হোয়াইট হাউসের প্রেস সেক্রেটারি হচ্ছেন ২৭ বছরের ক্যারোলিন

যুক্তরাষ্ট্রের নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প তার প্রশাসনে হোয়াইট হাউসের প্রেস সেক্রেটারি পদে ২৭ বছর বয়সী ক্যারোলিন লেভিতকে মনোনয়ন দিয়েছেন। তরুণ ও দক্ষ নেতৃত্বের প্রতি এই আস্থা ট্রাম্পের প্রশাসনের উজ্জ্বল ভবিষ্যতের প্রতীক হিসেবে দেখা হচ্ছে।

শুক্রবার (১৫ নভেম্বর) এক বিবৃতিতে ট্রাম্প প্রেস সেক্রেটারির পদে ক্যারোলিন লেভিতের নাম ঘোষণা করেন।

বিবৃতিতে ট্রাম্প বলেন, ‘ক্যারোলিন অত্যন্ত দক্ষ, দৃঢ়চেতা এবং যোগাযোগের ক্ষেত্রে অভাবনীয় দক্ষতা প্রদর্শন করেছেন। আমি পূর্ণ আত্মবিশ্বাসী যে, তিনি এই পদে অত্যন্ত সফলভাবে দায়িত্ব পালন করবেন এবং আমেরিকান জনগণের কাছে আমাদের বার্তা যথাযথভাবে পৌঁছে দিতে সক্ষম হবেন।’

২০১৬ সালে ট্রাম্পের প্রথম নির্বাচনী প্রচারের মুখপাত্র হিসেবে ক্যারোলিন তার কর্মদক্ষতা প্রমাণ করেছেন। এর পর তিনি ট্রাম্পের প্রথম মেয়াদে প্রশাসনে সহকারী প্রেস সেক্রেটারির দায়িত্বও পালন করেছিলেন। ২০২২ সালে নিউ হ্যাম্পশায়ার থেকে কংগ্রেসের নিম্নকক্ষে প্রতিনিধিত্বের জন্য নির্বাচনেও অংশ নিয়েছিলেন, যদিও সেবার তিনি জয়ী হননি।

এদিকে ফক্স নিউজের পডকাস্টের একটি শোতে ক্যারোলিন বলেন, ‘আমি কোনও রাজনৈতিক পরিবারে বেড়ে উঠিনি। নিউ হ্যাম্পশায়ারের একটি সাধারণ ব্যবসায়ী পরিবারে আমার শৈশব কাটে। তবে কলেজে পড়াশোনার সময় থেকেই রাজনীতির প্রতি আগ্রহ জন্ম নেয়।’

ট্রাম্পের নির্বাচনী প্রচারে ন্যাশনাল প্রেস সেক্রেটারি হিসেবে তার ভূমিকা ছিল গুরুত্বপূর্ণ এবং গত জুলাইয়ে তিনি প্রথম সন্তানের জন্ম দেন, তবে সে সময়ও রাজনীতি থেকে বিচ্ছিন্ন হননি।

৫ নভেম্বরের মার্কিন নির্বাচনে জয়ী হওয়ার পর ট্রাম্প তার প্রশাসন গঠনের কাজ শুরু করেছেন এবং গুরুত্বপূর্ণ পদে নিয়োগ দিতে শুরু করেছেন। ট্রাম্প তরুণ ও অভিজ্ঞ নেতৃত্বের মধ্যে ভারসাম্য তৈরি করার লক্ষ্যে কাজ করছেন। ক্যারোলিনের মনোনয়ন এই উদ্দেশ্যকেই প্রতিফলিত করে।

এর আগে, প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প তার প্রশাসনে অন্য গুরুত্বপূর্ণ পদে নতুন নাম ঘোষণা করেছেন। মার্কিন স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের জন্য কেনেডি জুনিয়রের নাম এবং জাতীয় গোয়েন্দা সংস্থার প্রধান হিসেবে তুলসি গ্যাবার্ডের নাম প্রস্তাব করেছেন। কেনেডি জুনিয়র পরিবেশের সুরক্ষায় দীর্ঘদিন সোচ্চার এবং তুলসি গ্যাবার্ড সেনাবাহিনীর রিজার্ভ লেফটেন্যান্ট কর্নেল হিসেবে দেশের জন্য গুরুত্বপূর্ণ সেবা প্রদান করেছেন।

ট্রাম্পের এই পদক্ষেপগুলো তার প্রশাসনের জন্য একটি শক্তিশালী ও সৃজনশীল দল গঠনের ইঙ্গিত দেয়, যেখানে তরুণদের নেতৃত্বে নতুন দিশা দেখতে পাওয়া যাবে।