প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশ ছাড়ার পর গণভবনে ঢুকে যে যা পেয়েছেন নিয়ে গিয়েছিলেন। সেই একই চিত্র দেখা যাচ্ছে ধানমণ্ডি ৩২ নম্বরে। সেখানে শেখ মুজিবুর রহমানের বাড়িটির পেছনে (উত্তর দিকে) ছয়তলা ভবনটি ভাঙা হচ্ছে। ভবনটির ভেতর থেকে বই, স্টিল, লোহা, টিন, কাঠসহ বিভিন্ন জিনিস ভেঙে নিয়ে যাচ্ছেন অনেকে।
আবার কেউ কেউ ইতিহাস সংরক্ষণের জন্য শেখ মুজিবুর রহমানের বাড়ির ইট এবং পোড়া কয়লা নিয়ে যাচ্ছেন। আজ বৃহস্পতিবার সকাল ১০টার দিকে এমন চিত্র দেখা গেছে।
সরেজমিন দেখা গেছে, পেছনের ওই ছয়তলা ভবনে শত শত মানুষ ঢুকছেন। কেউ কেউ ভেতর থেকে জিনিসপত্র নিয়ে বেরিয়ে আসছেন।
আর ভবনটির ভেতর থেকে হাতুড়ির আঘাতে নানা কিছু ভাঙার শব্দ শোনা যাচ্ছে।
ওই ভবন থেকে যেসব জিনিস নিয়ে যাওয়া হচ্ছে, এর মধ্যে বেশিরভাগই শেখ মুজিব ও তার পরিবারের সদস্যদের নিয়ে লেখা কিংবা পরিবারের সদস্যদের লেখা বই এবং কার্টন রয়েছে। ভেতর থেকে ভাঙারি পণ্য হিসেবে বিক্রয় করা যাবে—এমন স্টিল, লোহা ও কাঠের নানা কাঠামো ভেঙে যে যার মতো নিয়ে যাচ্ছেন অনেকে।
স্টিল ও লোহার কাঠামো ভবন থেকে ভেঙে ভেঙে কয়েকজনকে নিচে ফেলতে দেখা যায়।
নিচে থাকা কয়েকজন এগুলো রিকশায় করে অন্যত্র সরিয়ে নেন। যারা এসব লোহালক্কড় নিচ্ছেন, তাদের বেশিরভাগই নিম্ন আয়ের মানুষ।
জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে গত ৫ আগস্ট স্বৈরতান্ত্রিক আওয়ামী লীগ সরকারের পতন ঘটে। অভ্যুত্থানের ছয় মাস ছিল গতকাল। এদিন রাত ৯টায় নিষিদ্ধ ছাত্রসংগঠন ছাত্রলীগের ফেসবুক পেজে শেখ হাসিনার বক্তব্য প্রচার করা হবে বলে ঘোষণা দেওয়া হয়েছিল।
এ ঘোষণাকে কেন্দ্র করে গতকাল দিনভরই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে উত্তেজনা চলে। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে অংশ নেওয়া অনেক ছাত্র-জনতা ও অনলাইন অ্যাকটিভিস্ট ফেসবুকে ধানমণ্ডি ৩২ অভিমুখে ‘বুলডোজার মিছিল’ এবং ‘মার্চ টু ধানমণ্ডি ৩২’ কর্মসূচির ডাক দেন।