প্রথমবারের মতো দক্ষিণ এশিয়ার ফুটবলে হোম অর অ্যাওয়ে ভিত্তিতে হওয়ার কথা। এ নিয়ে যখন দক্ষিণ এশিয়ার ফুটবলে নানা আলোচনা ঠিক সেই সময় সাফের সাধারণ সম্পাদক আনোয়ারুল হক হেলাল পদত্যাগ করেছেন। পদত্যাগপত্র দিলেও মার্চ পর্যন্ত তিনি দায়িত্ব পালন করবেন। এরপর এপ্রিল থেকে সাফে নতুন সাধারণ সম্পাদক দায়িত্ব গ্রহণ করবেন।
সাফের সাধারণ সম্পাদক আনোয়ারুল হক হেলাল পদত্যাগ সম্পর্কে বলেন, ব্যক্তিগত কারণে আমি পদত্যাগ করেছি। তবে আমি আরও এক মাস সাধারণ সম্পাদক হিসেবে কাজ করব।
বিগত সময়ে সাফে সাধারণ সম্পাদক পদটি ছিল নির্বাচিত। ২০১৪ সাল থেকে সাফে বেতনভুক্ত সাধারণ সম্পাদক প্রথা শুরু হয়। বাংলাদেশের বিশিষ্ট ক্রীড়া সংগঠক ও বাফুফের সাবেক সাধারণ সম্পাদক আনোয়ারুল হক হেলাল গত এক দশক সাফের সাধারণ সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।
সাফের সাধারণ সম্পাদক পদে এশিয়ান ফুটবল কনফেডারেশনের কেউ আসীন হতে পারেন। এশিয়ান শীর্ষ পর্যায় থেকে দক্ষিণ এশিয়ার ক্ষুদ্র অংশে আসার সম্ভাবনা নিয়ে একটা খটকা তৈরি হয়েছে। গত সপ্তাহে সাফ সভাপতি কাজী সালাউদ্দিন মালয়েশিয়ায় এএফসির শীর্ষ কর্তাদের সঙ্গে বৈঠক করেন। সেই বৈঠকের পরই মূলত সাফে এই পরিবর্তন আসছে বলে ধারণা ফুটবলসংশ্লিষ্টদের। কাজী সালাউদ্দিনের মালয়েশিয়া সফরের সময় বাফুফে ও এএফসি সদস্য মাহফুজা আক্তার কিরণও ছিলেন।
কাজী সালাউদ্দিন ২০০৯ সালে সাফ সভাপতির দায়িত্ব নেন। তিনি সাফ সভাপতি হওয়ার পর বাংলাদেশে সাফের কার্যালয় করেন। প্রথমে বাফুফে ভবনে একটি কক্ষে সাফ কার্যালয় হিসেবে ছিল। গত বছর চারেক যাবত ঢাকার বনানীতে সাফ কার্যালয় হয়। দক্ষ ও অভিজ্ঞ ক্রীড়া সংগঠক হেলাল প্রশাসক হিসেবেও সাফে দক্ষতার পরিচয় দিয়েছেন। বয়স ভিত্তিক, নারী পুরুষ প্রতিযোগিতা বৃদ্ধি, বিভিন্ন কোর্স আয়োজনে তার ভূমিকা ছিল অনেক। সত্তর দশক থেকে দেশের ঐতিহ্যবাহী ক্লাব মোহামেডানের কর্মকর্তা হিসেবে হেলালের সংগঠক জীবন শুরু। ক্লাব, ফেডারেশন, অলিম্পিক পেরিয়ে সাফে ছিলেন তিনি। পদত্যাগ করায় তার দীর্ঘ ক্রীড়া সাংগঠনিক ক্যারিয়ার অলিখিত সমাপ্তির পথেই যেন।