রাজধানীতে তুমুল বৃষ্টি, জলজটে ভোগান্তি

দুপুর ১২টার দিকেও মনে হয়নি আজ ঝুম বৃষ্টিতে ভিজবে রাজধানী। পরে দুপুর ১টা নাগাদ শুরু হয় গুঁড়িগুঁড়ি বৃষ্টি, যা চলে টানা ২ ঘণ্টারও বেশি সময়। এতে ডুবে যায় গুরুত্বপূর্ণ অনেক সড়কসহ পাড়া-মহল্লার রাস্তা। সৃষ্ট জলাবদ্ধতায় চরম ভোগান্তিতে পড়েছেন নগরীর বাসিন্দারা।

সরেজিমনে দেখা গেছে, দুই ঘণ্টারও বেশি সময়ের ঝুম বৃষ্টিতে রাজধানীর মগবাজার, বাংলামোটর, গ্রিনরোড, বংশাল, পুরান ঢাকা, সেগুনবাগিচা, পান্থপথ, তেঁজকুনিপাড়া, তেজতুরি বাজারসহ বিভিন্ন সড়কে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়েছে। কোথাও কোথাও হাঁটু পানি জমে গেছে। এতে ভোগান্তিতে পড়তে হচ্ছে এসব সড়কে চলাচল করা মানুষদের।

পাশাপাশি এ টানা বৃষ্টির কারণে অনেককেই দেখা গেছে দোকানের ভেতর, যাত্রী ছাউনি, ফ্লাইওভার, মেট্রোরেল স্টেশন ও এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের নিচে আশ্রয় নিতে। আবার কেউ কেউ রেইনকোট পরে ঝুম বৃষ্টিতেই রওনা দিয়েছেন নিজ নিজ গন্তব্যে। ভ্যানচালকরাও বৃষ্টিতে ভিজে পণ্য পরিবহন করেছেন।

তবে ফুটপাতের দোকানিরা পড়েছেন বিপাকে। তারা ঠিকঠাক নিজেদের ব্যবসার পসরা সাজিয়ে বসতে পারেননি। কেউ কেউ ত্রিপল ও ছাতা দিয়ে ব্যবসা কার্যক্রম চালিয়ে নিলেও ক্রেতার দেখা নেই।

টানা বৃষ্টিতে মেট্রোরেল স্ট্রেশনের নিচে আশ্রয় নেওয়া বেসরকারি চাকরিজীবী আল-আমিন হোসেন বলেন, গুরুত্বপূর্ণ একটা কাজে আমার উত্তরা যাওয়ার কথা। কিন্তু আমি বৃষ্টির কারণে আটকা পড়েছি। আর রাস্তায় যে যানজট, জানিনা ঠিক সময়ে গন্তব্যে পৌঁছাতে পারব কিনা।

একই সুর রিকশাচালক মাজেদুর রহমানের কথাতেও। তিনি বলেন, বৃষ্টির কারণে যাত্রী নেই। কী যে হবে। মালিকরে কী দিমু আর আমি নিজে কী রাখমু?

প্রসঙ্গত, সোমবারের আবহাওয়ার পূর্বাভাস অনুযায়ী আগামী ২৪ ঘণ্টায় ময়মনসিংহ ও সিলেট বিভাগের অনেক জায়গায় এবং ঢাকা, রংপুর, রাজশাহী, খুলনা, বরিশাল ও চট্টগ্রাম বিভাগের কিছু কিছু জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা হাওয়াসহ হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি ও বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। আবার কোথাও কোথাও মাঝারি থেকে ভারি বর্ষণও হতে পারে। এ সময় দিন ও রাতের তাপমাত্রা কিছুটা বাড়তে পারে। আর বর্ধিত পাঁচ দিনে দেশ থেকে বিদায় নিতে পারে দক্ষিণ-পশ্চিম মৌসুমি বায়ু।