রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবাসনে মিয়ানমারের ওপর জাতিসংঘের রাজনৈতিক চাপের প্রশ্নে জাতিসংঘ মহাসচিবের মিয়ানমার বিষয়ক বিশেষ দূত জুলি বিশপ বলেছেন, আমার কাজ হচ্ছে মিয়ানমার ইস্যুতে মিয়ানমারের অভ্যন্তরে, প্রতিবেশী দেশগুলোর অংশীদারদের সঙ্গে যোগাযোগ রাখা। এর মধ্যে রয়েছে নিরাপদ, সম্মানজনক, স্বেচ্ছায় রোহিঙ্গাদের রাখাইন প্রদেশে প্রত্যাবাসন।
রোববার (২৩ ফেব্রুয়ারি) পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেনের সঙ্গে বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এ কথা বলেন জুলি বিশপ।
জুলি বিশপ বলেন, রাখাইন প্রদেশের যারা বাংলাদেশে অবস্থান করছে, তাদের বাংলাদেশ সহায়তা করছে এবং এ বিষয়ে জাতিসংঘ খুব ভালোভাবে জানে। আমি এখানে এসেছি বাংলাদেশের সঙ্গে কাজ করে একটি সমাধান বের করার জন্য।
আরাকান আর্মির সঙ্গে জাতিসংঘ যোগাযোগ রাখছে কী না জানতে চাইলে বিশেষ দূত বলেন, বিশেষ দূত হিসাবে মিয়ানমারে যে সমস্যা চলমান রয়েছে সেটির সমাধানের বিষয়ে আমি সব অংশীদারদের সঙ্গে কথা বলছি।
দুই দিনের সফরে শনিবার (২২ ফ্রেবুয়ারি) রাতে ঢাকায় আসেন জুলি বিশপ। মহাসচিবের বিশেষ দূত হওয়ার পর এটি বাংলাদেশে তার প্রথম সফর।
সোমবার (২৪ ফেব্রুয়ারি) কক্সবাজার রোহিঙ্গা ক্যাম্প সফরে যাবেন জুলি বিশপ।
জাতিসংঘের তথ্য বলছে, জাতিসংঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস গত বছরের এপ্রিলে অস্ট্রেলিয়ান সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী জুলি বিশপকে তার মিয়ানমার বিষয়ক বিশেষ দূত হিসেবে নিয়োগ দেন। তিনি সাবেক বিশেষ দূত নোয়েলিন হেইজারের স্থলাভিষিক্ত হন। নোয়েলিন দায়িত্বকালে বাংলাদেশ সফর করেছিলেন।