ভারতে বিয়ের আসরে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে বরের মৃত্যু

চারপাশে উৎসবের আমেজ। বাচ্চারা দৌড়াদৌড়ি করছে, আনন্দ করছে। বিয়ের অনুষ্ঠানের সেই আনন্দ যে কয়েক ঘণ্টায় বিষাদে পরিণত হবে, তা কেউ কল্পনাও করতে পারেননি।

কনের গলায় মঙ্গলসূত্র বাঁধার কয়েক মিনিটের মধ্যেই বুকে ব্যথায় বিয়ের মণ্ডপেই লুটিয়ে পড়েন যুবক! পরে হাসপাতালে নেওয়া হলেও তাকে বাঁচানো যায়নি। হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হয় তার। মৃত ওই যুবকের নাম প্রবীণ।

চাঞ্চল্যকর এই ঘটনাটি ঘটেছে ভারতের দক্ষিণাঞ্চলীয় রাজ্য কর্ণাটকে। শনিবার (১৭ মে) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি।

সংবাদমাধ্যমটি বলছে, কর্ণাটকের বাগালকোট জেলার জামখান্ডি শহরে বিয়ের মঞ্চেই হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হয়েছে ২৫ বছর বয়সী এক যুবকের। শনিবারের এ মর্মান্তিক ঘটনায় স্তব্ধ হয়ে গেছেন বর-কনের পরিবার, আত্মীয়স্বজন ও উপস্থিত অতিথিরা।

ঘটনার সময় বিয়ের রীতিমতো আনুষ্ঠানিকতা চলছিল। বর প্রবীণ কনের গলায় মঙ্গলসূত্র পরানোর কিছুক্ষণের মধ্যেই হঠাৎ বুকের ব্যথায় ঢলে পড়েন। বিয়েতে উপস্থিত এক প্রত্যক্ষদর্শী জানান, ঘটনার পরপরই পরিবারের সদস্যরা তাকে দ্রুত স্থানীয় একটি বেসরকারি হাসপাতালে নিয়ে যান। তবে হাসপাতালে পৌঁছানোর আগেই তার মৃত্যু হয় বলে জানায় চিকিৎসকেরা।

পুলিশ জানিয়েছে, মৃতদেহ ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে। চিকিৎসকদের প্রাথমিক অনুমান, হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হয়েছে প্রবীণের।

অবশ্য তরুণদের মধ্যে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুর ঘটনা নতুন কিছু নয়। এর আগে চলতি বছরের ফেব্রুয়ারিতে মধ্যপ্রদেশে একটি বিয়ের অনুষ্ঠানে পারফর্ম করার সময় ২৩ বছর বয়সী এক তরুণী হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মঞ্চেই মারা যান।

তারও আগে গত বছর ডিসেম্বরে উত্তরপ্রদেশের আলিগড়ে ১৪ বছর বয়সী এক স্কুলছাত্র দৌড় প্রতিযোগিতার অনুশীলনের সময় হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে প্রাণ হারায়।

বিশেষজ্ঞদের মতে, কম বয়সে হৃদরোগের ঝুঁকি বেড়ে যাওয়ার পেছনে অতিরিক্ত মানসিক চাপ, অনিয়ন্ত্রিত জীবনযাপন, অস্বাস্থ্যকর খাবার এবং অনিয়মিত ঘুম বড় কারণ হয়ে উঠছে।