বাংলাদেশ দেশ থেকে পোশাক সোর্সিং করে আসছে।
সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন সিঅ্যান্ডএ সোর্সিং এর আঞ্চলিক সোর্সিং ম্যানেজার, শান্তনু সিং।
আলোচনার মূল বিষয়বস্তু ছিলো বাংলাদেশে তৈরি পোশাক শিল্পের বর্তমান অবস্থা, বৈশ্বিক বাজারের প্রবণতা এবং ব্যবসা সম্প্রসারণের সম্ভাবনা। বিশ্ব বাজারে শিল্পের প্রতিযোগী সক্ষমতা বাড়ানোর জন্য বিজিএমইএ ও সিঅ্যান্ডএ সোর্সিং কিভাবে একসাথে কাজ করতে পারে, তা নিয়েও আলোচনা করা হয়।
বৈঠকে বিজিএমইএ এর প্রশাসক আনোয়ার হোসেন দেশের পোশাক খাতে যে রূপান্তরমূলক অগ্রগতি ঘটেছে, সে সম্পর্কে সংক্ষিপ্ত বিবরণ প্রদান করেন।
তিনি বৈশ্বিক ডিকার্বনাইজেশন প্রচেষ্টায় বাংলাদেশের ক্রমবর্ধমান নেতৃত্বমূলক ভূমিকা পালন এবং এথিক্যাল সোর্সিং অনুশীলনের প্রতি বাংলাদেশের প্রতিশ্রুতি তুলে ধরেন।
তিনি বলেন, ইউএস গ্রীন বিল্ডিং কাউন্সিল (ইউএসজিবিসি) দ্বারা প্রত্যয়িত ২৩০টি লীড কারখানাসহ বিশ্বের সর্বাধিক সংখ্যক পরিবেশবান্ধব পোশাক কারখানার আবাসস্থল বাংলাদেশ। বিশ্বের ১০০টি শীর্ষস্থানীয় লীড কারখানাগুলোর মধ্যে অর্ধেকেরও বেশি বাংলাদেশে অবস্থিত।
সিন্থেটিক ফাইবার থেকে তৈরি পোশাকসহ উচ্চ-মূল্যের ফ্যাশন আইটেমগুলোর দিকে বাংলাদেশ ক্রমাগতভাবে ঝুঁকছে উল্লেখ করে আনোয়ার হোসেন সিঅ্যান্ডএ সোর্সিং -কে বাংলাদেশ থেকে পোশাক, বিশেষ করে উচ্চমূল্যের পোশাক পণ্যের সোর্সিং বাড়ানোর জন্য আহবান জানান।
তিনি বাংলাদেশের ব্যাকওয়ার্ড লিংকেজ শিল্পে ক্রমবর্ধমান বিনিয়োগ এবং উন্নয়নের বিষয়টিও সিএন্ডএ প্রতিনিধিদলকে অবহিত করেন, যা কিনা পোশাক শিল্পের প্রতিযোগী সক্ষমতা বাড়াচ্ছে।
