রাজনৈতিক সংস্কার না হলে অর্থনৈতিক সংস্কার সম্ভব নয়: সিপিডি

রাজস্ব আয় বাড়ানোর পাশাপাশি কর ফাঁকি রোধ ও রাজনৈতিক সংস্কার না হলে অর্থনৈতিক সংস্কার সম্ভব নয় বলে জানিয়েছে সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগ-সিপিডি।

বুধবার (২৯ জানুয়ারি) সকালে ধানমন্ডির সিপিডির কার্যালয়ে আয়োজিত ‘বাংলাদেশ অর্থনীতি ২০২৪-২৫: প্রথম অন্তর্বর্তীকালীন পর্যালোচনা’ শীর্ষক সংবাদ সম্মেলনে এমনটা জানানো হয়।

সিপিডির নির্বাহী পরিচালক ড. ফাহমিদা খাতুন জানান, জুলাই-আগস্টের ছাত্র জনতার আন্দোলনের পর অন্তর্বর্তী সরকার কয়েকটি খাতভিত্তিক সংস্কারমূলক কর্মসূচিসহ বেশকিছু অর্থনৈতিক পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। তবে জনগণের জীবনে ও ব্যবসা-বাণিজ্যে স্বস্তি আনার মতো উল্লেখযোগ্য কোনো পরিবর্তন দেখা যায়নি। চাঁদাবাজি বন্ধ করতে না পারায় নিত্যপণ্যের দাম কমাতে ব্যর্থ হয়েছে অন্তর্বর্তী সরকার।

তবে বৈদেশিক মুদ্রা আহরণে আমদানি-রফতানিতে ইতিবাচক পরিবর্তন এসেছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, রেমিট্যান্সের গতিতেও উল্লেখযোগ্য পরিবর্তন হয়েছে। তবে ইতিবাচক এই ধারা কতদিন থাকবে তা নিয়ে শঙ্কা রয়েছে।

তিনি বলেন, সামগ্রিকভাবে কর রাজস্ব আহরণের লক্ষ্যমাত্রা পূরণ হয়নি। অন্তর্বর্তী সরকারের বাকি সময়ে ৪৫ দশমিক ১ শতাংশ রাজস্ব আহরণ করতে হবে, যা বাস্তবায়ন সম্ভব নয়। এছাড়া ২০২৪-২৫ অর্থবছরে সামষ্টিক অর্থনীতিক গতিধারায় উন্নতির কোনো লক্ষণ দেখা যায়নি।