হার্ট ভালো রাখতে যে ৫ ফল খাবেন

ভাজা-পোড়া এবং প্রক্রিয়াজাত খাবার বেশিরভাগ মানুষেরই খাবারের তালিকায় জায়গা করে নিয়েছে। যে কারণে হার্টের যত্ন নেওয়া আগের চেয়ে বেশি গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছে। কিন্তু আমরা আসলে কী খাচ্ছি তা নিয়ে কতটা ভাবি? অস্বাস্থ্যকর তেল থেকে শুরু করে লুকানো চিনি পর্যন্ত, আমরা প্রতিদিন যা খাই তার বেশিরভাগই ভালোর চেয়ে বেশি ক্ষতি করে। চারদিকে হৃদরোগ বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে স্বাস্থ্যকর খাবার পছন্দ করা অপরিহার্য হয়ে উঠেছে। কিছু ফল রয়েছে যেগুলো হার্টের জন্য ভালো। যাতে আছে ফাইবার, অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এবং হার্টের স্বাস্থ্যকে ভালো রাখার জন্য প্রয়োজনীয় পুষ্টি। চলুন জেনে নেওয়া যাক-

১. আপেল: ফাইবার সমৃদ্ধ হার্ট প্রোটেক্টর

আপেলে ডায়েটারি ফাইবার এবং প্রাকৃতিক ফলের অ্যাসিড থাকে। এতে পেকটিনও থাকে, যা হজমের স্বাস্থ্যকে সহায়তা করে এবং কোলেস্টেরল কমাতে সাহায্য করে। নিয়মিত আপেল খেলে তা খারাপ কোলেস্টেরল কমায়, রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে, ত্বকে তারুণ্য ধরে রাখতে সাহায্য করে।

২. ডালিম: অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট পাওয়ার হাউস

এই টসটসে লাল দানার ফল পলিফেনল দিয়ে পরিপূর্ণ, যা হৃদরোগের জন্য সবচেয়ে শক্তিশালী অ্যান্টিঅক্সিডেন্টের মধ্যে একটি। ডালিম পিত্তের ভারসাম্য বজায় রাখতে সাহায্য করে এবং শরীরের উপর প্রাকৃতিক শীতল প্রভাব ফেলে। এটি রক্ত সঞ্চালন উন্নত করে এবং হজমে সাহায্য করে।

৩. কমলা: ভিটামিন সি-প্যাকড হাইড্রেটর

কমলা ভিটামিন সি সমৃদ্ধ, যা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা শক্তিশালী করে। এটি কোলেস্টেরল এবং রক্তচাপ কমাতেও সাহায্য করে, যা হৃদরোগের জন্য দুর্দান্ত। কমলা খেলে তা ক্ষতিকর কোলেস্টেরল কমায়, রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে সহায়তা করে এবং হাইড্রেটেড রাখে।

৪. অ্যাভোকাডো: হৃদরোগের জন্য স্বাস্থ্যকর চর্বির উৎস

অ্যাভোকাডো হৃদযন্ত্র-বান্ধব মনোআনস্যাচুরেটেড ফ্যাট সমৃদ্ধ। এটি ভিটামিন কে, পটাসিয়াম এবং ফোলেটেরও একটি দুর্দান্ত উৎস, যা হজম, ত্বকের স্বাস্থ্য এবং সামগ্রিক সুস্থতায় সহায়তা করে। বিদেশি ফল হলেও আমাদের দেশের অনেক সুপারশপ বা ফলের দোকানে অ্যাভোকাডো পাওয়া যায়।

৫. ব্লুবেরি: হার্টকে শক্তিশালী করার সুপারফুড

ব্লুবেরি অ্যান্থোসায়ানিন সমৃদ্ধ, শক্তিশালী অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট যা বার্ধক্যকে ধীর করে এবং হৃদরোগের স্বাস্থ্যকে উন্নত করে। এটি ভালো কোলেস্টেরল বাড়ায়, রক্তচাপ কমায় এবং সামগ্রিক হৃদরোগের কার্যকারিতায় সহায়তা করে। গ্লাইসেমিক সূচক কম থাকায় এটি ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য বেশ উপকারী।