মেট্রোরেলের ২ লাখ টিকিট কীভাবে নিয়ে গেলেন যাত্রীরা

মেট্রোরেলে একক যাত্রায় ব্যবহার টিকেটের মধ্যে দুই লাখ ফেরত না দিয়েই স্টেশন থেকে বের হয়ে গেছেন যাত্রীরা। টিকেটের অভাবে যাত্রীদের সমস্যা হচ্ছে জানিয়ে সেগুলো ফেরত দেওয়ার অনুরোধ করেছে মেট্রোরেল পরিচালনাকারী সংস্থা ঢাকা ম্যাস ট্রানজিট কোম্পানি লিমিটেড-ডিএমটিসিএল।

সোমবার (১৪ অক্টোবর) রাজধানীর উত্তরায় ডিএমটিসিএল কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এ কথা জানান জানান সংস্থাটির ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোহাম্মদ আবদুর রউফ।

ছাত্র জনতার আন্দোলনের সময় ভাঙচুরে ক্ষতিগ্রস্ত মিরপুর-১০ স্টেশন মঙ্গলবার থেকে চালুর ঘোষণা দিতে সাংবাদিকদেরকে আামন্ত্রণ জানানো হয় সেখানে।

আবদুর রউফ জানান, তারা মেট্রোরেলে একক যাত্রার জন্য ২ লাখ ৪৮ হাজার টিকেট এনেছিলেন। এর মধ্যে ১৩ হাজার নষ্ট হয়ে গেছে। ২ লাখ হারিয়ে গেছে।

‘হারিয়ে যাওয়া মানে যাত্রীরা এগুলো বিভিন্ন সময়ে স্টেশনে জমা না দিয়ে নিয়ে গেছেন। এটা আইনত অপরাধ।’

মেট্রোরেলে দুই ধরনের টিকেট আছে। এমআরটি পাস কিনে কেবল রিচার্জ করে যাত্রীরা ট্রেনে চড়তে পারেন। যতক্ষণ কার্ডে টাকা থাকে ততক্ষণ ট্রেনে চড়া যায়। সর্বোচ্চ ১০ হাজার টাকা রিচার্জের সুযোগ আছে।

এভাবে কার্ড করে চলাচলে ১০ শতাংশ ছাড়ও মেলে। এই কার্ড পাঞ্চ করে স্টেশন থেকে বের হতে হয়। পাঞ্চ মেশিনেই ভাড়া স্বয়ংক্রিয়ভাবে কেটে নেওয়া হয়।

তবে কেউ চাইলে কোনো একক যাত্রার টিকেট কিনেও গন্তব্যে যেতে পারেন। এই একক যাত্রার টিকেট মেশিনে ঢুকিয়ে বের হতে হয়।

সেই টিকেট মেশিনে দিলেই বের হওয়ার সুযোগ থাকে স্টেশনে। তবে একজন টিকেট দেওয়ার পর তার সঙ্গে বের হয়ে যাওয়া যায়, এই সুযোগই নিয়ে থাকেন যাত্রীরা।

মেট্টোরেল ভিত্তিক বিভিন্ন ফেইসবুক গ্রুপে যাত্রীরা প্রায়ই মজার ছলে বা ইচ্ছে করে টিকেট এভাবে বাড়িতে নিয়ে যাওয়ার কথা জানিয়ে পোস্টও করেন। একজন যাত্রী এভাবে একাধিক টিকেট নিয়ে যাওয়ার কথা জানিয়ে গর্বও করেছেন।

এভাবে নিয়ে যাওয়া টিকেট ফেরত দেওয়ার অনুরোধ জানিয়ে ডিএমটিসিএল এমডি সংবাদ সম্মেলনে বলেন,

‘এককযাত্রার টিকিট মেট্রো স্টেশনের বাইরে নেওয়া দণ্ডনীয় অপরাধ। এসব কার্ড বাইরে নিয়ে অন্য কোনো কাজে ব্যবহার করতেও পারবেন না। তাই অনুরোধ রইল, এসব কার্ড নিকটবর্তী স্টেশনে এসে ফেরত দেবেন। এতে রাষ্ট্র আর্থিক ক্ষতি থেকে বাঁচবে।’

যাত্রীদের এই টিকেট নিয়ে যাওয়ার প্রবণতা ভুগছেন অন্যরা। টিকেট কম থাকায় প্রায়ই কিছু কিছু ভেন্ডিং মেশিন বন্ধ থাকে। তখন দীর্ঘ অপেক্ষায় থাকতে হয়।

স্টেশনে এসে এমআরটি পাস রিচার্জে ভোগান্তি অবসানের উদ্যোগ নেওয়ার কথাও সংবাদ সম্মেলনে জানান আবদুর রউফ।

তিনি বলেন, ‘ঘরে বসেই যাতে এমআরটি রিচার্জ করা যায়, সে জন্য অ্যাপ তৈরি হচ্ছে। খুব দ্রুতই চুক্তি হবে, বিষয়টি ফাইনাল স্টেজে আছে। আশা করি, খুব শিগগিরই ভালো সংবাদ দিতে পারব।’