অন্তর্বর্তীকালীন সরকার ক্ষমতায় আছে ঠিকই কিন্তু তাদের কর্তৃত্ব এখনো সুস্পষ্ট হয়নি বলে মন্তব্য করেছেন এবি পার্টির চেয়ারম্যান মুজিবুর রহমান মঞ্জু। তিনি বলেছেন, এমন অবস্থায় যেকোনো নির্বাচন আমাদের জন্য হবে বিপজ্জনক। আপনারা আপনাদের কর্তৃত্ব নিশ্চিত না করে যদি নির্বাচনের দিকে যান তাহলে এ নির্বাচন হতে পারে অত্যন্ত খারাপ।
শনিবার রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের বৈঠক থেকে বেরিয়ে এসব কথা বলেন তিনি।
মুজিবুর রহমান মঞ্জু বলেন, প্রধান উপদেষ্টা আমাদের বলেছেন, আন্তর্জাতিকভাবে বাংলাদেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নের জন্য অনেক জায়গা থেকে আশ্বাস পেয়েছি। আমরা যদি সেই সহযোগিতা পাই তাহলে বাংলাদেশের অর্থনীতিকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়া সম্ভব। জাতিসংঘ যে সহযোগিতার কথা বলেছে, সেটি আমাদের জন্য বিরাট মাইলফলক। কিন্তু বিদেশিরা বলেছেন, আমরা তোমাদের অর্থনৈতিকভাবে সহযোগিতা করতে পারবো কিন্তু তোমাদের যে সংস্কার সেটি আমরা করতে পারব না। তাই তিনি বলেছেন, এ সংস্কারের জন্য সকলের সহযোগিতা দরকার।
তিনি বলেন, এবি পার্টির পক্ষ থেকে আমরা বলেছি, প্রথম যেদিন আপনার সঙ্গে সাক্ষাৎ হয়েছিল তখন আমরা বলেছিলাম রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আলোচনার জন্য ঐক্যের ভিত্তিতে টিম তৈরি করে দেন। কিন্তু আপনি সেটা করেননি, দেরি করে করেছেন। আমরা আরেকটা বিষয় বলেছি, এই সরকারের সঠিক কর্তৃত্ব এখনো প্রতিষ্ঠা হয়নি। ফলে এমন বন্ধুর অবস্থা নিয়ে কিভাবে নির্বাচন করবেন? আমরা স্পষ্টভাবে বলেছি, অথবা জাতীয় নির্বাচন আগে করেন। কিন্তু আপনার প্রশাসনিক কর্তৃত্বটা লাগবেই।
পরামর্শের কথা জানিয়ে তিনি বলেন, আমি তাদের বলেছি আপনাদের একজন উপদেষ্টা ছদ্মবেশে রাস্তায় বের হোন। ছিনতাইকারীর কবলে পড়লে পুলিশের পক্ষ থেকে কী সহযোগিতা পাওয়া যায় সেটা আপনারা দেখেন।
মঞ্জু বলেন, জাতীয় ঐকমত্য সৃষ্টির জন্য আপনাদের উচিত ছিল ভূমিকা নেওয়া। কিন্তু আপনারা সেটা নেননি। গত ১৫-১৬ বছরে আমরা কী সংগ্রাম আন্দোলন করেছি সেটা যদি আপনারা নাও মানেন কিন্তু জুলাই আগস্ট মাসে বিএনপির নজরুল ইসলাম খান এ্যারেস্ট হয়েছিলেন, জামায়াতের আব্দুল্লাহ তাহের এ্যারেস্ট হয়েছিলেন, গণসংহতির জুনায়েদ সাকি আহত হয়েছিলেন, আমরা গুলি খেয়েছি জেলে গেছি। কিন্তু কই আপনাদের কোনো আলোচনা এই যে যারা জেলে গিয়েছে, আহত হয়েছে তাদের কোনো কিছু ঠাঁই পায় না। তাহলে আপনারা কিভাবে জাতীয় কর্ম তৈরি করছেন? রাজনৈতিক দলের সহযোগিতা কিভাবে চাচ্ছেন?
তিনি বলেন, সর্বশেষে আমি বলেছি, আপনারা আমাদের কথাগুলো শুনেন। কিন্তু কতটুকু আমলে নেন সেটা আমরা বুঝতে পারি না। সুতরাং আশা করি অন্তর্বর্তীকালীন সরকার আমাদের কথাগুলো গুরুত্ব দেবে।