বিজিএমইএ প্রশাসকের সঙ্গে চীনের রাষ্ট্রদূতের সাক্ষাৎ: দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য ও শিল্পে সহযোগিতা নিয়ে আলোচনা

বাংলাদেশে নিযুক্ত চীনের রাষ্ট্রদূত ইয়াও ওয়েন ১৭ ডিসেম্বর ঢাকায় উত্তরাস্থ বিজিএমইএ কমপ্লেক্সে বাংলাদেশ পোশাক প্রস্তুতকারক ও রপ্তানিকারক সমিতি (বিজিএমইএ) এর প্রশাসক আনোয়ার হোসেনের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন।
বৈঠকে আরও উপস্থিত ছিলেন বিজিএমইএ সাপোর্ট কমিটির সদস্য মিরান আলী ও শিহাবুদ্দোজা চৌধুরী।

আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে ছিলো দেশ দুটির মধ্যে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক আরও জোরদার করা এবং চীন ও বাংলাদেশের মধ্যে বিশেষ করে, পোশাক ও বস্ত্র খাতে আরও সহযোগিতার সুযোগ অন্বেষণ করা।

বিজিএমইএ প্রশাসক আনোয়ার হোসেন আলোচনায় বাংলাদেশের সমৃদ্ধিশীল পোশাক শিল্পের ওপর সংক্ষিপ্ত বিবরণ প্রদান করেন, বিশেষ করে পোশাক শিল্পের বর্তমান অগ্রাধিকারগুলো – উচ্চ মূল্যের নন-কটন পোশাকে যাওয়ার মাধ্যমে রপ্তানিতে বৈচিত্র্য আনয়ন, পরিবেশগত সাসটেইনেবিলিটি এর প্রসার এবং প্রযুক্তির মানোন্নয়নের মতো প্রধান অগ্রাধিকারগুলো তুলে ধরেন ।

তিনি বাংলাদেশী এবং চীনা টেক্সটাইল এবং ফ্যাশন প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে জ্ঞান বিনিময়ের ওপরও জোর দেন।
আনোয়ার হোসেন বাংলাদেশ থেকে চীনের বাজারে পণ্য রপ্তানিতে বৈচিত্র্য আনয়নের ওপরও গুরুত্বারোপ করেন। তিনি বাংলাদেশ ও চীন উভয় দেশের ব্যবসায়িক প্রতিনিধিদলের মধ্যে সফর বিনিময় এবং দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য ও বিনিয়োগের সম্ভাবনা অন্বেষণে বাণিজ্য প্রদর্শনীতে অংশগ্রহণকে উৎসাহিত করার প্রয়োজনীয়তা তুলে ধরেন।

বিজিএমইএ প্রশাসক বাণিজ্য ও শিল্প সহযোগিতা নিয়ে আলোচনা করার পাশাপাশি, চীনের সাথে মসৃণ ব্যবসায়িক সংযোগ স্থাপন এবং বাণিজ্য সম্প্রসারণের সুবিধার্থে বাজার সম্পর্কিত তথ্যাদী শেয়ার করে বাংলাদেশী ব্যবসায়ীদের আরও সহযোগিতা প্রদান করার জন্য চীনা রাষ্ট্রদূতকে অনুরোধ করেন।
বিশ্ব বাজারে ম্যান-মেইড ফাইবারভিত্তিক ফেব্রিক্স, কেমিক্যালস এবং অন্যান্য কাঁচামালগুলোর অন্যতম প্রধান সরবরাহকারী হিসেবে চীনের অবস্থান তুলে ধরে রাষ্ট্রদূত ইয়াও ওয়েন বলেন, চীন বাংলাদেশের পোশাক শিল্পের ক্রমবর্ধমান চাহিদা মেটাতে পারে।