মানুষের কল্যাণে নিজেদের বিলিয়ে দিয়েছেন তিন দিকপাল চিকিৎসক

রাজশাহী ক্যান্সার হাসপাতালের প্রতিষ্ঠাতা প্রয়াত রোটারিয়ান ডা. প্যাট্রিক বিপুল বিশ্বাস, চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজের সাবেক অধ্যক্ষ ও বারডেমের ল্যাবরেটরি সায়েন্সের সাবেক পরিচালক অধ্যাপক ডা. শুভাগত চৌধুরী এবং দেশের প্রখ্যাত স্ত্রীরোগ বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক ডা. টিএ চৌধুরী— এই তিন দিকপাল শুধু চিকিৎসকই নন, ছিলেন মানবতার পথপ্রদর্শক। রেখে গেছেন দেশের স্বাস্থ্যখাতে যুগান্তকারী নানা অবদান। আর এই চিকিৎসকদের আদর্শ ধারণ করে তরুণ চিকিৎসকদের চিকিৎসা ও জনস্বাস্থ্যের উন্নয়নে একসঙ্গে কাজ করার আহ্বান জানিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা।

শুক্রবার (১৮ এপ্রিল) জাতীয় প্রেসক্লাবে আয়োজিত খ্যাতিমান তিন চিকিৎসকের কর্মময় জীবন ও মানবিক অবদানের স্মরণে আয়োজিত এক আলোচনা সভায় তারা এসব কথা বলেন।

সভার শুরুতে বক্তব্য রাখেন ও অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন কমিউনিটি অনকোলজি সেন্টারের ট্রাস্টি এবং বাংলাদেশ স্তন ক্যান্সার সচেতনতা ফোরামের প্রধান সমন্বয়কারী অধ্যাপক ডা. হাবিবুল্লাহ তালুকদার রাসকিন।

সভায় আরও বক্তব্য রাখেন- অধ্যাপক সারিয়া তাসনিম, ড. হালিদা হানুম আখতার, অধ্যাপক ডা. নেজাম উদ্দিন আহমেদ, ডা. আবু জামিল ফয়সাল, অধ্যাপক ডা. মো. শহীদুল্লাহ, অধ্যাপক মলয় কুমার মৃধা, প্রয়াত অধ্যাপক ডা. শুভাগত চৌধুরীর সহধর্মিণী কামনা চৌধুরী, ডা. প্যাট্রিক বিপুল বিশ্বাসের কন্যা ডা. ইপ্সিতা বিশ্বাস ও জামাতা ডা. অভি চক্রবর্তী, সাবেক অতিরিক্ত সচিব আব্দুল হাকিম মজুমদার, তাহমিনা গাফফার, রোটারিয়ান শাহানা আলম, সাংবাদিক আসিফ নবী, জাহান এ গুলশান শাপলা, শাহিদা ইলোরা, কবি মোহন রায়হান, সাংবাদিক হাসান মিসবাহ, রোটারিয়ান সৈয়দ আফতাবুজ্জামান এবং ডা. রিনা পাল।

বক্তারা বলেন, এই তিন চিকিৎসক তাদের মেধা, নিষ্ঠা ও মানবিকতা দিয়ে চিকিৎসাক্ষেত্রে এক উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন। যারা মানবকল্যাণে আজীবন কাজ করে গেছেন, তাদের স্মরণ ও সম্মান জানানোর দায়িত্ব আমাদের সবার।

অধ্যাপক ডা. হাবিবুল্লাহ তালুকদার রাসকিন জানান, প্রয়াত তিন চিকিৎসকের অসমাপ্ত কাজ এগিয়ে নিতে নানা উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে অধ্যাপক শুভাগত চৌধুরী স্মারক বক্তৃতামালা আয়োজন ও তার অপ্রকাশিত রচনাবলী প্রকাশ, ডা. প্যাট্রিক বিপুল বিশ্বাসের রাজশাহী ক্যান্সার হাসপাতাল সম্প্রসারণে সহায়তা এবং বয়স্কদের জন্য বিশেষ সেবাকেন্দ্র চালু করা।