রাজধানীর শাহবাগে আন্দোলন থেকে বেশ কয়েকজনকে আটক করেছে পুলিশ। সোমবার (১০ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে দাবি আদায়ে সড়কে অবস্থানকালে তাদের আটক করা হয়। তবে আটকের সংখ্যা নিশ্চিত হওয়া যায়নি। এর আগে লাঠিচার্জ ও জলকামানের পর আন্দোলনকারীরা বিরতি দিয়ে আবারও সড়কে অবস্থান নেন। ফলে বন্ধ হয়ে যায় যান চলাচল। পরে তাদের সরাতে বিচ্ছিন্নভাবে ধাওয়া দিয়ে অনেককেই আটক করা হয়।
ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) রমনা বিভাগের উপ-কমিশনার মো. মাসুদ আলম বলেন, আটকের সংখ্যা এখনই বলা যাচ্ছে না। আমরা আন্দোলনকারীদের নিয়ে থানায় রেখেছি। যাচাই-বাছাই শেষে ছেড়ে দেওয়া হবে। আর কাউকে গ্রেফতার দেখানো হলে পরে জানানো হবে
এর আগে এদিন দুপুর ২টা ৫৮ মিনিটে পরপর বেশ কয়েক রাউন্ড টিয়ারগ্যাস ছোঁড়া হয়। এসময় আন্দোলনকারীদের ‘উই ওয়ান্ট জাস্টিস, উই ওয়ান্ট জাস্টিস’, ‘পুলিশের হামলা কেন, প্রশাসন জবাব চাই’, ‘পুলিশ দিয়ে আন্দোলন, বন্ধ করা যাবেনা’, ‘আমার ভাই আহত কেন, প্রশাসন জবাব চাই’ ইত্যাদি স্লোগান দিতে দেখা গেছে।
এর আগে দুপুর ১টা ৫০ মিনিটে আন্দোলনকারীদের ছত্রভঙ্গ করে দেয় পুলিশ। পরে আন্দোলনকারীরা ফের জড়ো হতে থাকে।
তারও আগে দুপুর ১টা ২০ মিনিটে শাহবাগ মোড় অবরোধ করে তারা। তাদের দাবি, প্রাথমিকের তৃতীয় ধাপে সুপারিশপ্রাপ্ত ৬ হাজার ৫৩১ জনের অনতিবিলম্বে যোগদান নিশ্চিত করা এবং এনটিআরসিএর নিবন্ধিত (১-১২ তম ) নিয়োগ প্রত্যাশী শিক্ষকদের নিয়োগ নিশ্চিত করা।
এনটিআরসিএর নিয়োগ প্রত্যাশীরা বলছেন, শিক্ষক নিয়োগ চক্রে (১ম-৫ম গণবিজ্ঞপ্তিতে) আবেদনকৃতদের বৈষম্যের শিকার ও সিস্টেম দুর্নীতি জনিত কারণে তারা নিয়োগ বঞ্চিত হয়েছেন। তাদের দাবির প্রেক্ষিতে ১ থেকে ১২তম ব্যাচে উত্তীর্ণ যোগ্য নিবন্ধিত শিক্ষকদের ডেটাবেস পৃথক করে এন্ট্রি লেভেল বয়স বিবেচনা করে এবং বিগত ১৭ অক্টোবর ও ২৩ ডিসেম্বরে প্রধান উপদেষ্টার পক্ষে এপিএস সাব্বির আহমেদের প্রতিশ্রুতি অবিলম্বে বাস্তবায়ন চান তারা। এছাড়া আমলাতান্ত্রিক সব জটিলতা নিরসন করে নিয়োগের দাবি জানিয়েছেন তারা।