১০ জন নিয়েও উরুগুয়েকে হারাল ব্রাজিল

টুর্নামেন্টের শুরুটা হয়েছিল ৬-০ গোলের বড় হার দিয়ে। সেটাও আবার চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী আর্জেন্টিনার বিপক্ষে। কিন্তু সেখান থেকে ব্রাজিলের যুবারা ঘুরে দাঁড়িয়েছিল দারুণভাবে। কনমেবল অনূর্ধ্ব-২০ চ্যাম্পিয়নশিপের গ্রুপপর্বের বাধা টপকে ব্রাজিল এখন লড়ছে ফাইনাল পর্বে। যদিও দক্ষিণ আমেরিকার এই যুব আসরে নেই ফাইনাল বা সেমিফাইনাল। এখানে লিগ পদ্ধতিতে শীর্ষে থাকা দলই হয় চ্যাম্পিয়ন।

প্রতিটি ম্যাচই তাই এখানে সমান গুরুত্বপূর্ণ। জয় চাই সব ম্যাচেই। ব্রাজিল নিজেদের প্রথম ম্যাচে সেই কাজটা করলো দারুণভাবে। ১০ জনের দল নিয়েও উরুগুয়েকে হারিয়েছে ১-০ গোলে।

৩ অ্যাটাকিং মিডফিল্ডার আর ডাবল পিভট নিয়ে বেশ আক্রমণাত্মক শুরুই করেছিল র‍্যামন মেনেজেসের ব্রাজিল। প্রথমার্ধের শুরু থেকেই বলের আধিপত্য যেমন ছিল, তেমনি প্রতিপক্ষের গোলমুখেও তারা ছিল আত্মবিশ্বাসী। তবে কাঙ্ক্ষিত গোলটা তারা পায়নি। কিছুটা হতাশা নিয়েই প্রথমার্ধ পার করেছে তারা।

বিরতির পর ম্যাচের ৫৭তম মিনিটে ডিফেন্ডার অর্থার দিয়াস জোড়া হলুদ কার্ড দেখে মাঠ ছাড়লে চাপে পড়ে সেলেসাওরা। একজন কম নিয়ে খেললেও অবশ্য আধিপত্য ধরে রেখেছিল ব্রাজিলই। টানা ভালো খেলার ফলাফল আসে ৭৪তম মিনিটে। দারুণ এক গোলে দলকে লিড এনে দেন পেদ্রো হেন্ড্রিক। বাঁ প্রান্ত ধরে আক্রমণে উঠে পাস দেন মোসকার্দো। তার কোনাকুনির জোরালো শট উরুগুয়ের গোলরক্ষের হাতে লেগে জালে জড়ায়।

এরপরই সমতায় ফিরতে মরিয়া হয়ে উঠে উরুগুয়ে। যদিও ব্রাজিল গোলরক্ষকের দৃঢ়তা ছিল চোখে পড়ার মতোই। শেষ পর্যন্ত ১-০ ব্যবধান ধরে রেখে জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে সেলেসাওরা। দিনের বাকি দুই ম্যাচে আর্জেন্টিনা ২-১ গোলে হারায় চিলিকে। আর কলম্বিয়া ৪-০ গোলে হারিয়েছে প্যারাগুয়েকে।

ফাইনাল পর্বে ব্রাজিল ও আর্জেন্টিনার পরবর্তী ম্যাচ ৮ ফেব্রুয়ারি। সেলেসাওদের প্রতিপক্ষ কলম্বিয়া আর আলবিসেলেস্তেদের প্রতিপক্ষ ‍উরুগুয়ে।