রাজশাহী, চাঁপাইনবাবগঞ্জ, নাটোরসহ আমের জন্য বিখ্যাত অঞ্চলের খামারিরা এবার নিজেরাই তাদের আম নিয়ে হাজির হচ্ছেন দেশের সবচেয়ে বড় ম্যাঙ্গো ফেস্টিভ্যাল ‘প্রাণ ম্যাঙ্গো ফেস্টিভ্যাল’-এ। আগামী ১০ জুলাই (বৃহস্পতিবার) রাজধানীর ধানমন্ডিতে রবীন্দ্র সরোবরে তিন দিনব্যাপী এ ফেস্টিভ্যাল শুরু হচ্ছে।
বুধবার (৯ জুলাই) রাজধানীর বাড্ডায় প্রাণ গ্রুপের প্রধান কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ বিষয়ে জানানো হয়।
আরও পড়ুনঃ রাজধানী সাপাহারে হবে ‘ম্যাংগো ফেস্টিভ্যাল’
সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, এ আয়োজনে দেশে উৎপাদন হওয়া সব ধরনের আম প্রদর্শন ও বিক্রয় করা হবে। তরুণ প্রজন্মের কাছে বিভিন্ন ধরনের আমের উৎপত্তি, ইতিহাস ও ঐতিহ্য তুলে ধরা হবে। পাশাপাশি ম্যাঙ্গো ফেস্টিভ্যাল আকর্ষণীয় করে তুলতে থাকবে বিভিন্ন ধরনের গেমস ও গ্রাম বাংলার ঐতিহ্যবাহী বিভিন্ন ধরনের সাংস্কৃতিক পরিবেশনা। এছাড়া সাংস্কৃতিক পর্বে জনপ্রিয় সঙ্গীতদল (ব্যান্ড) ওয়ারফেজ, কণ্ঠশিল্পী ঐশীসহ নামকরা সঙ্গীতশিল্পীরা গান পরিবেশন করবেন।
প্রাণ ম্যাঙ্গো ফেস্টিভ্যাল প্রতিদিন সকাল ১০টায় শুরু হয়ে চলবে রাত ৮টা পর্যন্ত। মেলায় সব শ্রইণ-পেশার মানুষ বিনামূল্যে অংশ নিতে পারবেন।
সংবাদ সম্মেলনে প্রাণ গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ইলিয়াছ মৃধা বলেন, প্রাণ গ্রুপ দেশে আমের সবচেয়ে বড় ক্রেতা। আমরা আমের মৌসুমে দেশের চুক্তিভিত্তিক প্রায় ১০ হাজার কৃষকের কাছ থেকে আম সংগ্রহের পর সেগুলো থেকে জুস ও ড্রিংকস তৈরি করে সারাবছর ভোক্তার সামনে নিয়ে আসি। আমরা এ মেলার মাধ্যমে আমের জন্য বিখ্যাত কয়েকটি জেলার চাষীদের বিভিন্ন ধরনের আম প্রদর্শনের সুযোগ করে দিয়েছি যেন তারা তরুণ প্রজন্মের কাছে তাদের আমের স্বাদ, ঐতিহ্য ও ইতিহাস তুলে ধরতে পারেন।
তিনি আরও বলেন, দেশে আম থেকে উৎপাদিত পণ্যের বাজার এখন প্রায় ১৫০০ কোটি টাকা। বিদেশে আমাদের আমের ব্যাপক চাহিদা রয়েছে। এজন্য দরকার আমাদের আমের ব্র্যান্ডিং। প্রাণ এখন দেশের গর্বের কারণ হয়ে উঠেছে। প্রাণ দেশে উৎপাদিত আম থেকে বিভিন্ন ধরনের জুস, ড্রিংকস, ম্যাঙ্গো বার ও আচার উৎপাদন করে দেশের পাশাপাশি বিশ্বের প্রায় ১৪৮টি দেশে রপ্তানি করছে। আমাদের লক্ষ্য, বাংলাদইশ পণ্য প্রাণ জুস ও ড্রিংকের মাধ্যমে বিশ্বের প্রতিটি জায়গায় বাংলাদেশের আম পৌঁছে দেওয়া।
অ্যাগ্রিকালচারাল মার্কেটিং কোম্পানি লিমিটেড-এএমসিএল (প্রাণ) এর নির্বাহী পরিচালক মো. মনিরুজ্জামান বলেন, প্রথমবারের মতো আমরা এ ম্যাঙ্গো ফেস্টিভ্যালের আয়োজন করছি। তরুণ প্রজন্মের কাছে এটি যেন উৎসবমুখর হয়ে উঠে সেজন্য সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, বিভিন্ন ধরনের গেমসসহ নানান আয়োজন রাখা হয়েছে যা সবার জন্য উন্মুক্ত থাকবে। আমাদের আয়োজন সবার কাছে ভালো লাগবে বলে আশা করছি।
সংবাদ সম্মেলনে এএমসিএল-এর হেড অব মার্কেটিং মাহমুদুল হাসান জিসা, অ্যাসিস্ট্যান্ট ব্র্যান্ড ম্যানেজার ওমর বিন জুবায়ের, প্রাণ বেভারেজের সাব অ্যাসিস্ট্যান্ট ব্র্যান্ড ম্যানেজার তানজিবুল হক তুষার প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
এধরনের খবর পড়তে ভিজিট করুন সোনালি বাংলা নিউজ।