রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. গোলাম সাব্বির সাত্তার পদত্যাগ করছেন। বৃহস্পতিবার (৮ আগস্ট) বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার ড. মো. তারিকুল হাসান।
তিনি আরও জানান, ইতোমধ্যে পদত্যাগপত্র জমা দিয়েছেন প্রশাসনের প্রায় সাড়ে ২৯ জন গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি। তাদের মধ্যে বিশ্ববিদ্যালয়ের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক অধ্যাপক আশরাফুল ইসলাম, ছাত্র উপদেষ্টা অধ্যাপক জাহাঙ্গীর আলম সাউদ, জনসংযোগ দপ্তরের প্রশাসক অধ্যাপক প্রণব কুমার পাণ্ডে, হিসাব পরিচালক ড. শামসুল আরেফিন, ইংলিশ অ্যান্ড আদার ল্যাঙ্গুয়েজ ইনস্টিটিউটের পরিচালক অধ্যাপক আব্দুল্লাহ আল মামুন, কোয়ালিটি এসিউরেন্স সেলে পরিচালক ড. দুলাল চন্দ্র রায় এবং সহ-পরিচালক ড. মশিউর রহমান ও ড. আব্দুর রশিদ সরকার, কলেজ পরিদর্শক অধ্যাপক শহিদুল আলম, লিগ্যাল সেলের প্রশাসক সাদিকুল ইসলাম, কেন্দ্রীয় বিজ্ঞান গবেষণাগারের পরিচালক সায়েদ মুস্তাফিজুর রহমান, টিএসসিসির ভারপ্রাপ্ত পরিচালক ড. মিজানুর রহমান খান, বিশ্ববিদ্যালয় প্রেসের প্রশাসক সাখাওয়াত হোসেন, রাকসু কোষাধ্যক্ষ ড. জাফর সাদিক, কেন্দ্রীয় ক্যাফেটেরিয়ার প্রশাসক অধ্যাপক মাহফুজুর রহমান ও শহিদ মীর আব্দুল কাইয়ুম আন্তর্জাতিক ডরমিটরির অর্ডেন আতিউর রহমান পদত্যাগ করেছেন।
এছাড়া প্রক্টর অধ্যাপক আসাবুল হক প্রক্টরিয়াল বডির সব সদস্য পদত্যাগ করেছেন। সহকারী প্রক্টররা হলেন, ড. মাহফুজুর রহমান, ড. পুরনজিত মহালদার, ড. হাকিমুল হক, ড. জহুরুল আনিস, ড. সাইকা কবির মিতু, ড. হামিদুল হক, ড. জাকির হোসেন, ড. কনক পারভেজ, ড. রতন কুমার, ড. কামরুজ্জামান ও ড. আল মামুন। এছাড়াও আরও অনেকেই পদত্যাগ করেছেন বলে জানা গেছে।
রাবির সাবেক উপাচার্য গোলাম সাব্বির সাত্তার বলেন, বৃহস্পতিবার দুপুর ৩টা ১০ মিনিটের রাষ্ট্রপতির একান্ত সচিবের কাছে মেইলের মাধ্যমে পদত্যাগপত্র পাঠিয়েছি। তারা মেইল পেয়েছেন বলে আমাকে জানিয়েছে। রাবির শিক্ষার্থীরা দাবি করছিলেন পদত্যাগের জন্য। সেজন্য পদত্যাগ করেছি।
সাবেক প্রক্টর ড. আসাবুল হক বলেন, আজ তিনি ও প্রক্টরিয়াল বডির সদস্যরা বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার বরাবর পদত্যাগপত্র জমা দিয়েছেন। এতে সবাই ব্যক্তিগত কারণ দেখিয়েছেন। জাহাঙ্গীর আলম সাউদ রেজিস্ট্রার বরাবর পদত্যাগপত্র জমা দিয়েছেন বলে গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেছেন।
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার অধ্যাপক তারিকুল হাসান বলেন, অনেকেই পদত্যাগপত্র জমা দিয়েছেন আমার কাছে। এছাড়াও মৌখিকভাবেও অনেকেই জানিয়েছেন আমাকে। তবে সংখ্যাটা ২৯ জনের মতো হবে। তবে সংখ্যাটা আরও বাড়বে হয়তো।